এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > তৃণমূল নয় এবার বাংলায় বিজেপির ঘুম ওড়াতে চলেছে শিবসেনা? ক্রমশ বাড়ছে জল্পনা

তৃণমূল নয় এবার বাংলায় বিজেপির ঘুম ওড়াতে চলেছে শিবসেনা? ক্রমশ বাড়ছে জল্পনা

 

উত্তরবঙ্গে এবারে লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি ভালো ফল করলেও সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এবার শিবসেনার বিড়ম্বনার মুখে পড়তে হচ্ছে বিজেপিকে। আলিপুরদুয়ারের নির্বাচকমন্ডলীর অধিকাংশই চা বাগানের কর্মীরা। সেখানে শ্রমিকদের মধ্যে শিবসেনার শ্রমিক সংগঠন কামগার সেনা নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করায় এখন রীতিমত চাপের মুখে ভারতীয় জনতা পার্টি।

কারণ শ্রমিক সংগঠন হিসাবে কামগার সেনা নিজেদের জনসমর্থন বাড়িয়ে নিলে ভোট ভাগাভাগি হয়ে আদতে যে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের লাভ হতে চলেছে, সেই বিষয়ে কিন্তু কোনো সংশয় নেই ভারতীয় জনতা পার্টির নেতাদের মধ্যে। তাই এখন থেকেই এই বিষয়ে মাথা ঘামাতে শুরু করে দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্তরে বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পরে 2021 সালে তাদেরকে হানার জন্য আলিপুরদুয়ারের পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্র শিবসেনা প্রার্থী দেবে বলে ঘোষণা করেছে। স্বাভাবিকভাবেই শিবসেনার ভোট কাটাকাটির আশঙ্কাকে আমল দিতে চাননি বিজেপি নেতৃত্ব। তবুও একটা চিন্তার রেখা যে থেকেই যাচ্ছে, তা নিয়ে সংশয় নেই কারও মধ্যেই।

কার্যত আলিপুরদুয়ার এলাকায় নিজেদের শ্রমিক সংগঠন কামগার সেনাকে কাজে লাগিয়ে এখন থেকে কিছুটা ভোটের রাজনীতি শুরু করে দিয়েছে শিবসেনা। ইতিমধ্যেই এনআরসি ইস্যু সহ চা বাগান খোলা, চা শ্রমিকদের সুযোগ সুবিধা সহ একাধিক ইস্যুতে জেলা শাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে শিবসেনা শ্রমিক সংগঠন কামগার সেনা। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চা-বাগানে যদি শিবসেনার শ্রমিক সংগঠনের শক্তি বৃদ্ধি হয়, সেক্ষেত্রে ভোট ভাগাভাগির প্রভাব পড়বে ভারতীয় জনতা পার্টির উপরে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই বিষয়ে শিবসেনা রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক অশোক সরকার বলেন, “একসময় রাজ্যে সবচেয়ে লাভজনক শিল্প ছিল চা শিল্প। পশ্চিমবঙ্গের চা শিল্প ধ্বংস হয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী কেন্দ্রের বিজেপি ও রাজ্যের তৃণমূল এই দুই সরকার। বন্ধ চা বাগান খোলা ও শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে দুই সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলবে।

তবে হিন্দু ভোট নিজেদের বাগে আনা মূল লক্ষ্য হলেও এনআরসির বিরুদ্ধে তাদের লড়াই চলবে, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন অশোকবাবু। তবে ভোট ভাগাভাগি নিয়ে রাজনৈতিক মহল আশঙ্কা প্রকাশ করলেও আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, “গণতান্ত্রিক দেশে যে কোনো দল তৈরি হতেই পারে। শিবসেনার উত্থানকে বিজেপি মোটেই ভয় পাচ্ছে না। শিবসেনা প্রার্থী দিলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি নয়।”

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এমত পরিস্থিতিতে ভারতীয় জনতা পার্টির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদবাবু যতই নির্ভীক হন না কেন, হিন্দু ভোট যদি ভাগাভাগি হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টি সমস্যার সম্মুখীন হবে। কিন্তু সাংগঠনিক বিস্তারে শিবসেনাকে টেক্কা দিয়ে এখন ভারতীয় জনতা পার্টি শ্রমিকদের মধ্যে নিজেদের প্রতিপত্তি বিস্তার করতে সক্ষম হন কিনা, সেদিকেই অবশ্যই লক্ষ থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!