এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূল-বিজেপির হাওয়া একযোগে কেড়ে নিতে উপনির্বাচনের আগেই বাম- কংগ্রেস জোট নিয়ে বড় ভাবনা

তৃণমূল-বিজেপির হাওয়া একযোগে কেড়ে নিতে উপনির্বাচনের আগেই বাম- কংগ্রেস জোট নিয়ে বড় ভাবনা

এক সময় রাজ্যে লাল পার্টিদের বাড়বাড়ন্ত ছিল চোখে পড়ার মত। কিন্তু 2011 সালে ক্ষমতা হারানোর পর থেকেই আলিমুদ্দিনের রং যেন খসে পড়তে শুরু করে। রাজ্যের শাসন ক্ষমতায় তৃণমূল আসার পর বামফ্রন্ট বিরোধীদলের আসন দখল করলেও যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, প্রায় সব নির্বাচনেই অস্তিত্ব বিপন্ন হয়েছে তাদের।

পরবর্তীতে 2016 সালের তৃণমূল বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসে ঠিকই। যেখানে বিরোধী দলের আসন দখল করে কংগ্রেস। কিন্তু বাম এবং কংগ্রেস এই দুই দলের অস্তিত্বই বিপন্ন হয় সদ্য সমাপ্ত 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে। সারা রাজ্যের 42 টি লোকসভা আসনের মধ্যে কংগ্রেস দুটি আসন লাভ করলেও বামেদের দখলে একটি আসনও যায়নি। যার পরেই 2016 সালে একসাথে লড়া কংগ্রেস এবং বামফ্রন্ট উপলব্ধি করে যে, 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে তাদের জোটবদ্ধ হয়ে লড়াই না করাটা একটা ঐতিহাসিক ভুল ছিল।

তবে সেই ভুল আর যাতে না হয়, তার জন্য এবার কাছাকাছি আসার কথা শোনা গেল বাম এবং কংগ্রেসের গলায়। অনেকদিন ধরেই বিধানভবন এবং আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের নেতারা রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল এবং বিরোধী দলের আসন দখল করা বিজেপির বিরুদ্ধে যাতে লড়াই করা যায়, তার জন্য জোটের পক্ষে সওয়াল করে আসছে। কিন্তু পাকাপাকিভাবে তাতে সিলমোহর পড়েনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে রাজ্যের তিনটি বিধানসভা কেন্দ্র, করিমপুর, কালিয়াগঞ্জ এবং খড়্গপুরের উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়েছে। আর সেখানে যাতে জোটবদ্ধ হয়ে লড়াই করা যায়, তার জন্য এবার সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করল দু’পক্ষ।

জানা গেছে, এই তিনটি কেন্দ্রের মধ্যে শুধুমাত্র করিমপুরেই সিপিএম তাদের প্রার্থী দেবে। আর বাকি খড়গপুর এবং কালিয়াগঞ্জ আসুন দুটি তারা কংগ্রেসকে ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু যেখানে বামেদের অনেক শরিক কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের ব্যাপারে অনীহা প্রকাশ করেছে, সেখানে এই দুটি আসন বামেরা কংগ্রেসকে ছেড়ে দিলেও শরিকদলরা কি রাজি হবে! বিশেষ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে বাম এবং কংগ্রেস জোট বেঁধে যাতে লড়াই করে, তার জন্য বামেদের সব শরিক সহমত প্রকাশ করেছে।

এমনকি জোটের ব্যাপার ইতিমধ্যেই বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর সঙ্গে একপ্রস্থ কথা হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সোমেন মিত্রের বলে খবর। তবে এখনও পর্যন্ত এই ব্যাপারে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। জানা গেছে, বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে আগামী মঙ্গলবার এই বিষয়ে বৈঠকে বসা হবে। তবে বামেদের সঙ্গে জোটের ব্যাপারে আশাবাদী প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সোমেন মিত্র।

এদিন তিনি বলেন, “এমন সিদ্ধান্ত অভিপ্রেত। তবে উপনির্বাচনে কংগ্রেস যে খড়গপুর এবং কালিয়াগঞ্জে লড়বে, সে কথা আগেই প্রায় ঠিক হয়ে রয়েছে। আমাদের দলের কেউ কেউ অন্য কিছু ভাবলেও কিছু যায় আসে না। শুক্রবার দিল্লি থেকে ফোনে আহমেদ প্যাটেল ফোন করে এই ব্যাপারে আমাদের মত জানতে চেয়েছেন। আমরা বামেদের সঙ্গে জোট করে এই ফর্মুলাতে লড়তে চাই বলে তাকে জানিয়ে দিয়েছি। বিমানবাবু মঙ্গলবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন বলেছেন।”

 

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সোমেন মিত্রের এই কথা থেকেই স্পষ্ট যে, বাম-কংগ্রেসের জোট এখন খালি সময়ের অপেক্ষা। কারণ দুই দলের বর্তমান যে অবস্থা, তাতে তারা জোট না করলে তাদের অস্তিত্ব সংকটের মুখে পড়বে। তাই আসন্ন রাজ্যের তিনটি বিধানসভা উপনির্বাচনের আগে একসাথে লড়াই করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে এখন তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে তৎপর তারা। কিন্তু মঙ্গলবার বামেরা কি সিদ্ধান্ত নেয় এবং সেই সিদ্ধান্তে যদি জোট পাকাপাকি হয়ে যায়, তাহলে তা নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলতে পারে কিনা, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!