এবার তৃণমূল কংগ্রেসে ‘যোগ দিলেন’ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বিশেষ খবর রাজ্য January 31, 2018July 15, 2021 গত ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে এক লড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস গোটা রাজ্যে ২১১ টি আসন পায়। আর তারপরেই অন্যান্য বিরোধী দল থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ‘উন্নয়নের জোয়ারে’ আস্থা রেখে একে একে শাসকদলে ‘বেসরকারিভাবে’ যোগ দেন বহু বিধায়ক। বেসরকারিভাবে এই জন্যই, যে প্রকাশ্যে এঁদের শাসকদলে যোগ দিতে দেখা গেছে, দেখা গেছে শাসকদলের দলীয় কর্মসূচিতেও, এমনকি কি কয়েকজন তো আরেকধাপ এগিয়ে শাসকদলের পদাধিকারীও হয়েছেন, কিন্তু বিধানসভায় মাননীয় স্পিকারের সামনে শুনানিতে ‘সরকারিভাবে’ জানিয়েছেন তাঁরা নাকি কেউই দলত্যাগ করেননি। আর মাননীয় স্পিকার সাহেবও ঠিক বুঝতে পারছেন না এখনো তাঁরা সত্যিই দলত্যাগ করেছেন কিনা। এই সামগ্রিক প্রক্রিয়া নিয়ে যিনি সবচেয়ে বেশি সোচ্চার তিনি কংগ্রেসের দাপুটে বর্ষীয়ান নেতা তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ও চাঁপদানির কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুল মান্নান। আর সেই মান্নান সাহেবই নাকি কংগ্রেস বিধায়ক নন, তিনি আপাতত ‘এআইটিসি বিধায়ক’, অর্থাৎ রাজ্যের শাসকদল অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক! না এই দাবি আমাদের না, এই তথ্য পাওয়া যাচ্ছে বিধানসভা থেকে প্রকাশিত পুস্তিকাতেই! সূত্রের খবর, বিধানসভা থেকে প্রকাশিত ‘হুজ হু অফ অ্যাসেম্বলি’ নামক পুস্তিকায় জ্বলজ্বল করছে এই তথ্য। আর এই তথ্য সামনে আসতেই রীতিমত হতবাক স্বয়ং আব্দুল মান্নান। সংবাদমাধ্যমকে নিজের বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, একজন বিরোধী দলনেতার নাম ছাপতে গিয়ে যদি এই কাণ্ড ঘটে, কবে স্পিকারের নামের পাশে সিপিএম পার্টির বিধায়ক দেখিয়ে দেবে! এই তো রাজ্যের সরকারের অবস্থা! যদিও পরবর্তীকালে বিধানসভার সচিবালয়ের ভুলেই এমন তথ্যবিভ্রান্তি ঘটেছে বলে ব্যাপারটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, কিন্তু বিরোধী দলনেতাকে একপ্রকার অপমান করা হয়েছে এইভাবে বলে ক্রমশ সুর ছড়াতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। আপনার মতামত জানান -