এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > গ্রেপ্তার গেরুয়া শিবির ও ঘাসফুল শিবিরের দুই প্রভাবশালী নেতা, প্রতিবাদে উত্তপ্ত হচ্ছে উত্তরবঙ্গ

গ্রেপ্তার গেরুয়া শিবির ও ঘাসফুল শিবিরের দুই প্রভাবশালী নেতা, প্রতিবাদে উত্তপ্ত হচ্ছে উত্তরবঙ্গ

গোটা রাজ্যে যখন তৃনমূল সরকারের বিরুদ্ধে পুলিশি জুলুমের অভিযোগ তুলে পথে নেমেছে বিজেপি ঠিক তখনই
একই দিনে শাসক ও বিরোধী দলের দুই নেতা গ্রেপ্তারের ঘটনায় চরম চাঞ্চল্য তৈরি হল দক্ষিন দিনাজপুরে। একদিকে বিজেপির জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার এবং অন্যদিকে শাসকদল তৃনমূলের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান লগিন দাস। কিন্তু হঠাৎ একই দিনে দুই দলের দাপুটে হেভিওয়েট নেতা গ্রেপ্তার হলেন কেন? জানা গেছে, গত 4 জুন বিজেপির বুনিয়াদপুরের এক নেত্রী মানসিকভাবে অত্যাচারের কারনে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। আর এরপরেই ওই বিজেপি নেত্রীর স্বামী দলের জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকারের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

 এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

আর এরপরেই সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার সেই বিজেপির জেলা সভাপতিকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার গঙ্গারামপুর আদালতে তোলা হলে পুলিশ 14 দিনের হেফাজত চাইলেও বিচারক অভিযুক্তের 3 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। যার ফলে বালুরঘাটের মঙ্গলপুর,হিলির ত্রিমোহিনী, কামারপাড়া, তপন, গঙ্গারামপুরের বিভিন্ন রাস্তা অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীসমর্থকরা। এ প্রসঙ্গে বিজেপির সাধারন সম্পাদক মানস সরকার বলেন, “আমাদের জেলা সভাপতিকে ফাঁসানো হয়েছে। এনিয়ে আমরা ধারাবাহিক আন্দোলনে নামব।”

অপরদিকে জেলার গেরুয়া শিবিরের সেনাপতিকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে যখন মাঠে নেমেছে বিজেপি ঠিক তখনই বালুরঘাটে দাপুটে তৃনমূল নেতা লগিন দাসকে সোণবার পতিরামের বাহিচা থেকে মাদকদ্রব্য পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তারের ঘটনায় মুখ পড়ল তৃনমূলেরও। জানা গেছে, সম্প্রতি বালুরঘাটের সাহেবকাছারি এলাকার এক গোডাউন থেকে নেশার ওষুধ উদ্ধারে নাম জড়ায় তৃনমূল নেতা লগিন দাসের। এ প্রসঙ্গে তৃনমৃলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র বলেন, “লগিন দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হলে পুলিস আইন মেনে ব্যাবস্থা নেবে।

আর দলের পক্ষ থেকে পরবর্তী বৈঠকে আমরা এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।” অন্যদিকে একই দিনে জেলার শাসক ও বিরোধী দলের দুই হেভিওয়েট নেতাকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় দক্ষিন দিনাজনুর জেলা পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “লগিন দাসের নামে একাধিক অভিযোগ রয়েছে তাই নির্দিষ্ট মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর এক মহিলাকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে শুভেন্দু সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিন আদালতে তুলে আমরা তাদের নিজেদের হেফাজতে পেয়েছি। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।” রাজনৈতিক মহলের মতে, একই দানে শাসক ও ববরোধী দুই নেতা গ্রেপ্তার হলেও বিরোধী দলের পক্ষ থেকে বিজেপির জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকারকে ছাড়ানোর দাবিতে কর্মীসমর্থকরা রাস্তায় নামলেও বালুরঘাট হেভিওয়েট তৃনমূল নেতা লগিন দাসকে গ্রেপ্তার করলেও কেন কোনো আন্দোলন নেই শাসকদল তৃনমূলের? সব মিলিয়ে চরম উত্তেজনা দক্ষিন দিনাজপুরে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!