এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শুভেন্দু গড়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জের, পদ থেকে ইস্তফা18 জন নেতার, জোর চাঞ্চল্য!

শুভেন্দু গড়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জের, পদ থেকে ইস্তফা18 জন নেতার, জোর চাঞ্চল্য!


বিরোধীদের পক্ষ থেকে শাসক শিবিরকে আক্রমণ করা হবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে বিরোধীদের আক্রমণের থেকেও বড় অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় নিজেদের দলের গোষ্ঠী কোন্দল। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের এই কোন্দল চরম আকার ধারণ করেছে। যা সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্বকে।

আর এবার তৃণমূলের সেই দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসায় এবং 18 জন নেতা তাদের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল। বস্তুত, সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি 2 নম্বর ব্লকের বসন্তিয়া অঞ্চলের উপপ্রধানকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে দলেরই অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে। আর এরপরেই সেই অভিযুক্ত অঞ্চল সভাপতির বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তৃণমূলের একাংশ।

জানা গেছে, সমর ভূঁইয়া নামে তৃণমূলের সেই অঞ্চল সভাপতির বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি মুকুন্দপুর বাজারের ওপরে কাঠের গুঁড়ি ফেলে এই ঘটনায় রাস্তা অবরোধ করতেও দেখা যায় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের। আর এতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে যায় যে, কোন্দলের ঘটনায় বসন্তিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান সহ মোট 18 জন পঞ্চায়েত সদস্য কাঁথি 2 নম্বর ব্লকের বিডিওর কাছে তাদের পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। আর এই ঘটনা নিয়েই তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে বলছেন, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে কারণেই তাদের এত জন সদস্য এবার পদ থেকে ইস্তফা দিতে চাইল। যার ফলে রাজ্যের শাসক দলকে এখানে চরম অস্বস্তির মুখে পড়তে হবে বলেই আশঙ্কা করছেন একাংশ।

এদিন এই প্রসঙ্গে অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে সরব হয়ে কাথি 2 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তরুণ জানা বলেন, “সম্প্রতি উনি অঞ্চল সভাপতি হয়েছেন। তারপর থেকেই বিভিন্ন ভাবে পঞ্চায়েত সদস্য, প্রধান, উপপ্রধান প্রধানের সঙ্গে প্রতিনিয়ত খারাপ ব্যবহার করে চলেছে। আজ একদম তা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেল। আমরা এই সমস্ত ব্যাপার জেলা সভাপতিকে জানাব। যা ব্যবস্থা নেওয়ার জেলা নেতৃত্ব নেবে।”

কিন্তু তার বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ কতটা সত্যি? এদিন এই প্রসঙ্গে অঞ্চল সভাপতি সমর ভূঁইয়া বলেন, “মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমি কোনো মারধরের সঙ্গে যুক্ত নই। এটা আমার বিরুদ্ধে একটা চক্রান্ত।” সব মিলিয়ে এবার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে কারণে অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে সরব হয়ে যেভাবে 18 জন নেতা তাদের ইস্তফাপত্র সরকারি আধিকারিকের কাছে পাঠিয়ে দিলেন, তাতে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই যে শাসকদলের অস্বস্তির প্রধান কারণ, তা স্পষ্ট হয়ে গেল রাজনৈতিক মহলের কাছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!