পঞ্চায়েতে সব হিসেবে গুলিয়ে দিতে পারে ‘বিভীষণরা’, প্রস্তুতি নিচ্ছে শাসকদল বিশেষ খবর রাজ্য January 21, 2018 বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য-রাজনীতির দিকে তাকালে বিক্ষিপ্ত কয়েকটি জায়গা ছাড়া সর্বত্রই শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের রমরমা। উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্রই উড়ছে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ধ্বজা। ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে এক লড়ে ২১১ টি আসন ছিনিয়ে নেয় তাঁর দল। আর তারপরেই যেকটি জায়গায় বিরোধীরা কর্তৃত্ত্ব করছিল (যেমন মালদহ, মুর্শিদাবাদ) সেখানেও মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের জোয়ারে শামিল হতে দলে দলে বিরোধী পঞ্চায়েত সদস্য বা কাউন্সিলররা শাসকদলে ভিড়েছেন। ফলে শাসকদলের দখলে রাজ্যের সবকটি জেলা পরিষদ, এমনকি বেশিরভাগ পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতও তাদেরই দখলে। ফলে আপাত দৃষ্টিতে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন শাসকদলের কাছে কার্যত ‘কেক-ওয়াক’, বিরোধীদের কাছে অস্তিত্ত্ব রক্ষার লড়াই। কিন্তু তাও এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ শাসকদল। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আগামী ৩১ জানুয়ারী শাসকদলের কোর কমিটির বৈঠক রয়েছে। ওই বৈঠক থেকেই জেলা ভিত্তিক পঞ্চায়েত নির্বাচনের কাজ দেখভালে ‘নজরদারি কমিটির’ নাম ঘোষণা করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। আর এরফলেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে, তাহলে কি শাসকদল আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে ‘অন্তর্ঘাতের’ ভয় করছে? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতার কথায়, মুকুল রায়ের সঙ্গে জেলায় জেলায় এখনও একাংশ তৃণমূল নেতা, কর্মীর সুসম্পর্ক রয়েছে। সামান্য সুযোগ পেলেই যে তিনি কি করতে পারেন তা নোয়াপাড়াতে মঞ্জু বসুকে ‘প্রায়’ প্রার্থী করে দেখিয়ে দিয়েছিলেন। শেষমুহূর্তে মঞ্জুদেবী বেঁকে বসায় মুকুলবাবু এবার অনেক সাবধানী পা ফেলবেন, তাই তাঁর অনুগামীরা হয়তো এই মুহূর্তে প্রকাশ্যে বিজেপিতে যোগ দেবেন না, কিন্তু শাসকদলের অন্দরে থেকে ‘বিভীষণের’ কাজটা করতেই পারেন। আর তাই সাবধানের মার নেই, পঞ্চায়েতে ফল একটু এদিক-ওদিক হলেই তার প্রভাব পরের বছরের লোকসভা ভোটে পড়তে পারে। তাছাড়া শাসকদলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বেড়েছে, একথা অনস্বীকার্য, সেটাকেও সুকৌশলে ব্যবহার করতে পারে বিরোধীরা নিজেদের অস্তিত্ত্ব রক্ষার জন্য। সবমিলিয়ে পঞ্চায়েতে শাসকদলের প্রধান বিরোধী হতে চলেছেন এই ‘বিভীষণরাই’ মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। আপনার মতামত জানান -