এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মমতার প্রাক্তন সৈনিক কি ফের তৃণমূলে আসছেন? পার্থর সঙ্গে বৈঠক ঘিরে জল্পনা

মমতার প্রাক্তন সৈনিক কি ফের তৃণমূলে আসছেন? পার্থর সঙ্গে বৈঠক ঘিরে জল্পনা


বিগত বাম সরকারের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনেকটাই অক্সিজেন জুগিয়েছিলেন ছত্রধর মাহাতো। ঝাড়গ্রাম, লালগড় সহ জঙ্গলমহলের এলাকাগুলোতে বাম বিরোধী আন্দোলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে মাঝে মাঝেই দেখা যেত তাকে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্দিনে ছত্রধর মাহাতো তার সাথে থাকলেও, যখন তৃণমূল নেত্রীর সুদিন এল, তখন আর পরিবর্তনের আলো দেখতে পাননি তিনি। কেননা তখন তিনি শ্রীঘরে। বিগত বাম আমলে শেষের দিকে মাওবাদী যুগে অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল জনসাধারণ কমিটির এই নেতাকে। তারপর তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় বসলে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হলেও জেল থেকে ছাড়া পাননি তিনি।

অবশেষে সম্প্রতি 10 বছর পর জেল থেকে বেরিয়েছেন সেই ছত্রধর মাহাতো। এদিকে সম্প্রতি তিনি জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর, তার পরবর্তী রাজনৈতিক ভবিষ্যত কী হবে, তা নিয়ে নানা মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ছত্রধর মাহাতোর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পর্ককে নষ্ট করতে দাবার মোক্ষম চাল চেলেছেন মুকুল রায়। যেখানে তিনি প্রশ্ন করেছেন যে, “মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকার ক্ষমতায় আসার পরেও কেন ছত্রধর মাহাতোকে ছাড়া হয়নি!” অর্থ্যাৎ, তিনি এই প্রশ্ন করে বোঝাতে চেয়েছেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছত্রধর মাহাতো পরিবর্তনের অনেকটা কাছাকাছি নিয়ে গেলে এবং মুখ্যমন্ত্রী করার পেছনে তার অনেক কৃতিত্ব থাকলেও, ছত্রধর মাহাতোকে জেল থেকে ছাড়েননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর এই পরিস্থিতিতে বিজেপি নেতা মুকুল রায় এই প্রশ্ন করার পর নানা মহলে ছত্রধর মাহাতোর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছিল। কি করবেন তিনি! এই প্রশ্ন এখন ঘুরতে শুরু করেছে জঙ্গলমহলের আকাশে বাতাসে। আর এমত একটা পরিস্থিতিতে এবার সেই ছত্রধর মাহাতো এবং তার স্ত্রী নিয়তি মাহাতোর সঙ্গে একান্তে বৈঠক করতে দেখা গেল তৃণমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন ছত্রধর মাহাতোর সঙ্গে দেখা করে বেশ কিছুক্ষণ একান্তে কথা বলেন পার্থবাবু। পরে বাইরে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকরা তার কাছে কি বিষয়ে কথা হয়েছে, জানতে চাইলে তৃণমূল মহাসচিব তথা শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ছত্রধরের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের যোগাযোগ রয়েছে। ওর সঙ্গে জেলেও দেখা করেছি। কবে যোগ দেবে, ওর ব্যাপার। তবে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের প্রতি সহানুভূতিশীল। বহুদিন পর দেখা করলাম। যখন আন্দোলন করতে এখানে আসতাম, তখন ওর সঙ্গে দেখা করতাম। অনেকদিন পর দেখা করে ভালো লাগল। 11 বছর পর ও আলো দেখছে। আগে একটু আলো দেখুক। তারপর সব চিনতে পারবে।”

তাহলে কি ছত্রধর মাহাতো এবার পাকাপাকিভাবে যোগ দিতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস? কি কথা হল তৃণমূল মহাসচিবের সাথে? এদিন এই প্রসঙ্গে ছত্রধরবাবু বলেন, “সৌজন্য সাক্ষাতকার। উনি চেয়েছিলেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দলে যোগদান করাতে। এই মুহূর্তে আমার পক্ষে যোগদান সম্ভব নয়। আমি সময় চাইছি।” আর এখানেই নানা মহলে তৈরি হয়েছে জল্পনা। হঠাৎ কেন ছত্রধর মাহাতো সময় নিতে চাইছেন?

অনেকে বলছেন, দীর্ঘদিন পর জেল থেকে মুক্ত হয়ে এখনই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হতে চাইছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এককালের সৈনিক। সমস্ত কিছু দেখে নিয়েই অভিজ্ঞতার নিরিখে পথ চলতে চাইছেন তিনি। আর তাই তো স্বয়ং তৃণমূল মহাসচিব তার কাছে তৃণমূলে যোগদানের আর্জি জানালেও, কিছুটা সময় নিলেন ছত্রধর মাহাতো। যা রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক জল্পনার সৃষ্টি করল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। এখন গোটা পরিস্থিতি কোনদিকে এগোয়! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!