উস্কানিমূলক মন্তব্য নিয়ে নজিরবিহীন যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত ট্যুইটার কর্তৃপক্ষের! বিতর্কের ঝড় আন্তর্জাতিক বিশেষ খবর January 10, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বুধবার মার্কিন ক্যাপিটালে অযাচিত ঘটনা এবং সেক্ষেত্রে ট্রাম্পের উস্কানিমূলক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে টুইটার স্থায়ীভাবে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছে। জানা গেছে, অ্যাকাউন্টটিতে ৮৮ মিলিয়নেরও বেশি ফলোয়ার ছিল। সেইসঙ্গে এই ঘটনা এর আগে কখনো ঘটেনি বলেও জানা গেছে। এই প্রথম টুইটার কোনও রাষ্ট্রনেতা বা রাষ্ট্রের প্রধানকে এভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় টুইটারের তরফে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। শুক্রবার টুইটারের তরফে একটি ব্লগের মাধ্যমে জানানো হয় যে, সমস্ত ঘটনাকে খুব কাছ থেকে বিবেচনা করার পর টুইটার এই সিদ্ধান্তে এসেছে যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের একাউন্টকে ঘিরে যে সমস্ত বার্তা দেওয়া হয়েছে তা উস্কানিমূলক। এবং সেগুলি বিবেচনা করে ট্রাম্পের একাউন্ট বন্ধ করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে তাঁর টুইট গুলোকে মুছে ফেলার জন্য টুইটারের তরফে ট্রাম্পকে আগাম হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল বলেও জানা যায়। অন্যদিকে ট্রাম্পের বার্তা সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের নিয়মগুলি ভঙ্গ করেছে বলেও দাবি করা হয়েছে সংস্থার তরফে। তাই এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বস্তুত, মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে যে জলঘোলা হয়েছে সেটা কারো অজানা নয়। আর সেখানে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন করার আগে ভোট গণনার সময় ব্যারিকেড ভেঙে সংসদ ভবনের ভিতরে ঢুকে পড়েন কিছু ট্রাম্প সমর্থক। বস্তুত, বুধবার মার্কিন কংগ্রেসে জো বাইডেনের নির্বাচন প্রক্রিয়া চলাকালীন, ভোটে কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়ে এদিন হোয়াইট হাউজের সামনে দাঁড়িয়ে অনুরাগীদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, ‘ভোট চুরি করে আমাকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ আর এই কথার পরেই তাঁর অনুরাগীদের মধ্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এবং বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও পেপার স্প্রে ছোঁড়েন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বস্তুত, এই পুরো ঘটনার জন্য ট্রাম্পের উসকানিমূলক মন্তব্যকেই দায়ী করছেন অনেকে। যদিও এর মধ্যেই ট্রাম্প টুইট করে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানান। তবুও প্ররোচনামূলক বক্তব্য রাখার অভিযোগে ফেসবুক, টুইটার ও ইন্সটাগ্রাম থেকে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট সাময়িক নিষ্ক্রিয় করার পর টুইটারের তরফে তাঁর অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে ব্যান করা হয়েছে। তবে এই ঘটনা যে সহজে হজম করার পাত্র নন তিনি, সেটাও জানা গেছে। জানা গেছে ট্রাম্পের একাউন্ট টুইটার থেকে স্থায়ীভাবে নিষ্ক্রিয় করার জন্য প্রায় ৩৫০ জন টুইটারের কর্মচারী টুইটারের সিইওকে আবেদন করেছিলেন। বস্তুত, ইউএস ক্যাপিটালে উক্ত ঘটনার পর তাঁরা তাদের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে বারংবার লিখিত জানিয়েছিলেন। আর এরপরই ট্রাম্পের একাউন্ট বন্ধ করায় তাই টুইটারের কর্মচারীদের আবদান রয়েছে বলেও মনে করছেন অনেকে। তবে ট্রাম্পের একাউন্ট স্থায়ী ভাবে নিষ্ক্রিয় করার পর টুইটারের তরফের তাঁর নির্বাচনী প্রচারের একাউন্ট @TEAM TRUMP সেটিকেও নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সেই সঙ্গে টুইটারের তরফে ট্রাম্পের অফিশিয়াল সরকারি একাউন্ট @POTUSতে করা ট্রাম্পের মেসেজও টুইটার ডিলিট করেছে বলে জানা যায়। আর টুইটারের এহেন কাজের প্রতিবাদে ট্রাম্প পাল্টা টুইটারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন যে এই কাজ তাঁকে চুপ করিয়ে রাখতে পারবে না। সেইসঙ্গে ভবিষ্যতে এরকমই একটা মেসেজিং প্লাটফর্ম তৈরি করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে টুইটার স্বধীন বক্তব্য রাখার জায়গা নয় বলেও মন্তব্য করতে দেখা গেছে তাকে। আপনার মতামত জানান -