শুভেন্দু-গড়ে শ্রমিক সংগঠনেও শক্তি বৃদ্ধি বিজেপির, তৃণমূলের সঙ্গে দ্বন্দ্বে অচলাবস্থা মৎস্যবন্দরে মেদিনীপুর রাজ্য June 23, 2019 লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে তৃণমূলের ভরাডুবি এবং বিজেপির অনেকটাই শক্তি বৃদ্ধি হয়েছে। আর এরপরই শাসকদলের জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে কর্মী সমর্থকরা গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে শুরু করেছেন। যার জেরে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়তে দেখা যাচ্ছে তৃনমূলকে। এমনকি কিছু কিছু জায়গায় শাসক দল তৃণমূল এবং বিরোধী দল বিজেপির রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন এলাকা। আর এই পরিস্থিতিতে এবার তৃণমূলের হেভিওয়েট মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর গর বলে পরিচিত রামনগর শংকরপুর মৎস্য বন্দরে বিজেপি এবং তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের সৃষ্টি হল। যার ফলে এবার সেই মৎস্য বন্দরে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত 2017 সালের 15 জুলাই মৎস্য বন্দরের সিটু এবং তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন কাঁথির মহকুমা শাসক। আর সেখানেই সিটুর সদস্য সংখ্যা বেশি থাকায় তারা দুটিতে এবং তৃণমূল একটি জেটিতে বরফ ওঠানো-নামানোর কাজ করবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। সিটুর অনেক সদস্যরাই এখন গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। ফলে এখন বিজেপি সংগঠনের 120 জন এবং তৃণমূলের সংগঠনের 75 জন রয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তৃনমূলের অভিযোগ, বিজেপির শ্রমিক সংগঠন গায়ের জোরে তাদের জেটি দখল করে সেখানে বড় ওঠানো-নামানোর কাজ করছে। আর শাসকদলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ তোলা হলে শনিবার বিজেপি বনাম তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ বাধে। যার জন্য সেখানে তীব্র অচলাবস্থা তৈরী হলে সেই সমস্যা সমাধানের জন্য রামনগর 1 বিডিও অফিসে ভিডিও আশিষ রায়ের পক্ষ থেকে দুই পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করা হয় জানা গেছে, এই বৈঠকেই দু’পক্ষ যাতে কোনরূপ অশান্তিতে না জড়ায় তার জন্য আবেদন জানানো হয়। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়ে বিজেপি কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তপন মাইতি বলেন, “আমাদের শ্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরে বন্দরের জেটিতে কাজ করে আসছেন। এখন বন্দরের তিনটি জেটি তৃণমূল দখল নিতে চাইছে। প্রশাসন সাতদিন সময় চেয়েছে। কিন্তু আমাদের শ্রমিকদের উৎখাত করা হলে তা মানা হবে না। কোনো অশান্তি হলে তার দায় প্রশাসনকেই নিতে হবে।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়ে এই বন্দরের তৃণমূলের শ্রমিক নেতা দীনেশ নায়ক বলেন, “বিজেপি পায়ে পা লাগিয়ে এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছে। রাজনৈতিকভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে আমাদের এই লড়াই চলবে।” সব মিলিয়ে এবার বন্দরের জেটি দখল করাকে কেন্দ্র করেও তৃণমূল বনাম বিজেপির তীব্র সংঘর্ষে উত্তপ্ত শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুক। আপনার মতামত জানান -