এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটি-কোটি টাকার দুর্নীতি ধরা পড়ল রাজ্য সরকারের অডিটে

বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটি-কোটি টাকার দুর্নীতি ধরা পড়ল রাজ্য সরকারের অডিটে

মাটি ও জলের গুণগত মানের পরীক্ষার জন্য রাজ্য সরকারের কৃষি দফতরের তরফ থেকে বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে কোটি কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত তিনটি আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্র এবং একটি কলেজকে এই পরীক্ষা কেন্দ্র নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ অনেক কেন্দ্রেই টেন্ডার ছাড়াই একাধিক যন্ত্রপাতি কেনা হচ্ছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অডিট করা হয়েছিল। যার রিপোর্টেও পরিষ্কার ভাবে বিভিন্ন গোলমাল চোখে পড়ছে বলে জানা যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় অবশ্য এই সকল অনিয়মের অভিযোগ নাকচ করে জানিয়েছে যে তারা সকল নিয়ম কানুন মেনেই সব কিছু করেছেন। সূত্রের খবর বিশ্বাবিদ্যালয়ের অধীনে থাকা ৪ টি ইনস্টিটিউশনে পরীক্ষা কেন্দ্র নির্মাণের জন্য ১.৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ই-টেন্ডার ব্যতীত সকল প্রতিষ্ঠানই যন্ত্রাংশ কিনে নেওয়ার কাজ সম্পন্ন করেছে। পাশাপাশি অনেক জায়গায় বেশি দামে যন্ত্রাংশ কেনার অভিযোগও উঠেছে। এমনকি কিছু প্রতিষ্ঠানে যন্ত্রাংশ রাখবার জন্য বিল্ডিংও তৈরী করা হয়নি, ফলে অনেক প্রতিষ্ঠানে দামি যন্ত্রাংশ বাইরে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে।
ঝাড়গ্রাম সহ কিছু আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্রগুলিতে টেন্ডার ছাড়াই যন্ত্রাংশ কেনার অভিযোগ উঠেছে অডিট রিপোর্টে। আবার চাকদহে গবেষণা কেন্দ্র নির্মাণের জন্য ৫৫.৭৭ লক্ষ টাকা দেওয়া হলেও যন্ত্রাংশ এখনো পর্যন্ত কেনা হয়নি। মোহনপুর ক্যাম্পাসেরও অবস্থা তথৈবচ বলে জানা যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ধরণীধর পাত্র অবশ্য বলেন, বর্ধমান কৃষি কলেজ চারবার ই-টেন্ডার করলেও মাত্র দুজন তাতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী তিন জন না থাকায় পুরো টেন্ডারটি বাতিল করা হয়। পাঁচবারের সময় তাই তাঁরা একপ্রকার বাধ্য হয়েই বেশি দামে যন্ত্র কেনেন। পাশাপাশি ৬ মাসের মধ্যে যন্ত্রাংশের রিপিট অর্ডারের কথাও তিনি জানান। জমির সমস্যার কথা তুলে তিনি নতুন জমির কেনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন।সেখানে খুব তাড়াতাড়ি বিল্ডিং তৈরির কাজ হয়। ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত প্রকল্পের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা আশা করছেন তার মধ্যেই সকল কাজ শেষ হয়ে যাবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!