এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দুর ডেরায় দাঁড়িয়ে বিজেপিকে আটকাতে আগুনে ভাষণ মমতার, কিন্তু অধিকারী পরিবার কোথায়?

শুভেন্দুর ডেরায় দাঁড়িয়ে বিজেপিকে আটকাতে আগুনে ভাষণ মমতার, কিন্তু অধিকারী পরিবার কোথায়?


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারীর মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেবার পর আজ মেদিনীপুরে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভা। এই জনসভায় উপস্থিত থাকতে দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম জেলার সমস্ত সংসদ, বিধায়ক, দলের কর্মীদেরকে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে আজকের সভায় উপস্থিত থাকেন নি শিশির অধিকারী। পায়ে অস্ত্রোপচার হওয়ায় তিনি সভায় আসতে পারেননি। অন্যদিকে সভায় উপস্থিত থাকেন নি তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারি। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী আজ কলকাতায় আছেন বলে সভায় উপস্থিত হননি। অধিকারী পরিবারের কোনো সদস্যই আজকের সভায় উপস্থিত না হওয়ায় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

প্রসঙ্গত আজকের জনসভায় দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম জেলার সমস্ত বিধায়ক, সাংসদদের উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক ও কাঁথি দুই কেন্দ্রের সাংসদ হলেন অধিকারী পরিবারভুক্ত। যাঁরা হলেন শিশির অধিকারী, দিব্যেন্দু অধিকারী। এছাড়া জেলায় তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা ১২ জন। যাদের মধ্যে এগরার বিধায়ক সমরেশ দাসের মৃত্যু ঘটেছে। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীর আসা নিয়ে সংশয় ছিল। বাকি ১০ জন বিধায়ককে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।

মুখ্যমন্ত্রী জনসভাকে উপলক্ষ করে মেদিনীপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে তৃণমূলের পতাকা, ফেস্টুন, মুখ্যমন্ত্রীর ছবি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছিল। সেইসঙ্গে মেদিনীপুরে শুভেন্দু অধিকারির ছবি দেওয়া ফেস্টুনও পাওয়া যাচ্ছে। যেখানে তাঁকে মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র বলে বর্ণনা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ছবির সামনে-পেছনে শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দেখা গেছে। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে জল্পনা ছড়িয়েছে।

আজকের জনসভা থেকে সরাসরি নাম না নিয়েও শুভেন্দু অধিকারীকে কঠোর বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ” যদি কেউ মনে করে তৃণমূলকে ব্ল্যাকমেল করব, বার্গেন করব, ভোটের সময় দলকে বিপদে ফেলব, জেনে রাখুন কিছু করতে পারবেন না।’’ আবার, এর সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায় যে, অধিকারী, ব্যানার্জি সকলকে নিয়ে দলের সংসার। আজকে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভাতে উপস্থিত ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের, সুব্রত বক্সী, পূর্ণেন্দু বসু, মানস ভুঁইয়া, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ছত্রধর মাহাতো প্রমুখরা। পশ্চিম মেদিনীপুরের সমস্ত বিধায়ক মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মতামত জানান -

মুখ্যমন্ত্রী জানালেন যে, ছত্রধর মাহাতোকে যে সময়ে মাওবাদী তকমা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সে সময় তিনি তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে, কৃষকদের পাশে আছেন তিনি, ভবিষ্যতেও তিনি থাকবেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম, নেতাই কোন কিছুই ভোলেননি তিনি। আগামীকাল, সমস্ত ব্লকে ধরনা কর্মসূচি হবে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।

এরপর বিজেপির প্রতি তোপ দাগতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রীকে। কৃষিপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিজেপিকে অভিযুক্ত করলেন তিনি। তিনি অভিযোগ করলেন যে, ক্ষমতা কেড়ে নেয়া হচ্ছে কৃষকের। তিনি অভিযোগ করেছেন, বিজেপি মানুষের ঘর ভাঙছে। বিজেপিকে উৎখাত করার আহ্বান জানান তিনি। রেল, প্রতিরক্ষা, ব্যাঙ্ক, কয়লা বেসরকারিকরণ নিয়ে কেন্দ্রের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তিনি।

রাজ্যে কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি তিন ভাই এক হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করলেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, যে সিপিএম কঙ্কাল কান্ড, সিঙ্গুর, নেতাই, নন্দীগ্রাম করেছিল তারাই আজ বিজেপি হয়েছে। তিনি জানালেন, একজন রক্ষক, একজন ভক্ষক, আর একজন হল তক্ষক। মুখ্যমন্ত্রী জানালেন যে, বহিরাগতদের নিয়ে বাংলা দখলের চক্রান্ত কখনোই তিনি সফল হতে দেবেন না।

তিনি অভিযোগ করেছেন যে, সিপিএমের আমলে যেমন রেশন কেলেঙ্কারি হয়েছিল, বিজেপির আমলেও একাধিক দুর্নীতি হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, রাজ্য সরকার উন্নয়ন করছে। কিন্তু বিজেপি টাকা না দিয়ে তার হিসাব চাইছে। টাকার জন্য বিজেপির হাত না ধরার পরামর্শ দিলেন তিনি। এনআরসি, সিএএ নিয়ে বিজেপির বিরোধিতা করেছেন তিনি। বিজেপিকে আটকাতে শুভেন্দুর গড় থেকে একাধিক জ্বালাময়ী ভাষণ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, কিন্তু মুখ্য মন্ত্রীর সভাতেই শুভেন্দু অধিকারী সহ অধিকারী পরিবারের অনুপস্থিতি যথেষ্ট জল্পনা ছড়ালো।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!