অবশেষে হতে চলেছে টেট পরীক্ষা, ব্যাপক শূন্যপদ নিয়োগ, খুশির হাওয়া বেকারদের! রাজ্য March 1, 2020 রাজ্যের বেকার থেকে শুরু করে বিরোধীদল, প্রত্যেকেরই সরকারের কাছে প্রধান দাবি ছিল কর্মসংস্থান। সেদিক থেকে প্রাথমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগ দীর্ঘদিন ধরে এই রাজ্যে বন্ধ থাকায়, নানা সময় নানা মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তবে এবার পৌরসভা ভোটের দামামা বাজার আগে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে বড়সড় সুখবর নিয়ে আসল রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, সম্প্রতি এই ব্যাপারে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। আর তারপরই 15 হাজারের বেশি শুন্যপদে নিয়োগ হবে বলে জানা গেছে। এদিন এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দ্রুত প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করার জন্য শিক্ষা দপ্তর উদ্যোগ নিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দিয়ে দেওয়া হবে। কয়েক হাজার শূন্যপদে টেটের মাধ্যমে এই নিয়োগ হবে।” আর শিক্ষামন্ত্রীর এই ঘোষণাতেই এখন ছড়িয়ে পড়েছে আশার আলো। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 2015 সালে এই রাজ্যে শেষবারের জন্য প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয়েছিল। পরবর্তীতে 2016 সালে এর ফল প্রকাশ হলেও, বিভিন্ন মামলায় জর্জরিত হতে হয় রাজ্য সরকারকে। শেষ পর্যন্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করে রাজ্য সরকার। এরপর গত 2017 সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলেও, সেই পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু এবার অবশেষে শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষনায় পৌরসভা ভোটের পরেই প্রাথমিকের টেট পরীক্ষা হতে চলেছে বলে জল্পনা ছড়িয়ে পড়ল। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা গেছে, অতীতে যারা আবেদন করেছেন, পরীক্ষায় বসতে গেলে তাদের আর নতুন করে আবেদন করতে হবে না। তবে এবার দীর্ঘদিন পর রাজ্যে টেট পরীক্ষা হওয়ায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা পাঁচ লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে বলেও মনে করছেন একাংশ। বিশ্লেষকরা বলছেন, এতদিন নানা মামলা সহ বিভিন্ন জটিলতার কারণে এই টেট পরীক্ষা কার্যত বিশবাঁও জলে চলে গিয়েছিল এই রাজ্যে। কিন্তু এবার শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণায় কিছুটা হলেও আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন সকলে। তবে যদি ঠিকমত টেট নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে রাজ্য সরকার, তাহলে রাজনৈতিকভাবে শাসকদলের অনেকটাই লাভ হবে বলে মনে করছেন একাংশ। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, পরীক্ষা ব্যবস্থা সম্পন্ন হওয়ার পর বেকারদের মুখে কতটা হাসি ফোটে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -