লকডাউনকে থোড়াই কেয়ার! নিয়ম না মেনে ৫০০ জনকে নিয়ে ঈদের নামাজ পরে বিতর্কে তৃণমূল বিধায়ক! নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য May 26, 2020 করোনাভাইরাস এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য গোটা দেশজুড়ে চলছে চতুর্থ দফার লকডাউন। আর এই চতুর্থ দফার লকডাউন এর মধ্যেই পালিত হলো ঈদ-উল- ফিতরের উৎসব। যে যার নিজের বাড়িতে বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে ঈদের নামাজ পড়ে উৎসবটি পালন করলেন। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দপ্তরের তরফে কিছু ক্ষেত্রে লকডাউন শিথিল করা হলেও ধর্মীয় জমায়েত এর ক্ষেত্রে এখনো কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা আছে। সে ক্ষেত্রে কোনো শিথিলতা মেলেনি কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। জানা গেছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে ঈদে জমায়েত হওয়ার কোন করা নিষেধাজ্ঞা জারি না করা হলেও, তিনি জমায়েত না করার অনুরোধ করেছিলেন রাজ্যবাসীর কাছে। কিন্তু কলকাতার এক সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত সোমবার উলুবেড়িয়ার পূর্ব কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিস আলী লকডাউন এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধকে অমান্য করে নিজের বাড়ির ছাদে প্রায় ৫০০ জন লোককে নিয়ে ঈদের নামাজ পড়েছেন। প্রসঙ্গত, গত শনিবার দিল্লির জামা মসজিদের শাহী ইমাম সৈয়দ আহমেদ বুখারী ঘোষণা করেন ভারতের ক্ষেত্রে সোমবার ঈদ পালন করা হবে। সেক্ষেত্রে এর পাশাপাশি তিনি অনুরোধ জানান কোন রকম জমায়াত না করে যে যার নিজস্ব বাড়িতে থেকে পরিবারের সদস্যদের সাথে বাড়ির বড় অংশে অথবা বাড়ির ছাদে ঈদের নামাজ পড়ে যেন ঈদ পালন করেন। জানা গেছে এছাড়াও রাজ্যের ইমামদের সংগঠনের তরফে ঈদে জমায়েত না হওয়ার নিশ্চিত বার্তা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কে একটি চিঠি পাঠানো হয়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কার্যত পরিলক্ষিত হয় প্রতিবছর রাজ্যের রেড রোডের ময়দান অঞ্চলে যেখানে নামাজ পড়ার জন্য প্রায় ৫ লক্ষ লোকের জনসমাগম ঘটে সেই অঞ্চল পুরোপুরি ফাঁকা ছিল। প্রসঙ্গত, এদিন কলকাতার মেয়র তথা নগর ও পুরো উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও নিজের বাড়িতে তাঁর পরিবারের লোকজনের সাথে ঈদের নামাজ পড়েন। কিন্তু এদিন লকডাউন-এর সমস্ত আইনকে উলঙ্ঘন করেই শতাধিক লোককে সাথে নিয়ে উলুবেড়িয়ার বাজারপাড়া এলাকার নিজের বাড়িতে তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিস আলী ঈদের নামাজ পড়লেন বলে দাবি ওই সংবাদমাধ্যমের। বিষয়টি নিয়ে, ইতিমধ্যেই অবশ্য বিরোধী মহলে যথেষ্ট জল্পনার ঝড় উঠেছে। বিরোধীদের মতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধকে অমান্য করে তাঁরই দলের বিধায়ক এইভাবে জমায়েত করে করোনাভাইরাস-এর সংক্রমণের পথ আরো প্রশস্ত করে দিয়েছেন। ওই সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, এদিন ইদ্রিস আলী একটি হলুদ রঙের কুর্তা পরে নিজের বাড়ির ছাদে প্রায় ৫০০ জন লোকের সাথে যোগ দিয়ে ঈদের নামাজ পড়েন। এমনকি সেখানে একজন স্থানীয় মৌলবীও উপস্থিত ছিলেন তাঁদেরকে নামাজ পড়ানোর জন্য বলেও ওই সংবাদমাধ্যমের তরফে দাবি করা হয়েছে। যদিও ওই সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, এই বিষয়ে ইদ্রিস আলীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছেন, সমস্ত রকমের নির্দিষ্ট আইন মেনে তিনি এই নামাজ পড়ার ব্যবস্থাটি করেছেন। তিনি এদিন আরো জানিয়েছেন যারা নামাজ পড়তে এসেছিলেন তাদের প্রত্যেকের মুখেই মাস্ক ছিল এমনকি প্রত্যেকে নামাজ পড়ার পর হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করেছেন। যদিও ওই সংবাদমাধ্যমের দাবি, ইদ্রিস আলী নিজের এই কাজের জন্য সাফাই দিলেও বিরোধীদের মধ্যে প্রশ্নের ঝড় উঠেছে। বিরোধীদের মতে যেখানে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য দুই গজ-এর দূরত্ব বজায় রেখে সমস্ত কাজ করা উচিত সেখানে ৫০০ জনের জমায়েতে এক ফুট দূরত্ব ছিল না। এমনকি হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করার সময়ও তাদের মধ্যে কোনরকম দূরত্ব ছিল না বলে ওই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ। যদিও এই খবরের সত্যতা বা সূত্র সম্পর্কে ওই সংবাদমাধ্যমে কিছু লেখা নেই, প্রিয়বন্ধু বাংলার তরফেও এই খবরের সত্যতা যাচাই করে দেখা সম্ভব হয় নি। এই প্রবন্ধ সম্পূর্ণরূপে ওই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের পরিপ্রেক্ষিতে করা, কোনোভাবেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয় বা কোনো ব্যক্তি বা দলের সম্মানহানির উদ্দেশ্যে রচিত নয়। আপনার মতামত জানান -