এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > তাড়ি খেলে সেরে যাবে ক্যান্সারের মত রোগও! মন্ত্রীমশায়ের নিদানে তুমুল হাসির রোল নেট দুনিয়ায়!

তাড়ি খেলে সেরে যাবে ক্যান্সারের মত রোগও! মন্ত্রীমশায়ের নিদানে তুমুল হাসির রোল নেট দুনিয়ায়!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দেশজুড়ে যখন করোনা মর্মান্তিক আকার ধারণ করেছে, ঠিক সেই সময় বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা এমন কিছু মন্তব্য করছেন, যা নিয়ে রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা চলছে। উদ্রেক হচ্ছে হাস্য-কৌতুকের। করোনার পাশাপাশি আরেক মারণ রোগ ক্যান্সার সেরে যাবে নেশা করলে বলেও দাবি করা হচ্ছে। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে হইচই। সম্প্রতি তেলেঙ্গানা সরকারের আবগারি মন্ত্রী নিদান দিয়েছেন, তাড়ি খেলে নাকি ক্যান্সার ঠিক হয়ে যাবে। তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি সরকারের আবগারি মন্ত্রী শ্রীনিবাস গৌর।

এদিন তিনি জানান, তাড়ি খেলে কমপক্ষে 15 রকমের রোগ ঠিক হয়ে যাবে। এবং সেই 15 রকম রোগের মধ্যে ক্যান্সার অন্যতম বলে তিনি দাবি করেছেন। তাঁর মতে, তালের রসের মধ্যে অনেক ঔষধি উপাদান থাকে। যার ফলে বহু রোগ নিরাময় হয় তালের রস খেলে। তিনি আরো বলেন, তাড়ি গরিবের মত বলে পরিচিত সব জায়গায়। কিন্তু অনেক পয়সাওয়ালা মানুষও যে এখন তালের রস খাচ্ছে, সেকথা জানান মন্ত্রী। যদি রোজ তাড়ি খাওয়া যায়, তাহলে ক্যান্সার সেরে যাবে। আর মন্ত্রীর এহেন টোটকা নিয়েই শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজনৈতিক মহলে এর আগেও কর্নাটকের এক কাউন্সিলর রীতিমতন ভিডিও করে করোনা মারার ফর্মূলা দেখিয়েছিলেন। তিনি দেখিয়েছিলেন কিভাবে 90ml রামের সাথে এক চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে করোনা বাপ বাপ করে পালাবে। এখানেই শেষ নয় করোনা মারার ওষুধের সাথে চাট হিসেবে খেতে হবে দুটি হাফ ফ্রাই ওমলেট বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। তবে ভিডিওতে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, কংগ্রেস কাউন্সিলর কতটা নীজে নেশাতুর ছিলেন। মুহূর্তের মধ্যে সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর তাই নিয়েই হাসির রোল ওঠে সর্বস্তরে।

অন্যদিকে লকডাউনের কারণে সারা দেশজুড়ে মদের দোকান যখন বন্ধ ছিলো, সে সময় রাজস্থানের এক কংগ্রেস বিধায়ক সেখানকার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে দাবি করেছিলেন, মদের দোকান খোলার। কারণ হিসেবে তিনি দেখিয়েছিলেন, মদ খেলে করোনা পালায়। তাই মদের দোকান খুলে দেওয়াই যুক্তিযুক্ত। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের সর্বসাধারণের সামনে রাজনৈতিক কর্তাব্যক্তিরা যদি এধরনের খেলো কথা বলেন, তাহলে খুব স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের গুরুত্ব অনেক কমে যাবে। বলা যায় নিঃসন্দেহভাবে গুরুত্ব হ্রাস পাবে। তবে অনেকেই মনে করছেন, এদেশের বৃহত্তম রাজস্ব আদায় হয় মদ বিক্রির মধ্যে দিয়ে। তাই মদের প্রচার চালাবার জন্য এগুলি অন্যতম রাস্তা বলে মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!