সভা মিটলেও মিলান মেলায় এখনো হাজার হাজার সমর্থক, আতিথেয়তায় খোদ অভিষেক কলকাতা রাজ্য July 22, 2018 বাঙ্গালীর পুজো যেমন শেষ হয়েও হয় না তেমন ২১ শে জুলাইয়ের মহা-আয়োজন শেষ হয়ে গেলেও বেশ বড় সংখ্যক মানুষ এখনো রয়ে গেছেন মিলন মেলায় তৃণমূলের অস্থায়ী শিবিরে। একই সাথে রথ দেখা কলা বেচার মত কাজও সেরে নিচ্ছেন অনেকে। শনিবার রাতে তাড়াহুড়ো করে না ফিরে একটু জিরিয়ে নেওয়া ও সেই সাথে কলকাতার দ্রষ্টব্য স্থান গুলি দেখা এই হল এখন তাঁদের কাজ। এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে কলকাতা যাঁদের সহসা আসা হয় না, তাঁরা মেট্রোরেল থেকে শুরু করে চিড়িয়াখানা, জাদুঘর, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে ভিড় জমিয়েছেন। তাঁদেরই একটা বড় অংশ রাতে চলে আসে মিলন মেলায় দলীয় আতিথ্য গ্রহণ করার জন্য। দূরের জেলা থেকে আসা কর্মী-সমর্থকদের থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করতে যে বিপুল আয়োজন হয়েছিল মিলন মেলায়, সেই বিশাল পাঁচটি তাঁবুর দু’টি গুটিয়ে ফেলা হয় তবুও রাতে যে সব মানুষ থেকে গেলেন, তাঁদের সমস্যা যাতে না হয়, তার জন্য সব পরিষেবাই পর্যাপ্ত পরিমাণে ছিল। মহিলাদের জন্যেও পর্যাপ্ত ব্যাবস্থা ছিল বলে দেখা গেল। পাঁচ নম্বর তাঁবুর ভিতরে গিয়ে দেখা গেল, প্রায় ৩০ জন মহিলা সারি দিয়ে ঘুমোচ্ছেন। আশে পাশে বসে থাকা লোকজনেরা বলেন তাঁরা বেশিরভাগই এসেছেন উত্তরবঙ্গ বা পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রামের মত দূরের জেলা থেকে। এখনো থেকে যাওয়া কর্মী-সমর্থকদের বেশিরভাগেরই বক্তব্য, আসার সময় অনেক কষ্ট করতে হয়েছে – এত ভিড় ছিল যে, বেশিরভাগ ট্রেনযাত্রার রাস্তাই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আসতে হয়েছে। ফেরার তেমন তাড়া নেই বলে রবিবার সকালেই ধীরেসুস্থে বেরব। অন্যদিকে, মিলন মেলার যাবতীয় আয়োজনের এক কর্মকর্তা বলেন, সবাই সুষ্ঠুভাবে বাড়ি ফিরলে তবেই আমাদের ছুটি। তবে এসবের মাঝেই তৃণমূলী জনতার হৃদয় জয় করে নিয়েছেন শাসকদলের ‘যুবরাজ’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দূরে জেলাগুলি থেকে কর্মী-সমর্থকেরা আসতে শুরু করেছিলেন সেই বুধবার থেকেই। আর সেদিন থেকেই প্রায় সবদিকে নজর তাঁর। দলীয় নেতাদের নির্দিষ্ট দায়িত্ত্ব বুঝিয়ে দিয়েই থেমে থাকেননি তিনি – রীতিমত নিজে নিয়মকরে এসে তদারকি করে গেছেন কর্মী-সমর্থকদের সুবিধা-অসুবিধার। আর তাই তৃণমূলী জনতার নয়নের মণি এখন ‘যুবরাজ’, বয়স্ক এক তৃণমূল সমর্থক তো বলেই ফেললেন, যেভাবে প্রাণ দিয়ে সবকিছু করছে, নিজে এসে খোঁজখবর নিচ্ছে ভাবা যায় না। যেহেতু এটা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের অনুষ্ঠান তাই জুতো সেলাই থেকে চন্ডীপাঠ সব দায়িত্ত্ব সামলেও আমাদের মত সাধারণ কর্মী-সমর্থকদের তদারকি যেভাবে করছে তা এককথায় দুর্দান্ত। ও (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) যে পিসির (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) মতোই একজন বড় জননেতা হওয়ার দিকে ধীরে ধীরে এগোচ্ছে ক্রমশ সেটা স্পষ্ট করে দিচ্ছে। আপনার মতামত জানান -