বড়সড় পথ দুর্ঘটনার কবলে ৩ তৃণমূল শীর্ষনেতা সহ মোট ১৩ তৃণমূল কর্মী-সমর্থক বর্ধমান রাজ্য July 23, 2018 আবার সংবাদ শিরোনামে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে। এবার দুর্ঘটনার কবলে খোদ মন্ত্রী। প্রাণে বাঁচলেন অল্পের জন্য। সূত্রের খবর ২১জুলাইয়ের সমাবেশ থেকে ফিরছিলেন বাঁকুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত সহ তৃণমূল কংগ্রেসের তিনজন নেতা। শক্তিগড়ের কাছে একটি সরকারি বাস হঠাৎ থেমে যাওয়ায় তাঁদের চারচাকা গাড়িটি ওই বাসটির পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে। ঘটনায় মহাপ্রসাদবাবু সহ তৃণমূল কংগ্রেসের বাঁকুড়া জেলা সাধারণ সম্পাদক জয়দীপ চট্টোপাধ্যায় ও মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির বাঁকুড়া জেলা সভাপতি গৌতম দাস জখম হন। তাঁদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করা হয়। পুলিস জানিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি আটক করা হয়েছে। চালক পলাতক। মহাপ্রসাদবাবু বলেন, আমরা একটি ছোট গাড়ি করে ধরে ফিরছিলাম। শক্তিগড়ে রাস্তায় যানজট থাকায় আমাদের সামনে একই দিকে যাওয়া একটি সরকারি বাস হঠাৎ ব্রেক কষে। সেই সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আমাদের গাড়িটি সরকারি বাসের পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে। তাতে আমাদের কপালে, মাথায় ও হাতে চোট লাগে। তাঁদের গাড়িটি দুমড়েমুচড়ে যাওয়ায় বর্ধমান থেকে অন্য গাড়ি ভাড়া করে রাতেই তাঁরা বাড়ি ফেরেন। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। ২১ শে জুলাইয়ের সভা সেরে ফেরার পথে ঘটেছে আরও একটি দুর্ঘটনা। ওইদিন রাতে কলকাতার সমাবেশ সেরে ফেরার পথে গঙ্গাজলঘাটির কুলডোবা গ্রামে স্টিয়ারিং এর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বাস উল্টে যায়। ঘটনায় ১০জন তৃণমূল কর্মী জখম হন। তাঁরা বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ জানিয়েছে বাসের যাত্রীরা সকলেই কুলডোবা এলাকার বাসিন্দা। পৃথক একটি দুর্ঘটনায় রবিবার সকালে ছাতনা কলেজের কাছে বাঁকুড়ার দিকে আসা দু’টি যাত্রীবাহী বাস রেষারেষি করে আসার সময় একটি বাস অপর বাসের পিছনে ধাক্কা মারে। ঘটনার জেরে সামনের বাসটি রাস্তার পাশে আড়াআড়িভাবে হেলে যায়। দুই বাসের মোট ২০জন যাত্রী জখম হন। তাঁদের উদ্ধার করে ছাতনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিস জানিয়েছে, কুলডোবা ও ছাতনায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসগুলিকে আটক করা হয়েছে। চালক পলাতক। একের পর এক পথ দুর্ঘটনায় আবারও প্রশ্ন উঠছে বাস চালকদের দায়িত্বহীন মানসিকতা নিয়ে। সবারই একই জিজ্ঞাসা যে সরকার কবে এগুলির ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রন আনবে? আপনার মতামত জানান -