এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দু না অভিষেক? কোন নেতা কোন পন্থী? সেই হিসাবেই কি ব্যস্ত ঘাসফুল শিবির? জল্পনা দলেই

শুভেন্দু না অভিষেক? কোন নেতা কোন পন্থী? সেই হিসাবেই কি ব্যস্ত ঘাসফুল শিবির? জল্পনা দলেই


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – প্রকাশ্যে কেউ এই ব্যাপারে প্রশ্ন করছেন না ঠিকই। কিন্তু তলায় তলায় কে কোন নেতার অনুগামী, তা নিয়ে এখন তৃণমূলে ব্যাপক গুঞ্জন শুরু হয়েছে। যার একদিকে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অন্যদিকে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। মূলত, তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী কোনো জায়গা না পাওয়ার পর থেকেই দলে এই দুই নেতার মধ্যে বিভাজন স্পষ্ট হয়ে ওঠে বলে দাবি করেন বিশেষজ্ঞরা।

বিভিন্ন জেলা থেকে পর্যবেক্ষক‌ পদ তুলে দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর দায়িত্ব অনেকটাই ছেটে ফেলা হয়। যার মধ্যে অন্যতম মুর্শিদাবাদ জেলা। অধীর রঞ্জন চৌধুরীর এই শক্ত ঘাঁটিতে দায়িত্ব নিয়ে নিজের মতো করে সংগঠনকে সাজিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু এখন পর্যবেক্ষক পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে, সরাসরি ব্লক সভাপতি নিয়োগ হবে তৃণমূল ভবন থেকে। অর্থাৎ এই ব্যাপারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভাবে থাকবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

অনেকে বলেছেন, এতদিন শুভেন্দুবাবু নিজের মত করে নিজের পছন্দের লোকদের দিয়েই মুর্শিদাবাদ জেলা সাজিয়েছিলেন। আর এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দায়িত্ব নিলে তিনি নিজের মত করে সেই সমস্ত ব্যক্তিদের সরিয়ে সংগঠনকে সাজাতে শুরু করবেন। ফলে এখন জেলাজুড়ে একটাই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, কারা শুভেন্দুবাবুর অনুগামী এবং কারা অভিষেকবাবুর অনুগামী?

জানা গেছে, যুব নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ আকা গেঞ্জি গলায় পড়ে বেশ কিছু মোটরবাইক জেলাজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। পার্টি অফিসে এতদিন শুভেন্দু অধিকারীর ছবি থাকলেও এখন তার জায়গায় রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ। সূত্র মারফত খবর, মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের এক পদাধিকারী প্রকাশ্যে অভিষেকবাবুর বন্দনা করলেও ফেসবুকে পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর নামের জয়ধ্বনি দিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে সামশেরগঞ্জের তৃণমূল নেতা আনারুল হক স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, তার নেতার নাম শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি বলেন, “আমার রাজনৈতিক উত্থানের সবটাই শুভেন্দু অধিকারীর অবদান। শুভেন্দুদাই আমার রাজনৈতিক অভিভাবক এবং গাইড। সবাই একথা ঢাক বাজিয়ে বলতে পারেন না। আমি পারি। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর শুভেন্দুদাই আমার নেতা। তাই আমার সভা-সমিতিতে শুভেন্দুদার ছবি, শুভেন্দুদার কথা। প্রতিদিনই ওনার সঙ্গে কথা হয়। তিনি যে পথে চলবেন, আমি সেই পথেই চলব।”

এদিকে জেলা তৃণমূলের নতুন চার কো অর্ডিনেটরের মধ্যে অন্যতম খলিলুর রহমান। এদিন তিনিও শুভেন্দু অধিকারীর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “আমি তৃণমূলে এসেছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে। আমাকে দলে এনেছেন শুভেন্দু অধিকারী। স্বভাবতই দুজনেই আমার কাছের লোক। তাই শুভেন্দুকে ভোলা সম্ভব নয়।” রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মুর্শিদাবাদ জেলায় রাজনীতির অন্দরমহলে এখন কান পাতলে একটাই প্রশ্ন শোনা যাবে, তৃণমূলে কারা শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী এবং কারা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী?

তবে গোটা বিষয় দেখে একটা জিনিস পরিষ্কার, শুভেন্দু অধিকারীকে জেলা রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়া হলেও, তার অনুগামীরা যে এখনও পর্যন্ত তার সাথেই থাকবেন, তা তাদের বক্তব্যে পরিষ্কার হয়ে গেছে। অর্থাৎ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা রাজনীতিতে নাক গলানোর চেষ্টা করলেও, শুভেন্দু অধিকারীকে যে অনেকেই ভুলছেন না, তা কার্যত পরিষ্কার বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এখন জেলা সংগঠনে নাক না গলালেও শুভেন্দু অধিকারী কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারেন এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কতটা নিজের অনুগামীদের সংখ্যা বাড়িয়ে নিতে পারেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!