এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দুকে আটকাতে তৃণমূলের ছিঁচকেপনা! কাপুরুষের দল, কটাক্ষ বিজেপির!

শুভেন্দুকে আটকাতে তৃণমূলের ছিঁচকেপনা! কাপুরুষের দল, কটাক্ষ বিজেপির!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- অপ্রিয় হলেও এটা সত্য জানেন তো যে, এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা একদম ঠিক কথাই বলেন। কি সেই কথা? কথা এটাই যে, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সত্যিই ভয় পান শুভেন্দু অধিকারীকে। ওই নন্দীগ্রামের হারের যন্ত্রণা তিনি এখনও ভুলতে পারছেন না। সেই কারণে যেখানেই শুভেন্দু অধিকারী সভা করতে যান, সেখানেই নিজের পাতি নেতাদের দিয়ে একটা বিশৃঙ্খলা তৈরি করার চেষ্টা করেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি নাকি এতটাই রাজনৈতিক অভিজ্ঞ! তিনি নাকি মোদীর সঙ্গে লড়াই করবেন! অথচ বাংলায় মোদীর এক সৈনিকের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়েই তার গ্যাস বেলুনের হাওয়া বেরিয়ে যাচ্ছে।

এত অসভ্যতা, এত নিম্ন রুচির পরিচয় কেন দিচ্ছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী? শুভেন্দু অধিকারী তো তার পুত্রসম! সেখানে তার সঙ্গে এরকম লড়াই করতে কেন ময়দানে নামছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! কেন নিজের চ্যালা চামুন্ডাদের দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর পথে বাধা দান করছেন! এর ফলে যত দিন যাচ্ছে, ততই এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বাড়তি হাতিয়ার পেয়ে যাচ্ছে। হিঙ্গলগঞ্জে আজ শুভেন্দু অধিকারী তেরেঙ্গা যাত্রা করার আগে যে অসভ্যতা সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস করার চেষ্টা করেছে, সেটা নিয়েই এখন প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।

আপনারা সকলেই জানেন যে, শুভেন্দু অধিকারী দল পরিবর্তন করার পর থেকেই তৃণমূলের ওই একটাই ট্র্যাক রেকর্ড তাদের দলের নেতারা বাজাচ্ছেন যে, শুভেন্দু অধিকারী গো ব্যাক, আর শুভেন্দু অধিকারী নাকি নারদায় দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু নারদায় যে ভিডিও হয়েছে, সেই ভিডিওর পেছনে কে প্রধান ষড়যন্ত্রকারী, তার নাম তো শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এনে তৃণমূলের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন। যাই হোক, এসব পরের কথা। কিন্তু এদিন হিঙ্গলগঞ্জে তৃণমূলের পক্ষ থেকে শুভেন্দু অধিকারী যাওয়ার আগেই বিভিন্ন জায়গায় শুভেন্দুবাবুর ছবি দিয়ে তার নীচে গো ব্যাক লিখে পোস্টার সেঁটে দেওয়া হয়। কিন্তু এসবের পরেও শুভেন্দু অধিকারীর সেই মিছিলে যে ভিড় হয়েছে, তাতে মুখ পুড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কি দরকার! কেন তৃণমূল বারবার শুভেন্দু বাবুকে আটকানোর জন্য এই সমস্ত কিছু করে! এসব করে কি তারা নিজেরাই খেলো পাত্র হয়ে যাচ্ছে না? তারা তো আরও হিট করে দিচ্ছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে! বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, তারা শুভেন্দু অধিকারীকে কতটা ভয় পান! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার পুত্রসম একজন রাজনৈতিক নেতা, তাকে দেখে ভয়ে গুটিয়ে নিচ্ছেন নিজেকে! তাই নিজের নীচু তলার চ্যালা, চামুন্ডাদের ময়দানে নামিয়ে দিয়ে নিম্ন রুচির রাজনীতি পশ্চিমবঙ্গের বুকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন বলেই দাবি একাংশের।

এদিকে এই ঘটনার পরেই কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপিও। তাদের দাবি, তৃণমূল হচ্ছে কাপুরুষের দল। রাতের অন্ধকারে চুপিচুপি পোস্টার লাগিয়ে দিয়ে তারা শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করছে। কিন্তু এসবের অর্থ একটাই, তারা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এবং বিজেপিকে দেখে ভয় পাচ্ছে। আগামী লোকসভা নির্বাচনে হারের আতঙ্ক এখন থেকেই গ্রাস করেছে তৃণমূল নেত্রীকে। তাই দিকভ্রষ্ট হয়ে নিজের নীচু তলার নেতাদের দিয়ে তিনি এমন কিছু কাজকর্ম করাচ্ছেন, যার ফলে নিজেরাই প্রশ্নের মুখে পড়ে যাচ্ছেন। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!