এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > প্রকাশ্যে দলীয় কোন্দল,বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলে ভাঙনের সুর প্রকট

প্রকাশ্যে দলীয় কোন্দল,বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলে ভাঙনের সুর প্রকট

জেলা পরিষদের সভাধিপতি নির্বাচন নিয়ে প্রকাশ্যেই এবার কোন্দল বাঁধিয়ে দিল তৃণমূল। লোকসভা ভোটের আগে ফের একবার দলীয় অস্বস্তিকে বাড়িয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামনে এল জোড়াফুল শিবিরের। উত্তেজনা তুঙ্গে কোচবিহারের শাসকদলের শিবিরে। জানা গিয়েছে,এই ইস্যুতে প্রাক্তন জেলা পরিষদের সভাধিপতি পুষ্পিতা রায় ডাকুয়া ইতিমধ্যে দল ছাড়ার আভাস দিয়ে দিয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে এখনই কোনো প্রকাশ্য মন্তব্য করতে রাজি নন কোচবিহার জেলা তৃণমূল নেতৃত্বরা।

কে হবে কোচবিহার জেলা পরিষদের সভাধিপতি? এ প্রশ্নকে কেন্দ্র করেই যত গন্ডোগোলের সূচনা। এদিন বোর্ড গঠনের সময় সভাধিপতি পদের জন্য নাম ঘোষণা করা হয় উমাকান্ত বর্মনের এবং সহসভাপতি পদের জন্য উঠে আসে পুষ্পিতা দেবীর নাম। এই ঘোষণা পরই দলের মধ্য অসন্তোষ শুরু হয়। পুষ্পিতা দেবীর জায়গায় উমাকান্ত বর্মনকে অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। এর জেরে দলের অন্দরের দুটি গোষ্ঠী তৈরি হয়। জেলা পরিষদেল ভবনের সামনে উপস্থিত দলীয় কর্মীদের একাংশ অসন্তোষ প্রকাশ করে। তাছাড়া অভিযোগে এমনটাও জানা গিয়েছে বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মনের সঙ্গে সখ্যতা থাকার দরুণ জেলাপরিষদের সভাধিপতির পদটি উমাকান্ত বাবুকে দেওয়া হয়েছে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

আর বিনয়কৃষ্ণ বর্মনকে জেলার অনেক মানুষই পছন্দ করেননা ব্যক্তিগতভাবে,তাই তাঁর ঘনিষ্ট ব্যক্তিতে সভাধিপতির পদে মেনে নিতে নারাজ দলীয় কর্মীদের একাংশ। তাই উমাকান্ত বাবুকে জেলাপরিষদের সভাধিপতির পদ থেকে সরানোর জন্য বিক্ষোভ করেন তাঁরা। নবনিযুক্ত সভাধিপতি উমাকান্ত বর্মনের প্রতিকৃতিতে জুতোর মালা পরিয়ে রীতিমতো অপমান করে তাঁর। এটা করেই ক্ষান্ত থাকেননি তারা। নতুন সভাধিপতির কুশপুতুলও দাহ করে চলে বিক্ষোভ এবং শ্লোগান।

বিক্ষোভ এতোটাই তীব্র ছিল যে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এদিন জেলা পরিষদ ভবনো ঢুকতে গিয়েই বাধার মুখে পড়েন। তাকে ঘিরেই প্রতিবাদ বিক্ষোভ চালান দলীয় কর্মীরা। রীতিমতো বিরক্ত হয়ে যান তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতা। বিক্ষুব্ধ কর্মীদের নামোল্লেখ না করেই তিনি বলেন,সবার সম্মতি নিয়েই জেলা সভাধিপতি নির্বাচন করা হয়েছে। গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তিনি সরাসরি দাবী করলেন যারা দলের সিদ্ধান্ত কে মান্যতা না দিয়ে দলবিরোধী বিক্ষোভ করেছ,শ্লোগান তুলেছে তারা তৃণমূল কর্মী নন। তবে বিদায়ী জেলা সভাধিপতি এ ব্যাপারে কী বলেছেন,সে বিষয়ে মন্তব্য করতে সাফ কথায় আপত্তি জানালেন তিনি।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

উল্লেখ্য,জেলা পরিষদের সভাধিপতির পদ থেকে সরে সহ-সভাধিপতি পদে নিজের নাম দেখে অসন্তোষে ফুঁসছেন পুষ্পিতা রায় ডাকুয়া। সাংবাদিকদের সামনে নিজের দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নিজের রাগ জাহির করে সেই প্রমাণটাই দিলেন তিনি। বললেন,সভাধিপতি থাকাকলীন জেলার উন্নয়ণমূলক কর্মসূচি সবরকমভাবেই করেছেন তিনি। কাজে খামতি রাখেননি কোনো। সেজন্য অনেক পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। এরকম নজির কোচবিহার জেলাপরিষদের ইতিহাসে বিরল,এমনটা বলেও নিজের কাজের খতিয়ান তুলে ধরতে চাইলেন তিনি। এতো কাজ করার পরেও তাকে সভাধিপতির পদ থেকে হটিয়ে সহ-সভাধিপতির পদে বসানোর কথা ভেবে তাকে একরকম তিরস্কারই করেছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। এমনটাই বক্তব্যে জানালেন তিনি। এবং ভবিষ্যতে যে দলের সঙ্গে সম্পর্ক নাও রাখতে পারেন এমনটাও ইঙ্গিত দিয়ে দিলেন এদিন। যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে হাতিয়ার করে শাসক দল বিরোধীদের আক্রমণ করে,সেই হাতিয়ারেই বারবার আহত হচ্ছে তৃণমূলের সংগঠন। গোটা ঘটনার জেরে কোচবিহার জেলা তৃণমূলের অন্দরে ক্ষোভ যেন টগবগ করে ফুটছে। এবং এই সমস্যার জলদি সমাধানসূত্র না বের করতে পারলে উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের সংগঠনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন তৃণমূলের হেভিওয়েটরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!