এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল! চলল গুলি! জোর অস্বস্তি শাসকদলে!

ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল! চলল গুলি! জোর অস্বস্তি শাসকদলে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলের সবথেকে বড় বিড়ম্বনার কারণ তাদের দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ছোট, মেজ, বড় সমস্ত নেতারা একে অপরের সঙ্গে দ্বন্দ্বে মাঝেমধ্যেই লিপ্ত হন। যার ফলে অস্বস্তিতে পড়ে গোটা তৃণমূল পরিবার। বারবার দলের তরফ থেকে এই ব্যাপারে কড়া বার্তা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কে কার কথা শোনে! এবার ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায়। জানা গেছে, রাস্তা নির্মাণের কাজকে কেন্দ্র করে হরিশ্চন্দ্রপুর 2 ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জুবেদা বিবিকে রাস্তায় আটকে গাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মমতাজ বেগমের স্বামী আমিনুল হকের বিরুদ্ধে। আর এতেই তৈরি হয় সমস্যা।

দুই হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীর দ্বন্দ্বে রীতিমত চাঞ্চল্য তৈরি এলাকায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শিশাতলা এলাকা থেকে কুমেদপুর পর্যন্ত প্রায় 7 কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। যার জন্য বরাদ্দ হয়েছিল 8 কোটি টাকা। এদিকে এই কাজের জন্য যে সংস্থাকে বরাদ দেওয়া হয়েছিল, তাদের কর্মীদের থাকার জন্য একটি জায়গার বন্দোবস্ত করতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মমতাজ বেগমের স্বামী আমিনুল হক। আর সেই সময় ব্লক অফিস থেকে বাড়ি ফিরছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জুবেদা বিবি।

অভিযোগ, তৃণমূলের জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মমতাজ বেগমের স্বামী গাড়ি আটকে গুলি চালিয়ে দেন। আর এর পরেই জুবেদা বিবি তার বাড়িতে কোনোমতে গেলে আমিনুল হকের লোকজন তার দিদিকে মারধর করে এবং তার গাড়িটি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর দলের জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষের স্বামী কেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রতি এই আক্রমণ চালালেন, এখন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। ঠিক কি কারণে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির প্রতি এই আক্রমণ চালানো হল?

এদিন এই প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জুবেদা বিবির স্বামী আশরাফুল বলেন, “প্রচার করা হচ্ছিল ওই রাস্তা আমিনুল করছে। তার প্রতিবাদ করাতেই এই হামলা চালানো হয়েছে। আমরা পালিয়ে একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। ওদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। ওরা আমাকে তাড়া করে মারতে থাকে। গলায় কাপড় পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টা করে।” কিন্তু কেন এরকম কাণ্ড ঘটালেন তিনি? কেন তিনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রতি এই আক্রমণ করলেন?

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মমতাজ বেগমের স্বামী আমিনুল হক বলেন, “সভাপতির স্বামী কাজের জন্য কমিশন চেয়েছিলেন। কিন্তু সেটা সম্ভব নয় জানাতেই কয়েকদিন আগে ক্ষুব্ধ হয়ে আমাদের একটি ক্লাবে আটকে মারধর করা হয়। পুরো ঘটনা স্থানীয়রা সকলেই দেখেছেন। আমি পুলিশে অভিযোগ করার ঘটনা অন্যদিকে ঘোরাতে পরিকল্পনা করে নিজেরাই গাড়ি ভাঙচুর করেছে।” আর তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর এই গন্ডগোল এখন প্রকাশ্যে চলে আসায় অনেকটাই চাপে পড়ল মালদহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও বা এই ব্যাপারে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী তথা সাংসদ মৌসম বেনজির নূর। তবে গোটা বিষয় নিয়ে বিরোধীরা অবশ্য ময়দানে নেমে পড়েছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলকে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। তিনি বলেন, “পৌরসভার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে গন্ডগোল।কেউ বেশি খেয়েছে, আর কেউ পায়নি। এই নিয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে। গোটা দলটাই কমিশন খাওয়ার জন্য বসে রয়েছে।” আর বিরোধীরা এই বিষয়টি তুলে ধরে তৃণমূলকে যেভাবে কোণঠাসা করছে, তাতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বারবার দলের নেতাদের গোষ্ঠী কোন্দল বন্ধ করার বার্তা দিলেও, তাদের নিচুতলার নেতারা যে তা শুনছেন না, তা কার্যত পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে।

তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে জেলা নেতাদের বার্তা দিয়ে এটাও বলা হচ্ছে, এবার থেকে যদি কেউ এভাবে দ্বন্দ্ব চালাতে থাকে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে দল। এখন মালদহের এই ঘটনার পর তৃনমূল নেতৃত্ব দু’পক্ষের দ্বন্দ্ব বন্ধ করতে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করে, নাকি শুধুমাত্র কড়া বার্তা দিয়েই নীরবতা পালন করেন, তার দিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!