এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূল নেতাদের অবৈধ নিয়োগ দুর্নীতি! মন্ত্রীর নির্দেশ উড়িয়েই “কাজ” চালাচ্ছেন প্রভাবশালী নেতা

তৃণমূল নেতাদের অবৈধ নিয়োগ দুর্নীতি! মন্ত্রীর নির্দেশ উড়িয়েই “কাজ” চালাচ্ছেন প্রভাবশালী নেতা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলের নানা জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে চাপে পড়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে সেই দুর্নীতি বন্ধ করার জন্য কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে শীর্ষনেতাদের সেই নির্দেশ নীচুতলার অনেক তৃণমূল নেতাদের কানে পৌঁছায় না। এবার সেই ঘটনারই বহিঃপ্রকাশ ঘটতে দেখা গেল চুঁচুড়া পৌরসভায়।

সম্প্রতি এই পৌরসভার একটি নিয়োগ তালিকা নিয়ে তীব্র বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে তৃণমূল নেতাদের নিকটাত্মীয় থেকে শুরু করে অনেক তৃণমূল কাউন্সিলরকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য স্বজনপোষণের অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। যার ফলে ব্যাপক চাপে পড়ে ঘাসফুল শিবির। আর এই পরিস্থিতিতে নিয়োগ তালিকা বাতিলের নির্দেশ দেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

তবে অভিযোগ, পুরমন্ত্রী নির্দেশ দিলেও, সেই নবনিযুক্ত কর্মীদের দিয়ে পৌরসভার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন চুঁচুড়া পৌরসভার বর্তমান প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান তৃণমূলের গৌরিকান্ত মুখোপাধ্যায়। যা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে পুরমন্ত্রী তালিকা বাতিলের নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও, কেন প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান গৌরীকান্তবাবু তা মানছেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা গেছে এই পৌরসভার বিদায়ী ভাইস চেয়ারম্যান তথা প্রশাসক মন্ডলীর অন্যতম সদস্য অমিত রায়কে। যার ফলে চাঞ্চল্য আরও বেড়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশের প্রশ্ন, সত্যিই তো তাই! যেখানে তৃণমূলের অনেক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের এই পৌরসভায় চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, আর তার জন্য পুরমন্ত্রী তালিকা বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে, তার পরেও কেন সেই তালিকাকে মান্যতা দিয়ে কাজ করা হচ্ছে? এতে গৌরীকান্তবাবু সরকারী নির্দেশ তো মানছেনই না, পাশাপাশি দলের নির্দেশকেও কেন মান্যতা দিচ্ছেন না তিনি?

এদিন এই প্রসঙ্গে সেই অমিত রায় বলেন, “পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের দলের নেতা। তারা বলার পরেও পৌরসভার বিতর্কিত নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা কোন ধরনের শৃঙ্খলা! ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করানো থেকে বিল তৈরি, নবনিযুক্তদের দিয়েই সব করানো হচ্ছে। তাছাড়া অবৈধ চাকরির ক্ষেত্রে বদলি কিভাবে হয়! অভিযুক্তদের পদে রেখেই পৌরসভার তদন্ত প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে। এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পৌরসভায় কর্মী বিক্ষোভের ঘটনা ঘটছে।”

একইভাবে গোটা ঘটনা নিয়ে সরব হতে দেখা গেছে ভারতীয় জনতা পার্টিকেও। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির পক্ষ থেকে স্বপন পাল গোটা বিষয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন। কিন্তু কেন পুরমন্ত্রী নির্দেশ দেওয়ার পরেও সেই তালিকা বাতিল করছেন না তিনি? এদিন এই প্রসঙ্গে চুঁচুড়া পৌরসভার প্রশাসক গৌরিকান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, “তালিকা বাতিলের চিঠি আমি এখনও পাইনি। যে কর্মীকে বদলি করা হয়েছে, তিনি আগেই পৌরসভার অস্থায়ী পদে ছিলেন। তাই তাকে বদলি করা হয়েছে। যারা নতুন নিযুক্ত হয়েছিলেন, তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সহ অন্যান্য সরকারি কাজ আগেই শুরু করা হয়েছিল।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চুঁচুড়া পৌরসভা এই নিয়ে তৃণমূলের অস্বস্তি অনেকটাই বেড়েছিল। যার ফলে দলের শীর্ষ স্তর থেকে সেই নিয়োগ তালিকা বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা যেভাবে বহাল রেখেছেন সেই পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান, তাতে তৃণমূলের অস্বস্তি আরও বাড়ছে। এখন গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয় কিনা, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!