প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। মাঝেমধ্যেই এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগে জর্জরিত হতে দেখা যায় তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে। আর এবার টেলি অ্যাকাডেমির কাজ খতিয়ে দেখতে এসে রাজ্যের তিন হেভিওয়েট মন্ত্রী তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন। যেখানে স্থানীয় বিধায়ক তথা বিধানসভার অধ্যক্ষ আমন্ত্রণ না পাওয়ার কারণে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। খোদ তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে যেভাবে পড়তে হল ঘাসফুল শিবিরের তিন মন্ত্রীকে, তা কার্যত বেনজির বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, এদিন বারুইপুর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত টংতলা এলাকায় নব নির্মিত টেলি অ্যাকাডেমি পরিদর্শন করতে যান রাজ্যের তিন মন্ত্রী। যার মধ্যে ছিলেন, অরুপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং ইন্দ্রনীল সেন। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে স্থানীয় বিধায়ক তথা বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে অভিযোগ। আর সেই অভিযোগ তুলে ধরেই স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা পতাকা নিয়ে তিন মন্ত্রীর সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। আর এই ঘটনা নিয়েই নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

এদিন এই প্রসঙ্গে এক তৃণমূল কর্মী বলেন, “কেন বিধায়ককে এই বৈঠকে ডাকা হয়নি?” অনেকে বলছেন, সত্যিই তো তাই। স্থানীয় বিধায়ক কেন এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অনুপস্থিত? তাহলে কি বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে না জানিয়েই এই উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে? এদিন এই প্রসঙ্গে বিমানবাবু বলেন, “হয়ত আমাকে আমন্ত্রণ জানাতে ভুলে গিয়েছিল। আমি এই ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট, তাকে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আর সেই কারণেই এই অনুষ্ঠান থেকে যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের বিষয়টি পরিস্কারভাবে উঠে এলো, তা বলাই যায়। যার ফলে টেলি অ্যাকাডেমি নিয়ে একশ্রেণীর বিক্ষোভ এবং স্থানীয় বিধায়কের অনুপস্থিতি ঘাসফুল শিবিরের চাপ ক্রমশ বাড়িয়ে দিল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।