এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > জলের দরে বিকোচ্ছে মঙ্গল গ্রহের জমি! কিনে রাখবেন নাকি? পরে কিন্তু কপাল খুলে যেতে পারে! জানুন

জলের দরে বিকোচ্ছে মঙ্গল গ্রহের জমি! কিনে রাখবেন নাকি? পরে কিন্তু কপাল খুলে যেতে পারে! জানুন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কথায় বলে বামুন হয়ে চাঁদে হাত দিতে যেও না। তবে এখন যদি বলি চাঁদে হাত নয় নাই দিলাম, জমি তো কিনতে পারি ? আচ্ছা ঠিক আছে চাঁদ যদি অতই অপছন্দের হয়, তবে নাহয় মঙ্গলেই কিনব জমি। কি হল বিশ্বাস হল না? তাহলে যাতে বিশ্বাস হয় সেই কথা শুনুন। এক্সট্রাস্ট্রেরিয়াল রিয়েল এস্টেট বলতে পৃথিবী ছাড়া সৌরজগতের অন্য গ্রহ , প্রাকৃতিক উপগ্রহ বা স্থানের কিছু অংশে জমির মালিকানার দাবি বোঝায়। এক্ষেত্রে এই দাবি নির্দিষ্ট কোনো সংস্থা বা ব্যক্তি দ্বারা হতে পারে। তবে এই দাবিগুলি কোনও কর্তৃপক্ষের দ্বারা স্বীকৃত নয় এবং এর কোনও আইনি অবস্থানও নেই। তবুও কিছু বেসরকারী ব্যক্তি ও সংস্থা চাঁদের মত জায়গায় নিজেদের মালিকানা দাবি করে থাকে।

এবার আপনি নিশ্চয়ই বলবেন, তা যেখানে প্রাণ নেই সেখানে এই অসাধ্যসাধন হয় কি করে? তাহলে আরো একটু অবাক হওয়ার বাকি আছে আপনার। কারণ সেই অসাধ্যসাধন করে ফেলেছে আপনার ঘরের ছেলেই। হুগলির শ্রীরামপুরের বাসিন্দা শৌনক দাস। সম্প্রতি তাঁরই মঙ্গলে কেনা এক একর জমির দলিল দেখিয়ে গুগলের কনট্রিবিউটরের দাবি, তিনিই সম্ভবত প্রথম বাঙালি যিনি এই অসাধ্যসাধন করেছেন। তবে চমক এখানেই শেষ নয়, মঙ্গলে তাঁর প্রতিবেশী কে জানেন?  বিখ্যাত হলিউড অভিনেতা টম ক্রজ। তাহলেই বুঝুন।

স্ট্যান্ডার্ড, প্রিমিয়াম, ডিলাক্স প্রভৃতি প্যাকেজ সহ একাধিক দামে ও মাপের জমি কেনা যায় এখানে। শুধু তাই নয়, সরকারি ভাবে স্বীকৃতি না থাকলেও ডিড দেওয়া থেকে শুরু করে অনেক কাজই করে এই সংস্থাটি। তবে শুধু মঙ্গলের নয়, চাঁদেও নাকি জমি কেনা যায়। প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের। এমনকী বলিউড বাদশা শাহরুখ খানেরও জমি রয়েছে এখানে। তবে মঙ্গলে এখন হলিউডের আরও ২৫০ তারকারও জমি আছে বলে জানা গেছে। এখানে এক একর জমি কিনতে তিন হাজার টাকা খরচ হলেও জমির দলিলপত্র তৈরি করতে আরও কিছু টাকা লাগে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বলে রাখা দরকার, একটি বেসরকারি মার্কিন সংস্থা Buymars.com এর নামে মঙ্গলে জমি কেনাবেচার কপিরাইট রয়েছে। তারাই নাকি একমাত্র সংস্থা যারা মহাকাশে বিভিন্ন গ্রহে জমি কেনাবেচা করে। শুধু মঙ্গলই নয়, চাঁদ-সহ অন্যান্য গ্রহেও নাকি জমি বিক্রি করে এই সংস্থা। ওই সংস্থার ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, গত ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে নাকি মহাকাশে বিভিন্ন তারার নামকরণও করেছে তারা। বিশ্বের ১৭৬টি দেশের ৫০ লক্ষ মানুষ নাকি এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত।

আপনি ওদের ওয়েবসাইটে গিয়ে ওদের সঙ্গে চ্যাট করেও তথ্য জানতে পারবেন বলে জানা যায়। তবে মঙ্গলে কীভাবে এত কম দামে জমি পাওয়া যাচ্ছে, এই প্রশ্নের উত্তর বাংলার ক্রেতার কাছ থেকে জানা যায়, তিনি মহাকাশ যানের শৌচালয়ের নকশা তৈরির কাজ করেন। প্রথমে দাম শুনে তাঁরও অবাক লেগেছিল। কিন্তু এই দাম নাকি শেয়ারের বাজারের মতো ওঠানামা করে। পরে বাড়তেও পারে আবার কমতেও পারে। তবে যদি ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যায় সেই সাতপাঁচ ভেবে তিনি জমিটা কিনেই ফেলেছেন। তবে আপনি কি ভাবছেন? ইচ্ছে হলে একবার এই ওয়েবসাইটে ঢুঁ মেরে দেখলেও মন্দ হয় না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!