এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > হেভিওয়েট বিধায়ক ঘনিষ্ঠ নেতার হাতে মার খেলেন তৃণমূলেরই যুব সভাপতি! তীব্র দ্বন্দ্ব শাসকশিবিরে

হেভিওয়েট বিধায়ক ঘনিষ্ঠ নেতার হাতে মার খেলেন তৃণমূলেরই যুব সভাপতি! তীব্র দ্বন্দ্ব শাসকশিবিরে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2011 সালে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর তাদের সব থেকে বড় অসুবিধের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল নিজেদের দলের অন্তর্কলহ। পুরনো তৃণমূল কংগ্রেস বনাম নতুন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কর্মীদের মধ্যে কারা বেশি গুরুত্ব পাবেন তা নিয়ে তৈরি হয় সমস্যা। পুরনো কর্মীরা অভিযোগ করেন, ক্ষমতায় আসার পর দল অন্যান্য দল থেকে আগত কর্মীদের নিয়ে বেশি মাতামাতি শুরু করেছে। স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন জায়গায় পুরনো বনাম নতুনের দ্বন্দ্ব বাড়তে দেখা যায়।

কিন্তু এতদিন ঠিকমত বিরোধীদল না থাকার কারণে নিজেদের দলের দ্বন্দ্ব সত্ত্বেও বেশির ভাগ আসনে অনায়াসেই জয়লাভ করতে দেখা গিয়েছে ঘাসফুল শিবিরকে। তবে সামনে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। বিরোধী দল বিজেপি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে। তারা চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেসের ঘর ভাঙ্গার। তৃণমূলের বিদ্রোহী নেতাদের নিজেদের দিকে নিয়ে এসে ঘাসফুল শিবিরের চাপ বাড়িয়ে দিতে চেষ্টা চালাচ্ছেন বিজেপি নেতারা।

তবে বিজেপি যাতে সেই চেষ্টায় সাফল্য না পায়, তার জন্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে সকলকে ঐক্যবদ্ধ করার আপ্রাণ প্রয়াস চালানো হচ্ছে। কিন্তু এতে করেও যে সমস্যা কমছে না, তা কার্যত পরিষ্কার। এবার দিনহাটায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল চরম আকার ধারণ করল। জানা গেছে, তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহর ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন কাউন্সিলার জয় ঘোষের নেতৃত্বে এদিন অঞ্চল তৃণমূলের যুব সভাপতিকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে।

প্রথমে তৃণমূলের এই যুবনেতা দিনহাটা মহকুমা প্রাথমিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তবে পরবর্তীতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দলের পক্ষ থেকে বারবার সতর্কবার্তা সত্ত্বেও কেন তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর এই গন্ডগোল? বস্তুত, বৃহস্পতিবার দিনহাটা 2 ব্লকের নাজিরহাট 2 গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে মহকুমাশাসকের সঙ্গে দেখা করতে আসেন অঞ্চল যুব তৃনমূলের সভাপতি তপন বর্মন।

আর তারপরই মহকুমা শাসকের সঙ্গে আলাপচারিতা সেরে নিজেদের গাড়িতে উঠতে যাওয়ার সময় তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন কাউন্সিলার জয় ঘোষের নেতৃত্বে অঞ্চল যুব তৃনমূলের সভাপতিকে বাস এবং লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে, প্রাণে বাঁচতে যুব তৃনমূলের সভাপতি সঙ্গে থাকা পঞ্চায়েত সদস্যরা কোনরকমে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে অঞ্চল যুব তৃনমূলের সভাপতি তপন বর্মণ বলেন, “মহকুমাশাসকের সঙ্গে দেখা করে আমরা গাড়িতে উঠছিলাম। সেসময় জয় ঘোষ এসে আমাকে যুব তৃণমূল করা যাবে না। উদয়ন গুহর দল করতে হবে বলে জানায়‌। তাদের আমি বলি, আমি তৃণমূল করি। এরপর ওরা আমাকে বাঁশ, লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করে। তা দেখে পঞ্চায়েত সদস্যরা পালিয়ে যায়। আমার গাড়ি ভাঙচুর করে উল্টে দিয়েছে। আমার পায়ে, হাতে ও মাথায় লেগেছে।”

কিন্তু কেন তিনি এইভাবে যুব তৃনমূলের সভাপতির ওপর হামলা করলেন? বারবার যখন দলের পক্ষ থেকে শৃঙ্খলা রক্ষার কথা বলা হচ্ছে, তখন এই ধরনের ঘটনা তো দলকে আরও অস্বস্তিতে ফেলবে? এদিন এই প্রসঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অবশ্য সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর জয় ঘোষ।

তিনি বলেন, “অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দিনহাটা পৌরভবনে গণসংগঠনগুলোকে নিয়ে একটি বৈঠক ছিল। আমি সেখানে ছিলাম। আমার বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ নতুন নয়। সবসময় আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে।” তবে যে পক্ষ যে কথাই বলুন না কেন, মূল অশান্তি যে তৃণমূলকে সঙ্গে তৃণমূলের হয়েছে, তা কার্যত পরিষ্কার।

ফলে যে কোনো এক পক্ষ দোষ করলেও এর ফলে যে চরম অসুবিধায় পড়তে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল। এখন দলের এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল নেতৃত্ব কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!