এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃনমূলের মেগা কর্মসূচিতে নেই এই হেভিওয়েট নেতা ও পরিবার, সম্পর্ক ঘিরে জোর গুঞ্জন!

তৃনমূলের মেগা কর্মসূচিতে নেই এই হেভিওয়েট নেতা ও পরিবার, সম্পর্ক ঘিরে জোর গুঞ্জন!

 

তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর যে ব্যক্তির জনপ্রিয়তা তুঙ্গে তিনি হলেন শুভেন্দু অধিকারী। আড়ালে-আবডালে হলেও তা স্বীকার করে নেন অনেক নেতাই। কিন্তু তৃণমূলের হেভিওয়েট শীর্ষ নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রীকে দেখা গেলোনা শাসকদলের মেগা কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। তবে শুধু কি শুভেন্দু অধিকারী! হয়ত বা শুধু শুভেন্দুবাবু অনুপস্থিত থাকলে বিতর্ক এতটা চাড়া দিত না। কিন্তু শুভেন্দুবাবুর পাশাপাশি তার পরিবারের সকল সদস্য, যারা তৃণমূল কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ, তারাও অনুপস্থিত থাকলেন তৃণমূলের এই মেগা কর্মসূচিতে!

বস্তুত, দিদিকে বলোর পর প্রশান্ত কিশোরের পরিকল্পনামাফিক সোমবার তৃণমূলের সকল জেলার পদাধিকারী এবং জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে নেতাজি ইন্ডোরে ডাকা হয়েছিল এক মহতী বৈঠক। যে সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের পরবর্তী কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছেন। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে এদিনের এই কর্মসূচিতে সকল জেলার সকল তৃণমূল নেতৃত্বকে দেখা গেলেও, উপস্থিত ছিলেন না মেদিনীপুরের অধিকারী পরিবারের সদস্যরা।

মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে জেলা সভাপতি তথা সাংসদ শিশির অধিকারী, দিব্যেন্দু অধিকারি এমনকি কাঁথি পৌরসভা চেয়ারম্যান সৌমেন্দু অধিকারীর অনুপস্থিতিও এসেছে সকলের। তাহলে কি দলের তরফে উপস্থিত হওয়ার জন্য কড়া বার্তা দেওয়া হলেও, সেখানে অনুপস্থিত না থেকে দলের সঙ্গে কার্যত দূরত্ব বাড়ালেন অধিকারী পরিবারের দাপুটে সদস্যরা! কোন দিকে এগোচ্ছে তৃণমূলের পরিস্থিতি!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর বৈরিতার কথা কারোরই অজানা নয়। কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরের স্থান দখল করবে, তা নিয়ে রীতিমতো ঠান্ডা লড়াই চলছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘরে বসে সংগঠন করছেন বলে অনেকে দাবি করে শুভেন্দু অধিকারীর লড়াইয়ের গর্ভে জন্ম, তাই তাকেই তৃণমূলের দায়িত্ব দেওয়া উচিত বলে তার অনুগামীরা দাবি করেন।

অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামীরাও তার হয়ে সওয়াল করতে শুরু করেন। তাই এই পরিস্থিতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনামাফিক প্রশান্ত কিশোরের প্ল্যানে যখন তৃণমূল দ্বিতীয় মহতী কর্মসূচি লঞ্চ করতে চলেছে, তখন সেখানে গোটা অধিকারী পরিবার অনুপস্থিত থেকে কি দলে অভিষেকতন্ত্রের বিরুদ্ধে মত পোষণ করলেন! তবে সমালোচক মহলের একাংশ এই কথা বললেও, তা মানতে নারাজ অধিকারী পরিবারের প্রবীণ সদস্য শিশির অধিকারী। এদিন তিনি বলেন, “আমি ও দিব্যেন্দু সংসদের অধিবেশনে যোগ দিতে আজ ভোরে বেরিয়ে দিল্লি চলে এসেছি। শুভেন্দু গতকাল মুর্শিদাবাদের সভা করেছে। মুর্শিদাবাদের সভা করে মালদহ যাবে। মঙ্গলবার মমতার প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেবে। দলনেত্রী সব জানেন।”

কিন্তু তিনি কেন অনুপস্থিত হলেন! তারও কি এরকম কোনো কর্মসূচি ছিল! এদিন এই প্রসঙ্গে কাঁথি পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন্দু অধিকারী বলেন, “শারীরিক অসুস্থতার কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচিতে যেতে পারিনি। উচ্চ নেতৃত্বকে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলাম।” অনেকে বলছেন, তৃণমূলের নেতারা অনেক সময় দলের কর্মসূচিতে না গেলে শারীরিক অসুস্থতার কথা তুলে ধরেন। এ ভারি মজার বিষয়। কিন্তু সত্যিই কি শারীরিক অসুস্থতা নাকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্ল্যানে কর্মসূচি হচ্ছে, তার কারণেই অধিকারী পরিবারের সমস্ত সদস্য অনুপস্থিত থাকলেন! দিনের শেষে প্রশ্নটা তৈরি হয়েছে তৃণমূল কর্মীদের অন্দরমহলেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!