এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দু অনুগামীদের মানভঞ্জন করে সাদরে কাছে টানার প্রক্রিয়া শুরু করল ঘাসফুল শিবির

শুভেন্দু অনুগামীদের মানভঞ্জন করে সাদরে কাছে টানার প্রক্রিয়া শুরু করল ঘাসফুল শিবির


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে বর্তমানে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে গোটা বাংলা জুড়ে। ইতিমধ্যেই মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর শুভেন্দু অধিকারী দল ছেড়ে দিতে পারেন বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন জেলায় শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা কী করবেন, তা নিয়ে সংশয় অব্যাহত। তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাই এখন চেষ্টা করা হচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীর সেই সমস্ত অনুগামীদের মানভঞ্জন করার। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে শাসকদল।

জানা গেছে, হুগলিতে শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী নেতাদের ফোন করে শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত তাদের মানভঞ্জন পালা চলে। কেননা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যখন দলের দূরত্ব বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছিল, তখন রাজ্যের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি এই হুগলি জেলার তারকেশ্বর থেকে শুরু করে জগৎবল্লভপুর, বিভিন্ন জায়গায় “দাদার অনুগামী” নামে ফ্লেক্স ফেস্টুন পড়তে দেখা গিয়েছিল। যার ফলে আশঙ্কা করা হয়েছিল, এই জেলায় শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী রয়েছে।

তাই শুভেন্দু অধিকারী যদি তাদের মত সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে তারাও দলত্যাগ করতে পারেন। আর শুভেন্দুবাবু যখন মন্ত্রী পদত্যাগ করে দিয়েছেন এবং তার দলবদল শুধু সময়ের অপেক্ষা বলেই দাবি করছে একাংশ। সেই সময় বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে তৃণমূলের পক্ষ থেকে হুগলি জেলায় শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী নেতাদের মানভঞ্জন চেষ্টা করার উদ্যোগ নেওয়া হল বলে দাবি বিশ্লেষকদের।

ইতিমধ্যেই প্রায় প্রতিনিয়ত শুভেন্দু অধিকারীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে চলেছেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কল্যানবাবু শুভেন্দুবাবুকে আক্রমণ করলেও হুগলি জেলার অনেক তৃণমূল নেতারা এই ব্যাপারে কিছুটা সাবধানে পা ফেলতে শুরু করেছেন। তাদের দাবি, শুভেন্দু অধিকারী যদি অন্য দল করেন, তাহলে তারাও সেই দলে যোগ দেবেন। তবে শুভেন্দু অধিকারী প্রতি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার মতো্ সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে তারা অন্তত সেই পথে পা বাড়াবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে শুভেন্দু অধিকারী দল চাইলে কি তার প্রভাব পড়বে?

এদিন এই প্রসঙ্গে কানাইপুর পঞ্চায়েতে প্রধান আচ্ছালাল যাদব বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী জননেতা। তার অনুগামী থাকা অস্বাভাবিক নয়।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে জাঙ্গিপারার তৃণমূল বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী এখনও আমাদের দলের নেতা। ফলে তিনি চলে গেলে কি হবে না হবে বলার সময় আসেনি।” এদিকে এই ব্যাপারে উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল বলেন, “মমতা পরবর্তী প্রজন্মের শুভেন্দু সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ মুখ। তিনি চলে গেলে দলের ক্ষতি হবে, এতে সংশয় নেই।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগ করলে যে ব্যাপক সমস্যার মুখে পড়বে তৃণমূল কংগ্রেস, তা নেতাদের কথাতেই কার্যত পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। তাই এই পরিস্থিতিতে এখন শুভেন্দু অধিকারীর যে সমস্ত অনুগামীরা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন, তারা যাতে দলত্যাগ না করেন বা দলের বিরুদ্ধে কোনো সিদ্ধান্ত না নেন, তার জন্য এখন থেকেই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে শুরু করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। যার ফলস্বরুপ হুগলির বিভিন্ন জায়গায় শাসক দলের বিভিন্ন নেতারা শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী বলে পরিচিত তাদেরকে ফোন করে মানভঞ্জনের চেষ্টা করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী দল ত্যাগ করলে যাতে তার সাথে তৃণমূলের বেশি কেউ যেতে না পারেন, তার জন্যই এখন তৃণমূল পদক্ষেপ গ্রহণ করা শুরু করেছে। অর্থাৎ যে শুভেন্দু অধিকারীকে দাপুটে নেতা বলে দাবি করা হয়, সেই শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগ করলে যাতে তার সাথে কেউ না থাকে, তার জন্য এবার মরিয়া হয়ে উঠেছে ঘাসফুল শিবির। কেননা সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। শুভেন্দু অধিকারী দল ত্যাগ করলে যদি তার সাথে তৃণমূলের অনেক জনপ্রতিনিধি দলত্যাগ করেন, তাহলে তা শাসকদলের কাছে সব থেকে বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

তাই এক্ষেত্রে কোনোরকম রিস্ক না নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী কি করবেন, তা ভবিষ্যতের উপর ছেড়ে দিয়ে তার অনুগামীদের মানভঞ্জন এখন প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে। আর তাই হুগলি জেলায় বিভিন্ন জায়গায় শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা যারা এখনও পর্যন্ত দলের সঙ্গে যুক্ত, তাদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেছে শাসক দল। তবে এখন তৃণমূল কংগ্রেস এই পদ্ধতি অবলম্বন করলেও, তাতে কাজের কাজ কতটা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!