এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শিক্ষকদের হতাশ করে শিক্ষামন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন আর টাকা বাড়াতে হলে বাজার থেকে ধার করতে হবে!

শিক্ষকদের হতাশ করে শিক্ষামন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন আর টাকা বাড়াতে হলে বাজার থেকে ধার করতে হবে!


গতকাল নিখিলবঙ্গ সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতির ৩৫ তম বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে রাজ্যের হাজার হাজার অধ্যাপকদের আশায় কার্যত জল ঢেলে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন,রাজ্যের বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতির সাপেক্ষে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সপ্তন বেতনক্রম চালু করা কিছুতেই সম্ভব নয়।

আর তা করা হলে সরকারকে বাজার থেকে টাকা ধার করে মেটাতে হবে। কারণ সপ্তম বেতনক্রম চালু করা হলে, অধ্যাপকদের বর্ধিত বেতন ও বকেয়া টাকা মিলিয়ে আড়াই হাজার কোটি টাকা লাগবে। যেটার ব্যবস্থা করা রাজ্য সরকারের পক্ষে এককথায় অসম্ভব। মন্ত্রীর এই মন্তব্যে অধ্যাপকরা যে চূড়ান্ত হতাশ তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।

গত বছর জুলাই মাসে রাজ্যগুলিকে অধ্যাপকদের সপ্তম নতুন বেতনক্রম চালু করার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র। সেই নির্দেশ অনুযায়ী অন্যান্য রাজ্যে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের নয়া বেতনক্রম কার্যকর করলেও এব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তাই এ ব্যাপারে প্রশাসনের সাড়া মেলার আশায় রাজ্যের প্রায় সবকটি অধ্যাপক সংগঠনই শিক্ষামন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ডেপুটেশন দিয়েছিল।

সে ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া তো দূরে থাক,এদিন শিক্ষামন্ত্রী এ ব্যাপারে মন্তব্য রেখে রাজ্যের কয়েক হাজার অধ্যাপকদের নিরাশ করে দিলেন। স্পষ্ট কথায় জানালেন,”যেটা পারব সেটা বলব। ঘোষণা করে দেব, কিন্তু তা পাঁচ বছর পর লাগু হবে, সেরকম কিছু বলতে চাই না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গতকালের অনুষ্ঠানেও শিক্ষামন্ত্রীর সামনে একাধিক দাবীদাওয়া তুলে ধরলেন শিক্ষক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুশান্ত রায় কর্মকার। তিনি বললেন,যেসব কলেজে এখনো অধ্যক্ষ,লাইব্রেরিয়ানের পদ খালি পড়ে রয়েছে সেখানে অবিলম্বে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। এর পাশাপাশি জোন ভিত্তিক বদলির নিয়ম করারও আবেদেন করলেন তিনি।

শিক্ষকদের এই দাবীতে অসম্মত না হলেও মন্ত্রী শিক্ষকদের আরো দায়িত্বশীল হওয়ার বার্তা দেন। কটাক্ষের সুরে বলেন,শিক্ষকদের দায়িত্বপরায়ণতার অভাব রয়েছে।পঠনপাঠনে কী করে উৎকর্ষ বৃদ্ধি করা যায়, তা দেখার দায়িত্ব শিক্ষকদেরই। কী দরকার আর কী দারকার নেই, তা তো বলে দিতে হয় না। অথচ, শিক্ষকদের কী দায়িত্ব, তা কেন বলে দিতে হবে?

সংগঠনের প্রবীণ সদস্য অধ্যাপক স্বাধীন দে গতকালের অনুষ্ঠানে বলেন,সম্প্রতি পড়ুয়াদের ক্লাসে হাজিরার হার অনেক কমে গিয়েছে। উপস্থিতির হারের উপর নম্বর থাকলেও শিক্ষার্থীদের ক্লাসে টানা যাচ্ছে না। এই কথার পরই জবাব দিতে গিয়ে শিক্ষকদেরই খোঁচা মারেন পার্থ বাবু। হাসি মুখেই ব্যঙ্গের সুরে বলেন,শিক্ষকরা তো আজকাল না পড়িয়ে দাবীদাওয়া আদায়েই ব্যস্ত বেশি।

এটা বলার পর শিক্ষকদের বিক্ষোভ আন্দোলনের পথে না গিয়ে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান মন্ত্রী। এর পাশাপাশি অধ্যক্ষ নিয়োগ প্রসঙ্গেও শিক্ষকদেরই কটাক্ষ করেন মন্ত্রী। বললেন,”আমরা তো করতে চাই। কিন্তু আবেদন জমা না পড়লে আমি কী করব!”

দেড়শো শূন্যপদে নিয়োগের জন্যে আবেদন পত্র জমা পড়লেও দেখা যাচ্ছে যোগ্যতা অর্জন করেছেন মাত্র ৭৮ জন। তাই বাধ্য হয়ে ওসব পদে সহকারী অধ্যক্ষদেরই অধ্যক্ষ পদে বসানো হচ্ছে। তবে আগামী দিনে সরকারি এবং সরকার পোষিত কলেজে আরও তিন হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হবে বলেও আশার বার্তা দেন শিক্ষামন্ত্রী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!