এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ওয়ার্ড সংরক্ষণে ব্যাপক ক্ষোভ তৃণমূলের অন্দরে, অভিযোগ সংরক্ষণ পরিকল্পিত

ওয়ার্ড সংরক্ষণে ব্যাপক ক্ষোভ তৃণমূলের অন্দরে, অভিযোগ সংরক্ষণ পরিকল্পিত

সম্প্রতি পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে ওয়ার্ড সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশ হয়েছে। যেখানে দেখা গেছে, তৃণমূলের অনেক কাউন্সিলররা নিজের ওয়ার্ডে আর দাঁড়াতে পারছেন না। কেননা সেই ওয়ার্ড সংরক্ষিত হয়ে গিয়েছে। আর তার ফলেই এবার সেই সমস্ত কাউন্সিলরদের অনেকেই ক্ষোভে ফুসতে শুরু করেছেন। এক্ষেত্রে গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে, বারুইপুর পৌরসভায় চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানের ওয়ার্ড অক্ষত থাকা।

কেননা এই পৌরসভার এই দুই ব্যক্তির ওয়ার্ড অক্ষত থাকলেও, অনেক তৃণমূল কাউন্সিলরের ওয়ার্ড সংরক্ষিত হয়ে গিয়েছে। যার ফলে সেই সমস্ত কাউন্সিলারদের একাংশ আড়ালে-আবডালে দাবি করতে শুরু করেছেন যে, পরিকল্পনামাফিক তাদের টিকিট না দেওয়ার জন্যই তাদের সঙ্গে এরূপ বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে। যা নিয়েই এখন সরগরম হয়েছে ঘাসফুল শিবিরের অন্দরমহল।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, 17 আসন বিশিষ্ট বারুইপুর পৌরসভার 16 টি আসন তৃণমূলের দখলে রয়েছে। এই ওয়ার্ডগুলোর সংরক্ষন অতীতে এক রূপ থাকলেও, এবার 2 নম্বর, 7 নম্বর, 14 নম্বর এবং 16 নম্বর ওয়ার্ড তফসিলি শ্রেণীর জন্য নির্দিষ্ট হয়ে গিয়েছে। যার মধ্যে 17 ও 14 নম্বর ওয়ার্ড মহিলা তফসিলি শ্রেণীর জন্য সংরক্ষিত। একইভাবে 4 নম্বর, 8 নম্বর, 11 নম্বর এবং 15 নম্বর ওয়ার্ড সংরক্ষিত করা হয়েছে সাধারণ মহিলাদের জন্য। এদিকে দুই নম্বর ওয়ার্ড সংরক্ষিত হয়ে যাওয়ায়, সেখান থেকে আর দাঁড়াতে পারছেন না তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা জয়ন্ত ভদ্র। 15 নম্বর ওয়ার্ডের ক্ষেত্রেও সংরক্ষণ চলে আসায়, দীর্ঘদিনের তৃণমূল কাউন্সিলর স্বপন মন্ডল এবার সেই ওয়ার্ডে দাঁড়াতে পারবেন না। যা নিয়ে তৃণমূলের অনেকের মধ্যেই তৈরি হয়েছে অসন্তোষ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি যে সমস্ত কাউন্সিলর শুধুমাত্র সংরক্ষণের জন্য দাঁড়াতে পারছেন না, তাদের মধ্যেও প্রবল ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। জানা গেছে, এই বারুইপুর পৌরসভার 11 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ছিলেন মজফফর আহমেদ। তার ওয়ার্ড মহিলা সংরক্ষিত হয়ে যাওয়ায়, তিনিও এবার নিজের ওয়ার্ডে দাঁড়াতে পারছেন না। অন্যদিকে 14 নম্বর ওয়ার্ড মহিলা থাকলেও, এবার তা তপশিলি মহিলা ওয়ার্ড হয়ে গিয়েছে। যার ফলে সেখানকার দীর্ঘদিনের কাউন্সিলর রুপা দত্ত এবার সেই ওয়ার্ডে দাঁড়াতে পারবেন না।

একই অবস্থা বিজেপির অনেক কাউন্সিলারের ক্ষেত্রেও। যেমন 4 নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির কাউন্সিলার ছিলেন প্রীতম দাস। কিন্তু তার ওয়ার্ড এবার মহিলা সংরক্ষিত হওয়ায়, তিনিও নিজের ওয়ার্ডে দাঁড়াতে পারবেন না। আর ওয়ার্ড সংরক্ষণে ব্যাপক বদল আসায় এবং তৃণমূলের অনেক কাউন্সিলার নিজের ওয়ার্ডে না দাড়াতে পারায় এখন তলায় তলায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন। একাংশের দাবি, আসলে পরিকল্পনামাফিক তারা যাতে ভোটে না দাঁড়াতে পারেন তার জন্যই এই রকম ভাবে ওয়ার্ড সংরক্ষণ করা হয়েছে। কিন্তু সত্যিই কি তাই!

এদের এই প্রসঙ্গে বারুইপুর পৌরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান শক্তি রায়চৌধুরী বলেন, “সংরক্ষণের বিষয়টি দলগতভাবে করা হয় না। এতে কারো কোনো নিয়ম থাকে না। সরকারি নিয়মে একটা অংক রয়েছে। নির্বাচন দপ্তর থেকে সেই অংক এবং জনসংখ্যার ভিত্তিতে তিন নম্বর রোস্টার ধরে তা করা হয়েছে। সেই বিষয়টি জানলে কারো কোনো ক্ষোভ থাকবে না। তাছাড়া এই নিয়ে যদি কারো কোনো কিছু বলার থাকে, তাহলে তিনি জেলা নির্বাচন আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে আপত্তি জানাতে পারেন।” একাংশের মতে, বিরোধী দল নয়, তৃণমূলের অনেক কাউন্সিলরই ওয়ার্ড সংরক্ষণের ফলে আপত্তি জানাতে শুরু করেছেন। ফলে তৃণমূল এখন এই ব্যাপারে দলীয় কাউন্সিলরদের ক্ষোভের মুখে পড়ে কি পদক্ষেপ নেয়! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!