এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলের সর্বাত্মক আক্রমণের পরেও থামছেন না রাজ্যপাল! নতুন করে চাপ বাড়ালেন মুখ্যমন্ত্রীর ওপর

তৃণমূলের সর্বাত্মক আক্রমণের পরেও থামছেন না রাজ্যপাল! নতুন করে চাপ বাড়ালেন মুখ্যমন্ত্রীর ওপর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভয়াবহ দুর্যোগ, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে যখন সংকটে বঙ্গবাসী, তখন রাজ্য বনাম রাজ্যপালের দ্বৈরথ চোখে পড়ার মত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সকলের কাছে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান জগদীপ ধনকর। কখনও সরকারের অস্বস্তি সপ্তমে চড়িয়ে দিয়ে, আবার কখনও বা মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করে শোরগোল তুলে দিয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতির মধ্যে গোড়িয়া শ্মশানের মৃতদেহ আঁকশি দিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়ার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। যে ঘটনার পর থেকেই বিরোধীদলের পক্ষ থেকে যেমন এই মৃতদেহগুলোকে করোনার মৃতদেহ বলে দাবি করা হয়, ঠিক তেমনই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল এই ব্যাপারে টুইট করে গোটা বিষয়টিকে দুর্ভাগ্যজনক বলে আখ্যা দেন। তবে সম্প্রতি কলকাতা পৌরসভার পক্ষ থেকে এবং রাজ্যের স্বরাষ্ট্রদপ্তরের পক্ষ থেকে গোটা ভিডিওকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও এই বিষয় নিয়ে বিতর্ক থামছে না।

এবার একটি টুইট করে এই বিষয়ের কথা তুলে ধরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করে বসলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। সূত্রের খবর, এদিন একটি ধারাবাহিক টুইট করেন পশ্চিমবঙ্গের সাংবিধানিক প্রধান। যেখানে তিনি লেখেন, “আঁকশি দিয়ে টেনে-হিঁচড়ে মানুষের দেহ নিয়ে যাওয়ার ভয়াবহ অকল্পনীয় দৃশ্য বহুদিন অমলিন থাকবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত। এই বর্বরতার কলঙ্ক মোছা মুশকিল। মৃতদেহ সৎকার একটি পবিত্র কর্ম।”

এদিকে এই ভিডিওকে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হলেও, এদিন তার জবাব দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। তিনি লেখেন, “সেই ভিডিওগুলো নকল বলা ক্ষমাহীন ভুল। ওই দেহগুলোর প্রতি নির্লজ্জ অসম্মান। এই নিয়ে কিছু বলার আগে একবার ভাবুন, যদি ওই 14 জনের কেউ একজন আপনার নিকট কেউ হতেন?”

এদিকে এই ব্যাপারে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব এবং কলকাতা পৌরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমের কাছে গোটা বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। আর গড়িয়া শ্মশানের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর যেভাবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়েছে এবং তারপর রাজ্য সরকারের সেই দাবিকে না মেনে যেভাবে রাজ্যপাল সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমা চাওয়ার কথা বললেন, তা নিয়ে এবার রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক শোরগোল তৈরি হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলছেন, গড়িয়া শাসনের যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল তা সত্যিই মর্মান্তিক একটি দৃশ্য। মৃতদেহগুলো যে ঘটনারই হোক না কেন, এভাবে তাকে নিয়ে যাওয়া সত্যিই অত্যন্ত অপমানজনক। আর করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এই বিষয়ে সামনে আসতেই নানা মহলে শোরগোল পড়ে যায়। অনেকেই দাবি করতে শুরু করেন, আসলে এই মৃতদেহগুলো করোনার মৃতদেহ‌। রাজ্য সরকার তা লুকিয়ে রেখেছে। কিন্তু পরবর্তীতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তা সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়।

কিন্তু তা সত্ত্বেও যেভাবে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান এবার এই বিষয়টিকে স্পর্শকাতর হিসেবে গুরুত্ব দিয়ে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শ দিলেন, তাতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আর রাজভবনের প্রধান ব্যক্তির বিরুদ্ধে যদি রাজ্য সরকার আবার এই ইস্যুতে তাদের বিবৃতি দিতে শুরু করে, তাহলে ফের যে রাজ্যপালের পক্ষ থেকে আবার টুইট করে সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে দেওয়া হবে, সেই ব্যাপারেও নিশ্চিত একাংশ। এখন গড়িয়া শ্মশানের ভাইরাল হয়ে যাওয়া ভিডিওকে কেন্দ্র করে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের তিক্ত সম্পর্ক কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!