এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলকে দু দিক থেকে চাপ বাড়াতে ছক তৈরি মাস্টারমাইন্ড মুকুল রায়ের,জেনে নিন 

তৃণমূলকে দু দিক থেকে চাপ বাড়াতে ছক তৈরি মাস্টারমাইন্ড মুকুল রায়ের,জেনে নিন 

তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পরই প্রাক্তন দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং প্রাক্তন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কার্যত ঘুম উড়িয়ে দিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির হেভিওয়েট নেতা মুকুল রায়। এমনকি মুকুলবাবুর হাত ধরেই সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ভরাডুবি এবং বিজেপির উত্থান ঘটেছে এই বাংলায়।

আর লোকসভা নির্বাচনের পরই শাসক দল ভেঙে একের পর এক জনপ্রতিনিধিদের গেরুয়া শিবিরের যোগদান করাতে শুরু করেছেন তিনি। বর্তমানে রাজ্য রাজনীতি কাটমানির ঘটনা নিয়ে প্রবলভাবে উত্তপ্ত। স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ফেরাতে অভিযুক্ত নেতাদের অবিলম্বে টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এতেই শাসকদলের অস্বস্থি আরও দ্বিগুনভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

কেননা দিকে দিকে তৃণমূলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করে টাকা ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে সাধারণ মানুষ। আর যার জেরে অস্বস্তিতে পড়ে শাসক দল। আর এই পরিস্থিতিতে এবার তৃণমূলকে আরও অস্বস্তিতে ফেলতে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে কড়া হুশিয়ারি দিতে দেখা গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং বঙ্গ বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে।

সূত্রের খবর, শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে বিজেপির পক্ষ থেকে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে বঙ্গ বিজেপির এই দুই হেভিওয়েট নেতা উপস্থিত ছিলেন। আর সেখানেই কাঠমানি ইস্যুতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “যারা টাকা নিয়েছে তাদের বাড়ির সামনে গিয়ে কড়ায়-গণ্ডায় বুঝে নিন। আমরা আপনাদের সঙ্গে রয়েছি। মূল টাকার সঙ্গে সুদটাও বুঝে নেবেন। না পেলে গ্রামে থাকতে দেবেন না। এতদিন পুলিশ আমাদের কাছ থেকে তোলাবাজি করেছে। এবার উল্টো তোলাবাজি করতে হবে। সুদ-আসল একসঙ্গে উসুল করা হবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে দিলীপ ঘোষের পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুর চড়াল মুকুল রায়। প্রাক্তন নেত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আপনার জন্য অনেক কিছু অপেক্ষা করে রয়েছে। সংসদ চলছে বলে এখনও নখ দাঁতগুলো দেখতে পাচ্ছেন না। অধিবেশন শেষ হলে বুঝবেন কি হয়! সব কাটমানির টাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে রয়েছে। সবার টাকা ফেরত দিন।”

এদিকে এদিন নাম না করে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যেও কটাক্ষ করতে দেখা যায় মুকুল রায়কে। তিনি বলেন, “মমতা কটা গাড়ি নিয়ে চলাফেরা করেন! সঙ্গে কত পুলিশ থাকে! মমতার বাড়ির আরেক জনের গাড়ির বহর জানেন!”

এদিকে প্রাক্তন নেত্রীর বিরুদ্ধে মুকুল রায় একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করায় কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়ে তৃনমূল। পাল্টা এই প্রসঙ্গে মুকুল রায়কে খোঁচা দিয়ে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দীলিপবাবু আর মুকুলেরা নৈরাজ্য তৈরীর প্রতিযোগিতায় নেমেছে। এইভাবে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলাকে নষ্ট করা যাবে না। বাংলায় 34 বছরের শাসনে অনেক নখ দাত মানুষ দেখেছে। এবার আবার কেউ নখ দাঁত দেখাতে চাইলে 34 ঘন্টাও এখানে থাকতে পারবে না।”

অন্যদিকে এদিন বিজেপি নেতাদের পাল্টা ভোটের সময় বিজেপি যে টাকা খরচ করেছে, তা সাধারণ মানুষকে ফেরত দেওয়া হোক বলে দাবি জানান রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বর্তমানে কাটমানি নিয়ে রাজ্য রাজনীতি প্রবলভাবে উত্তপ্ত। দিকে দিকে শাসকদলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করায় তৃণমূল বড়ই অস্বস্তিতে পড়েছে।

এই পরিস্থিতিতে একদিকে সেই কাটমানি ইস্যুতে এবং অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে রাজ্যের প্রতি চাপ সৃষ্টি করে তৃণমূলকে প্রবল সমস্যার মুখে ফেলতে তৎপর বঙ্গ বিজেপির দিলীপ-মুকুল জুটি বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!