এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলের অন্দর থেকে রাজনীতির মঞ্চে ফের অভিষেকের হঠাৎ ‘উত্তরণ’ , চর্চা সবমহলে

তৃণমূলের অন্দর থেকে রাজনীতির মঞ্চে ফের অভিষেকের হঠাৎ ‘উত্তরণ’ , চর্চা সবমহলে

দুদিনের সফরে কলকাতায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর এর পরে মোদীর বিভিন্ন বক্তব্যের জবাব দিতে হঠাৎ ” উত্তরণ ” ঘটলো অভিষেকের। জানা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিভিন্ন বক্তব্যের জবাব দিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে এনে দলের তরফে তাঁর বিবৃতি প্রকাশ করেছে তৃণমূল। সেখানে অভিষেক বলেছেন, ”প্রধানমন্ত্রী অনেক কথা বলেছেন ঠিকই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি এড়িয়ে গিয়েছেন।”

প্রধানমন্ত্রীর একাধিক কর্মসূচির বক্তৃতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বলছেন – বিভিন্ন সময় সে সব ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন দিদি ( মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়)। প্রধানমন্ত্রীর কথায় সে সব জায়গা পায়নি।সাথেই অভিষেক বলেন, ”কেন্দ্রের কাছে পাওনা ৩০ হাজার কোটি টাকা রাজ্যকে দ্রুত দেওয়া, বুলবুলের ক্ষতিপূরণে ৭০০০ কোটি টাকা এবং গঙ্গাসাগরে প্রতিশ্রুতি মতো লোহার সেতু তৈরির মতো বিষয় তাঁর বক্তৃতায় নেই।”

প্রধানমন্ত্রী ফিরে যাওয়ার পরে তৃণমূলের তরফে সামগ্রিকভাবে তাঁর বক্তব্যের ‘জবাব’ দিয়েছেন অভিষেকই। সংসদের শেষ অধিবেশনে নতুন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দলের সংক্ষিপ্ত বক্তাতালিকায়ও ছিলেন অভিষেক। তৃণমূলের অন্দরেও অভিষেকের এই ‘উত্তরণ’ নিয়ে চর্চা চলছে।যদিও এই চর্চা শুধু যে তৃণমূলের অন্দরেই থেমে আছে তা নয় ছড়িয়েছে সব মহলেই। কেননা এতদিন সেভাবে রাজনীতির মাঠে ময়দানে তাঁকে দেখা যায়নি। দলের অন্দরেও সেই নিয়ে নানা প্রশ্ন ছিল।

লোকসভা ভোটের পর দলের নেতা করি সমর্থকরাও অভিষেকের উপর আঙ্গুল তুলেছিলেন। শুধু তাই নয় , মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর তাদের পছন্দ ছিল মহুয়া মৈত্র। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর দলের দায়িত্বে মহুয়া মৈত্রকে দেখতে চেয়ে একের পর এক পোস্ট পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর যখন উপনির্বাচন হয় ও তৃণমূলে তিনটে আসনই নিজেদের দলকে রাখে। তৃণমূলের নেতা কর্মী সমর্থকদের কাছে মহুয়া মৈত্র ও প্রশান্ত কিশোরে কার্যত ভগবানের রূপ নেন। কোথায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম পর্যন্ত শোনা যায়নি। দলে একপ্রকার নিস্তেজ হয়েই ছিলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে মহুয়া মৈত্র ও প্রশান্ত কিশোরের নাম জয়জয়াকার পরে যায়। কখনো কখনো আবার নেত্রীর জনপ্রিয়তাকে ছাপিয়ে গেছেন প্রশান্ত কিশোর।

এদিকে অভিষেক শুধু মাত্র দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো হয়েই রয়ে গেছেন দলের অন্দরে। এর মধ্যেই ফোর্বসের আগামী এক দশকের গতি-প্রকৃতি নির্ধারণের তালিকায় যে কুড়ি জনের নাম রয়েছে, তার মধ্যে নাম রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদলের রণনীতিকার প্রশান্ত কিশোর ও মহুয়া মৈত্র। ধরে কাছেও নেই অভিষেক।

ফোর্বস ম্যাগাজিনে প্রশান্ত কিশোরের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে লেখা রয়েছে, “42 বছরের এই ব্যক্তি 2011 সাল থেকে নির্বাচনী কৌশল হিসেবে কাজ করছেন। প্রথমে তিনি গুজরাট নির্বাচনে বিজেপির হয়ে কাজ করেছিলেন। পরবর্তীতে 2014 সালে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে কৌশল সাজিয়েছিলেন। পরে আরও বিভিন্ন দলের হয়ে তিনি কাজ করেছেন এবং তার সাফল্যের হার বেশি।”

আর এখন প্রশ্ন উঠছে তবে কি এবার সেই কারণেই দল অভিষেককে এগিয়ে রাখছে। সেই কারণেই কি হঠাৎ ”উত্তরণ ” হলো অভিষেকের। জবাব এখনো মেলেনি। তবে রাজনৈতিকমহলের মতে, তৃণমূল সুপ্রিমো হয়তো আন্দাজ করেছেন যে, অভিষেক ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে প্রশান্ত কিশোর ও মহুয়া মিত্রের রাননীতির কাছে আর তাই অভিষেককে টিকিয়ে রাখতেই এবার মাঠে নামানো হলো যুব সভাপতিকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!