এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সংগঠনের কাজে মন না দিলে বড়সড় শান্তির নিদান দিলো তৃণমূল নেতৃত্ব, জেনে নিন

সংগঠনের কাজে মন না দিলে বড়সড় শান্তির নিদান দিলো তৃণমূল নেতৃত্ব, জেনে নিন

লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ফলাফল খারাপ হওয়ার পেছনের সব থেকে বড় কারণ দলের নেতাদের কর্মসূচি নেওয়ার অভাব এবং জনসংযোগের অভাব। অর্থাৎ সাধারণ মানুষের থেকে বিচ্যুত হয়ে নেতারা নিজের মতো করে হৃষ্টপুষ্ট হতে শুরু করেছিলেন। যাতে নিঃসন্দেহে জনসাধারণ তৃণমূলের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। আর এর প্রভাব সরাসরি পড়েছিল ভোটবাক্সে। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে দলের নেতাদের ভাবমূর্তির জন্য, দলের ফলাফল খারাপ হলেও যাতে পরবর্তীতে সকলে সজাগ থাকেন, তার জন্য তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

এমনকি ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্কপ্রসূত দিদিকে বলো কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গোটা তৃণমূল দলকে রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্যে পাঠানোর চেষ্টা করেছিল ঘাসফুল শিবির। তবে দীর্ঘদিন ধরে পদে থাকা নেতারা ঠিকমত কর্মসূচি না করায় তাদের মধ্যে বাসা বেঁধেছিল অলসতা। আর তাইতো দলের তরফে কড়া নির্দেশিকা দিয়েও সেই কর্মসূচি করানো যাচ্ছিল না। আর এবার নেতাদের দলীয় কর্মসূচি থেকে ফাঁকিবাজি রুখতে কড়া নির্দেশ দিতে দেখা গেল তৃণমূল নেতৃত্বকে।

যেখানে শুধুমাত্র পদে থাকলে চলবে না, পদে থাকলে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে হবে। দলকে শক্তিশালী করতে হবে বলে জানিয়ে দিল ঘাসফুল শিবির। সূত্রের খবর, রবিবার কলকাতায় মালদহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে নিয়ে দিদিকে বলো কর্মসূচির বৈঠক করে রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব। আর সেখানেই রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়, এবার ফাঁকিবাজি বন্ধ করতে হবে।

শুধু তাই নয়, দলকে শক্তিশালী করতে গেলে এখন থেকে গোষ্ঠী কোন্দল বন্ধ করে সুসংহত ভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলের কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে বলেও জানিয়ে দেয় রাজ্য নেতৃত্ব। তবে এদিনের মালদহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের বৈঠকে দলের নেতাদের অস্বস্তি বাড়িয়ে কিছু বার্তা দিতে দেখা যায় ঘাসফুল শিবিরকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যেখানে বলা হয়েছে, “দলকে ব্যবহার করে অনেক নেতা অর্থ, প্রতিপত্তি করেছেন। অনেকের নাম, যশ হয়েছে। কিন্তু আখেরে দলের কোনো উপকার তারা করেননি। তাই এই ধরনের নেতাদের বেছে বেছে পদ থেকে সরানো হবে।” এদিকে রাজ্য নেতৃত্বের তরফে এহেন কড়া বার্তা পেয়েই নিজের পদ বাঁচাতে রীতিমতো ময়দানে নামতে দেখা গেল মালদহ জেলার অনেক তৃণমূল নেতাদের।

এতদিন যে সমস্ত নেতাদের তেমন ভাবে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দেখা যায়নি, রবিবার রাজ্য নেতৃত্বের সাথে বৈঠকের পর জেলায় ফিরেই সেই সমস্ত নেতারা একের পর এক কর্মসূচি গ্রহণ করতে শুরু করলেন। যা দেখে অনেকে বলছেন, ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না। তাহলে কি এবার অবস্থার পরিবর্তন হবে! রাজ্য নেতৃত্বের কড়া হুঁশিয়ারি পর নেতারা কি এবার কর্মসূচি গ্রহণ করতে ময়দানে নামবেন!

এদিন এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অম্লান ভাদুড়ি বলেন, “পদে থাকলে সংগঠনের কাজ করতে হবে। রবিবারের বৈঠকে রাজ্য নেতৃত্ব দিদিকে বলো কর্মসূচির ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়েছেন। ওই সময় কয়েকজন নেতার কাজকর্ম নিয়ে রাজ্য নেতারা প্রশ্ন তোলেন। দলের কাজ না করলে আগামী দিনে পদ ধরে রাখা যে মুশকিল হবে, তা নেতারা স্পষ্ট করে দিয়েছেন।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, তৃণমূল নেতাদের কাছে তাদের পদ খুব প্রিয়। আর তাইতো এখন রাজ্য নেতৃত্ব কর্মসূচি গ্রহণ না করলে পদ কেড়ে নেওয়া হবে বলার সাথে সাথেই ফাঁকিবাজি নেতারা ময়দানে নেমে পড়ে কাজ করে রাজ্য নেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং নিজের পদ বাঁচাতে চাইছে। কিন্তু রাজ্য কড়া নির্দেশ দিলেও, মালদা জেলার তৃণমূল নেতারা তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি অব্যাহত রাখেন, নাকি সাময়িক করে রাখেন! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!