এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ফের তৃণমূল সুপ্রীমোর বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন দিলীপ ঘোষ, ফের শুরু শাসক-বিরোধী কাজিয়া

ফের তৃণমূল সুপ্রীমোর বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন দিলীপ ঘোষ, ফের শুরু শাসক-বিরোধী কাজিয়া


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যজুড়ে শাসক-বিরোধী কাজিয়া প্রথম থেকেই ছিল। কিন্তু করোনা আবহের প্রথম থেকে শুরু হয়েছে রাজ্যের বিরুদ্ধে রেশনিং দুর্নীতি নিয়ে প্রবলভাবে আক্রমণ বিরোধী দলগুলির। যার মধ্যে গেরুয়া শিবির অন্যতম। করোনার পরেই ত্রাণ দুর্নীতি নিয়েও শুরু হয় চরম রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রথমদিকে শাসকদল দুর্নীতি নিয়ে বিরোধীদের কথা রীতিমত উড়িয়ে দেয়। কিন্তু ক্রমশ যখন সাধারণ জনগনের মনে শাসকদলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ পায়, তখনই নড়েচড়ে বসে রাজ্য প্রশাসন।

এই অবস্থায় দুর্নীতিকে কড়া হাতে দমন করতেই রাজ্য জুড়ে শুরু হয় শাসকদলের শুদ্ধিকরণ নীতি। অন্যদিকে দুর্নীতি নিয়ে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে সমস্ত দায়ভার রাজ্যের পূর্ব প্রশাসক বামেদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে প্রবল রাজনৈতিক সমালোচনা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, বাম জমানায় যেখানে 100% দুর্নীতি চলেছে, তৃণমূলের আমলে সেই দুর্নীতি 90% কমে 10% এ এসে ঠেকেছে। আর এহেন তৃণমূল নেত্রীর এই দাবি ঘিরে রীতিমতো অবাক হয়েছেন রাজনৈতিক মহলের অনেকেই।

রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা প্রত্যুত্তরে বলেন, পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্র দুর্নীতি। স্কুল কলেজে ভর্তি থেকে শুরু করে প্রাইমারি টেট সব জায়গাতেই দুর্নীতি চলছে প্রবলভাবে। তৃণমূলের প্রত্যেকেই যে দুর্নীতিগ্রস্ত সে কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি। এদিন রাজ্য বিজেপি সভাপতি আরও বলেন, দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে বর্তমানে মামলা করছে শাসক দল। এরপর দুর্নীতির তথ্য তুলে ধরেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর 10% শতাংশ দুর্নীতি প্রসঙ্গ তুলে রাজ্য বিজেপি সভাপতি বলেন, নামখানা ব্লকেই ইতিমধ্যে কুড়ি লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুধু তাই নয়, নন্দীগ্রামেও যে 200 জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে সে কথাও জানান তিনি। সূত্রের খবর, যাদের মধ্যে কুড়ি জনকে দল ইতিমধ্যে সাসপেন্ড করেছে। দিলীপ ঘোষ এদিন দাবী করেন, নন্দীগ্রামে 200 নয়, প্রায় 2500 লোক বেআইনিভাবে টাকা নিয়েছে। তবে বিজেপি যে বরাবর তৃণমূলের দুর্নীতি ধরানোর কাজ করে যাবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। অন্যদিকে শাসক দলের নেত্রীর পক্ষ থেকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, দুর্নীতিতে যাঁরাই যুক্ত হবে, তাঁদের কাউকে ছেড়ে দেওয়া হবেনা।

তবে বিরোধী শিবির বিজেপির মত, দলীয় কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুধুমাত্র জনগণের চোখে ফাঁকি দেওয়া ছাড়া আর কিছু নয়। দুর্নীতি যেভাবে তৃণমূল শিবিরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে তা এত সহজে নির্মূল করা সম্ভব নয়। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন হতে আর বিশেষ দেরী নেই। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তৃণমূল শিবির শুদ্ধিকরণে যে বিশেষ জোড় দেবে সেকথা বলাই বাহুল্য। আপাতত দুর্নীতির বিরুদ্ধে যেভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে শাসক শিবির, তাতে আগামীদিনে রাজ্যবাসী দুর্নীতিমুক্ত রাজ্য দেখতে পান কিনা সেদিকেই নজর থাকবে সবার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!