এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দায়িত্ব পেতেই হেভিওয়েট মন্ত্রী ঘনিষ্ঠদের ছেটে শুদ্ধিকরণের তৃণমূল গড়ার ইঙ্গিত আরেক হেভিওয়েটের

দায়িত্ব পেতেই হেভিওয়েট মন্ত্রী ঘনিষ্ঠদের ছেটে শুদ্ধিকরণের তৃণমূল গড়ার ইঙ্গিত আরেক হেভিওয়েটের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কিছুদিন আগেই হাওড়া জেলার দুই মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অরূপ রায়ের মধ্যেকার বিবাদ প্রকাশ্যে চলে আসে। দুর্নীতি নিয়ে জেলা তৃণমূলের তৎকালীন সভাপতি তথা মন্ত্রী অরূপ রায় বেশ কিছু নেতাকে সাসপেন্ড করলেও, তা নিয়ে সরব হন আরেক মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “রাঘব-বোয়ালদের ধরতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে উপরতলা পর্যন্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।” অর্থাৎ নাম না করে এই ব্যাপারে যে অরুপ রায়ের দিকেই কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল রাজনৈতিক মহলের কাছে।

গোটা ঘটনায় ব্যাপক ভাবে অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। সম্প্রতি তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠক অরূপ রায়কে জেলা তৃণমূলের সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে সেখানে দায়িত্ব দেয়া হয় লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে। অরূপ রায়কে জেলার চেয়ারম্যান করে রাজ্যের সমন্বয় কমিটিতে রাখা হয় হেভিওয়েট মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অর্থাৎ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এর গুরুত্ব যে অনেকটাই বেড়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিকে দায়িত্ব পাওয়ার সাথে সাথেই এবার বৈঠক করে জেলা কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন জেলা কমিটি গঠনের উদ্যোগী হলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, জেলা সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর এদিন প্রথম হাওড়া জেলা তৃণমূলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি লক্ষ্মীরতন শুক্লা, সমন্বয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত তথা মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া, গুলসন মল্লিক এবং ব্রজনমোহন মজুমদার। আর সেখানে পুরনো কমিটি ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি জেলা তৃণমূলের অফিস বদলের কথা শোনা গেল নেতৃত্বদের গলায়। এদিকে আশ্চর্যজনকভাবে এদিনের বৈঠকে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অরূপ রায়কে ডাকা হলেও তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই তার এই অনুপস্থিতি ঘিরে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে শাসকদলের অন্দরমহলে। তাহলে কি ডানা ছাটার কারণেই এই বৈঠকে অনুপস্থিত থাকলেন অরুপবাবু?

অনেকে বলছেন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, লক্ষ্মীরতন শুক্লা এদিন যে জেলা কমিটির বৈঠক করেছেন, সেখানে অরূপ রায়ের গোষ্ঠীকে ছেঁটে ফেলার প্রয়াস দেখা গেছে। জেলা কমিটি ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি যেভাবে জেলা অফিস বদলের কথা শোনা গেছে, তাতে অরূপ রায় এবং তার গোষ্ঠীকে কার্যত কোণঠাসা করতে চেয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলে মনে করছেন অনেকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিতেই অরূপ রায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল এই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তারপর থেকেই দুই মন্ত্রীর সম্পর্কে ফাটল ধরে। যার জেরে হাওড়া জেলায় ব্যাপক রদবদল অনুষ্ঠিত হয়।

আর এবার দায়িত্ব বদলের পরেও যেভাবে একজন অপরজনকে কোণঠাসা করতে উদ্যত হয়েছেন, তাতে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল এখানে আরও বৃদ্ধি পাবে বলেই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!