এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > টাকা নিলেই চুরি, মমতার বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ! সোচ্চার শুভেন্দু!

টাকা নিলেই চুরি, মমতার বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ! সোচ্চার শুভেন্দু!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর টাকা ছাড়া আর কোনো কথা নেই। সব সময় তার একটাই বক্তব্য, কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না। তাই রাজ্য নাকি কাজ করতে পারছে না! কিন্তু যে রাজ্যে এগিয়ে বাংলার কথা বলে, সেই রাজ্য কেন নিজে শুধুমাত্র চুরি, দুর্নীতিতেই ডুবে রয়েছে! কেন মুখ্যমন্ত্রী এই রাজ্যকে নিজের পায়ে দাঁড় করাতে পারছেন না? তিনিই তো একসময় বলেছিলেন যে, বাংলা কারও ভিক্ষে চায় না। তাহলে এখন সেই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কেন বারবার টাকা চাইতে হচ্ছে তাকে? তবে এসব তো পরের কথা। কিন্তু এই রাজ্য সরকারকে, এই মুখ্যমন্ত্রীকে কেন টাকা দেওয়া হবে বলুন তো? ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার যে সমস্ত প্রকল্পে টাকা দিয়েছে, বেশিরভাগ প্রকল্পেই দুর্নীতির অভিযোগ তাদের কাছে এসেছে। তাই আবাস যোজনা, একশো দিনের কাজে তারা টাকা বন্ধ রেখেছে। বলেছে, আগে হিসেব দেবেন, তারপরেই টাকা দেওয়া হবে। তবে মুখ্যমন্ত্রী কিছুতেই শুনছেন না। কারণ কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না। আর এতেই তার দলের নীচুতলার অনেক কাটমানি খোর নেতারা প্রবল বিপাকে পড়েছেন। তাই এখন আবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে অর্থের দাবিতে আওয়াজ তুলছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেই ব্যাপারে এবার মুখ্যমন্ত্রীকে চরম চাপের মুখে ফেলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা একেবারে চাঁচাছোলা ভাষায় জবাব দেন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর শুধু টাকা, টাকা, টাকা! টাকা দিয়ে কি করবেন? টাকা দিলেই তো উনি চুরি করবেন। এই সরকারকে টাকা দেওয়ার বদলে ভারত সেবাশ্রমের মত সংস্থাকে দিয়ে টাকা খরচ করানো উচিত। তাহলে তা মানুষের কাছে পৌঁছবে।” একাংশ বলছেন, শুভেন্দুবাবুর এই কথা শুনে অনেকেরই গা জ্বালা হতে পারে। কিন্তু যে রাজ্যে কথায় কথায় দুর্নীতি হয়, যে রাজ্যে সুযোগ পেলেই নেতারা চুরি করেন, সেখানে এর বিকল্প কি? ভারত সেবাশ্রম ত্যাগের প্রতীক। তাই তাদের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার যদি টাকা পাঠায় এবং সেই টাকা যদি মানুষের কাছে পৌঁছয়, তাহলেই মানুষ প্রকৃত সুবিধা পাবেন। আর এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল নেতারা যে পরিমাণ দুর্নীতি করেছেন, যেভাবে একের পর এক নেতারা জেলে যাচ্ছেন, তাতে স্পষ্ট যে, এরা মানুষের টাকা লুট করেছে। তাই আবার তারা টাকা চাইছে, যাতে ফাঁকফোকর খুঁজে কোথাও দুর্নীতি করা যায়। কিন্তু সেই সুযোগ এই চোরেদের দিলে রাজ্য কার্যত ফাঁকা হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন একাংশ।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, লজ্জা থাকা উচিত মুখ্যমন্ত্রীর। এতদিন যে টাকা কেন্দ্রীয় সরকার দিয়েছে, আগে তার হিসাব দিন, তারপরে টাকা চাইবেন। মুখে বড় বড় কথা বললেই হয় না। কাজ করে দেখাতে হয়। যেভাবে দুর্নীতি করে রাজ্যকে এই সরকার শেষ করে দিয়েছে, তাতে গোটা দেশ বাংলাকে দেখে লজ্জা পাচ্ছে। মানুষের টাকা লুট করার দিন শেষ। আগে যারা দুর্নীতি করেছে তারা জেলে যাবে, তারপরেই কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের টাকা মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই রাজ্যের মানুষের কাছে এখন একটা বড় চ্যালেঞ্জ চুরিকে বন্ধ করা। তবে চুরি এমনি এমনি বন্ধ হবে না। যে হ্যাবিট এই তৃণমূলের নেতাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে, তাকে বন্ধ করা মুশকিল। তারা সুযোগ পেলেই চুরি দুর্নীতি করবেন। তাই আগে এদের বিতাড়িত করতে হবে। ভোটের মাধ্যমে বিদায় জানাতে হবে এই সরকারকে। তাহলেই নতুন সূর্য দেখতে পাবে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। তাই শেষ পর্যায়ে এসে আবার একটা অর্থনৈতিক বঞ্চনার নাটক করে কেন্দ্রের কাছ থেকে টাকা পাওয়ার চেষ্টা এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী করছেন, যাতে আবার তারা একটা সংগঠিত দুর্নীতি করতে পারেন। কিন্তু সেই সুযোগ এই সরকারকে আর দেওয়া হবে না। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!