পুরসভাতে নিয়োগ তৃণমূল নেতাদের নিকাত্মীয়দেরই! নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে অস্বস্তি বাড়ছে শাসকদলে রাজ্য হাওড়া-হুগলি June 15, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নতুন কিছু নয়। কাছের লোকেদের চাকরি পাইয়ে দেওয়া, কাটমানি নেওয়া, এই সমস্ত অভিযোগ রাজ্যের শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে বারেবারে উঠেছে। সম্প্রতি হুগলী-চুঁচুড়া পৌরসভায় গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি পদে তৃণমূল নেতাদের কাছের মানুষদের চাকরি পাওয়া নিয়ে নতুন করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। যেখানে গ্রুপ ডি পদে পৌরসভার এক বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলার চাকরি পেয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যাতে নতুন করে দানা বেঁধেছে বিতর্ক ইতিমধ্যেই এই গোটা ঘটনার রেশ পৌঁছে গিয়েছে রাজ্য সরকারের সদরদপ্তর নবান্নে মনের মধ্যে যেখানে নানা মানুষ তাদের কাজ হারাচ্ছেন সেখানে তৃণমূল নেতারা এই ভাবে তাদের পৌরসভায় চাকরি পাওয়ায় এখন স্বজনপোষণের অভিযোগ করতে শুরু করেছে বিরোধীরা। যাতে প্রবল অস্বস্তিতে পড়েছে ঘাসফুল শিবির। সামনেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। আর তার আগে পৌরসভা নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমতাবস্থায় চুঁচুড়া পৌরসভা তৃনমূলের বিদায়ী কাউন্সিলারের চাকরি পাওয়ার ঘটনা যে তৃণমূলকে এখন চরম অসুবিধার মুখে ফেলেছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। আগামী নির্বাচনে এই বিষয়গুলো তুলে ধরে বিরোধীরা যে শাসদলকে কোণঠাসা করবে, তাতেও নিশ্চিত সকলে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চুঁচুড়া পৌরসভার যে পদগুলোতে নিয়োগ হয়েছে, তার জন্য শ্রমদপ্তর বা বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। গত বছর এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে প্রায় কুড়ি হাজারের বেশি প্রার্থী পরীক্ষা দিয়েছিলেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - ইতিমধ্যেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অনেক প্রার্থী কাজে যোগ দিতে শুরু করেছেন। আর তাতেই ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কেন বেছে বেছে তৃণমূল নেতা এবং তাঁদের নিকটাত্মীয়দের চাকরি দেওয়া হচ্ছে? এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের এক বর্ষীয়ান বিদায়ী কাউন্সিলর বলেন, “এই সময় অস্থায়ী কর্মীদের মধ্যে কয়েকজনকেও তো অন্তত স্থায়ী পদে উন্নীত করা যেত। করোনা পরিস্থিতিতে ওরাও চিকিৎসকদের মতই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে চলেছেন। কিন্তু তা হল না।” এদিকে চুঁচুড়া পৌরসভায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগের ঘটনা সামনে আসতেই এখন সোচ্চার হয়েছে বিরোধীরা। এদিন এই প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সুদর্শন রায় চৌধুরী বলেন, “শাসকদল সম্ভবত বুঝতে পেরেছে, রাজ্যে আর ক্ষমতায় ফিরবে না। তাই নিয়োগের নামে যা খুশি করছে। তবে সাধারন মানুষ ওদের হারে হারে চিনেছে। সেই কাটমানি দিয়ে শুরু হয়েছিল।” একইভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়ে হুগলি জেলা বিজেপির সাংগঠনিক সভাপতি গৌতম চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এই সরকার আপাদমস্তক দুর্নীতিতে চাপা পড়েছে। আমরা ছাড়ব না। এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে যতদূর যেতে হয় যাব।” এদিকে দলের পরিচালিত পৌরসভার বিরুদ্ধে এভাবে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় এখন কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “চুঁচুড়া পৌরসভায় নিয়োগ নিয়ে স্বচ্ছতার প্রশ্ন উঠেছে। দলের ভাবমূর্তির প্রশ্নে আমরা কখনই আপোষ করি না। পুরমন্ত্রীকে নিয়োগ বাতিলের জন্য অনুরোধ করেছি।” তবে তৃণমূল সাংসদ যে কথাই বলুন না কেন, বিশেষজ্ঞদের দাবি, যেদিকে পরিস্থিতি এগোচ্ছে, তাতে তৃণমূলে এখানে চরম চাপে পড়তে চলেছে। একদিকে আমপান, রেশনে দুর্নীতি সহ একাধিক বিষয়ে তৃণমূল নেতাদের নাম জড়াতে শুরু করেছে। তার মধ্যে এই পৌরসভায় তৃণমূলের নেতা এবং তাঁদের নিকটাত্মীয়দের চাকরি যাওয়ার যে অভিযোগ উঠল, এখন তাতে তৃণমূলের ভোটব্যাংকে এর অনেকটাই প্রভাব পড়বে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আপনার মতামত জানান -