এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলের দুই প্রবীণ নেতা তথা সংসদ ও বিধায়কের চাপানউতোরে, এবার বড়সড় অস্বস্তিতে শাসক শিবির

তৃণমূলের দুই প্রবীণ নেতা তথা সংসদ ও বিধায়কের চাপানউতোরে, এবার বড়সড় অস্বস্তিতে শাসক শিবির

তৃণমূলের দুই প্রবীণ নেতা এগরার তৃণমূল বিধায়ক সমরেশ দাস ও শিশির অধিকারীর চাপানউতোরে, এবার বড়সড় অস্বস্তিতে শাসক শিবির। জানা যাচ্ছে , তাদের মধ্যে দুরুত্ত্ব এতটাই বেড়েছে যে নিমন্ত্রিত অনুষ্ঠানেও আর একসঙ্গে দেখা যাচ্ছে না।

এগরা-২ ব্লক কৃষি মেলার উদ্বোধক হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন শিশির অধিকারী ও বিধায়ক সমরেশ দাস । সেদিন মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সমরেশ দাস উপস্থিত থাকলেও শিশির অধিকারী ছিলেন না। এরপর বৃহস্পতিবার এগরা ঝাটুলাল হাইস্কুল ময়দানে মহকুমা কৃষি মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও সাংসদ এবং বিধায়ক আমন্ত্রিত ছিলেন। সেখানে দেখা গেল উল্টো চিত্র। অনুষ্ঠানে শিশির অধিকারী উপস্থিত থাকলেও গরহাজির ছিলেন সমরেশ দাস। বার বার পরস্পরকে এড়িয়ে যাওয়ার ঘটনায় জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিকমহলের পাশাপাশি তৃণমূলের অন্দরেও।

জানা যাচ্ছে এর সূত্রপাত, এগরা মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মঞ্চে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের পাশে বসে সৌজন্য বিনিময় করেছিলেন এগরার তৃণমূল বিধায়ক সমরেশ দাস। আর তার পরেই দলে শো-কজের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। তাছাড়া বিধায়কের সঙ্গে থাকা এগরা-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতিকে পদ থেকে অপসারিত হতে হয় তাঁকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে এই নিয়ে তৃণমূল জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী দাবি করেছিলেন যে দলের রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে সমরেশ দাসকে শো-কজ করা হয়েছে। সাতদিনের মধ্যে তাঁকে জবাব দেওয়ার সময় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এক সপ্তাহ পরে বৃহস্পতিবারও সেই শো-কজের চিঠি হাতে পাননি বলে সমরেশ দাস দাবি করেছিলেন। আর এর পরেই কার্যত সমরেশবাবুর দাবিকে অস্বীকার করে শিশিরবাবু পাল্টা দাবি তুলেছিলেন যে, ”সমরেশকে শো-কজের চিঠি ৫ জানুয়ারি পাঠানো হয়েছে ডাকযোগে। ৬ জানুয়ারি প্রথমে উনি চিঠি নিতে অস্বীকার করেছিলেন। পরে ৭ জানুয়ারি উনি সেই চিঠি গ্রহণ করেছেন। আমার কাছে তার প্রমাণ রয়েছে।”

থেমে থেকেন নি সমরেশবাবু। শুক্রবার সমবেশবাবু বলেন, ”এ দিনই দুপুরে শো-কজের চিঠি হাতে পেয়েছি। দু’একদিনের মধ্যে শো-কজের জবাব দেব।” শো-কজের চিঠি ঘিরে জেলা তৃণমূলের দুই প্রবীণ নেতার এই চাপান-উতোরের পাশাপাশি এক মঞ্চে না দেখা যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে দলের অন্দরে। একদিকে নেত্রী সমেত ভোট শুরু যেমন তৃণমূলের সব নেতা নেত্রীকে একজোট হয়ে লড়াই করতে বলছেন সেখানে আবার নতুন করে এই দ্বন্দ্ব তৃণমূলের অন্দরে চিন্তার চাপ ফেলেছে বলেই মত রাজনৈতিকমহলের। এখন দেখার দুই প্রবীণ নেতার দূরত্ত্ব মেটাতে কি ব্যাবস্থা নেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!