এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > বেআব্রু হয়ে গেলো তৃণমূলের অন্দরের ক্ষোভ, কর্মীরা পোস্টারে জবাব চাইছে নেত্রীর কাছ থেকে

বেআব্রু হয়ে গেলো তৃণমূলের অন্দরের ক্ষোভ, কর্মীরা পোস্টারে জবাব চাইছে নেত্রীর কাছ থেকে

লোকসভা ভোটে সারা রাজ্যে তৃণমূলের ভরাডুবি এবং বিজেপির প্রবল উত্থানের পরই কালীঘাটের বাসভবনে ফলাফল পর্যালোচনা বৈঠক ডেকে একাধিক জেলার সংগঠনে রদবদল করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে কিছুদিন আগেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে আশা শংকর সিংহকে রানাঘাটের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এদিকে শঙ্করবাবু দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই দলের একাংশ তার বিরুদ্ধে বিষোদগার শুরু করেছিল। কিন্তু এবার তা পোস্টার আকারে ট্রেনের কামরা থেকে বাড়ির দেওয়াল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ল। কিন্তু যেখানে খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় সংগঠনকে চাঙ্গা করার জন্য রানাঘাটে শংকর সিংহকে দায়িত্ব দিয়েছেন, সেখানে তার বিরুদ্ধেই দলের একাংশ এই ভাবে পোস্টার ছাপানোর সাহস পাচ্ছেন কি করে!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, সোমবার তৃণমূলেরই এক গোষ্ঠী কংগ্রেসের বিধায়ক এবং তৃণমূল কংগ্রেসের ধ্বংসকারী বলে সেই শংকর সিংহের সমালোচনা করে কেন তাকে সভাপতি করা হল, তা নিয়ে খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যেই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে পোস্টারের মাধ্যমে। পোস্টার  ছড়িয়ে পড়েছে ট্রেনের কামরায়-বাড়ির দেওয়ালে।  আর এই পোস্টারের একদম নিচে প্রকৃত “তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীবৃন্দ” বলে লেখা রয়েছে। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই অস্বস্তিতে পড়তে শুরু করেছে তৃণমূল।

অনেকে বলছেন, বিগত দুই বছর আগে এই শংকর সিংহ কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগদান করলেও তিনি দল বিরোধী আইন মানেননি। ফলে পদত্যাগ না করায় এখনও পর্যন্ত খাতায়-কলমে তিনি কংগ্রেসের বিধায়কই রয়ে গেছেন। তবে এতদিন তা তৃণমূলের তরফে জানলেও তা নিয়ে দলের অন্দরে কেউ তেমনভাবে কোনো প্রশ্ন তোলেনি। কিন্তু এবার দলের ভরাডুবির পর সেই শংকর সিংহকে দায়িত্ব দেওয়ায় ও প্রকাশ্যে দলের কর্মীরা শংকরবাবুর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেওয়ায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে রানাঘাটের এক তৃণমূল কর্মী বলেন, “এতদিন দলের একটা অংশ ক্ষমতা ভোগ করে এসেছে। ক্ষমতার ভরকেন্দ্র পরিবর্তিত হয়ে শংকর সিংহ চলে আসায় তাদের একচ্ছত্র সাম্রাজ্যে সমস্যা তৈরি হয়েছে। আর তাইতো দলের এমন দুর্দিনে একসঙ্গে থাকার পরিবর্তে সকলে তার নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। এতে আখেরে দলেরই ক্ষতি হচ্ছে।” কিন্তু এই ব্যাপারে ঠিক কি বলছেন শংকর সিংহ?

এদিন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “হাওয়ায় ভাসিয়ে দেওয়া কোনো কথা নিয়ে আমি মন্তব্য করব না। যারা দলকে সংকটমুক্ত করতে চান তারা প্রকাশ্যে দলের ফোরামে এসে সরাসরি কথা বলুন।” তবে দলের একাংশ এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করে নিলেও দল যে এরকম ঘটনাকে কোনভাবেই প্রশ্রয় দেবে না তা জানিয়ে দিয়েছেন নদীয়া জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে নতুন দায়িত্ব দিয়েও এবার খোদ দলনেত্রীকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়ে শংকর সিংহকে সভাপতি হিসেবে মানতে নারাজ তৃণমূলেরই একাংশ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!