কী কারণে তৃণমূল ত্যাগ করলেন মুকুল রায়? রহস্য ফাঁস করলেন বিস্ফোরক বিজেপি নেতা মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য January 24, 2019 একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়াসঙ্গী ছিলেন তিনি। দলনেত্রীর অত্যন্ত আস্থাভাজন। কিন্তু ২০১৭ সালে আচমকাই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন তিনি। কথা হচ্ছে দলত্যাগী তৃণমূল নেতা তথা বর্তমান বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের। তিনি যে দলত্যাগ করবেন এ জল্পনা তাঁর তৃণমূল ছাড়ার বহু আগে থেকেই শুরু হয়েছিল। তাঁর ঘনিষ্টমহল জানিয়েছিল,গোপনে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন মুকুল রায়। অবশেষে জল্পনা সত্যি করে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি।। তবে কেন তিনি তৃণমূল ত্যাগ করেছিলেন সেটা আজও রহস্যই রয়ে গিয়েছে। মুকুল রায় বিজেপিতে যোগদানের পর তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে একাধিকবার ক্ষোভ উগড়ে দিলেও তিনি নিজে কেন দল ছেড়েছিলেন সেটার খোলাসা করেননি কোনোদিনও। তাই এই প্রসঙ্গে নিয়ে তাঁর দলত্যাগের এতো দিন পরেও চর্চায় বিন্দুমাত্র দাঁড়ি পড়েনি। আর তাই লোকসভা ভোটের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে রাজনৈতিক চর্চার অভিমুখ নিজের দিকে ঘোরাতে এবার তাঁর তৃণমূল ত্যাগের রহস্য ফাঁস করলেন খোদ মুকুল রায়। সিউড়ির সভা থেকেই প্রকাশ্যে দাবী করলেন,’আমার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গণ্ডগোল হয়েছিল বিভিন্ন কারণে। যার মধ্যে অন্যতম কারণ ছিল সিবিআই।’ তিনি বলতে চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তাকে সিবিআইয়ের কাছে যেতে বারণ করেছিলেন। তবে মুকুল রায় সেটা মানেনি বলেই নেত্রীর অপ্রিয় পাত্র হয়ে গিয়েছিলেন সেসময়। প্রসঙ্গত,২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন মুকুল রায়। তবে সেইসময়ের অনেক আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে। বিভিন্ন ইস্যুতে নেত্রীর সঙ্গে মুকুল রায়ের মতবিরোধ দেখা যায়। দীর্ঘদিন ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডান হাত ছিলেন যিনি,হঠাৎ করে কেন তাঁর সঙ্গেই নেত্রীর বিরোধের প্রেক্ষাপট তৈরি হয় তা নিয়ে প্রশ্ন দানা পাকাতে থাকে রাজনৈতিকমহলে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে চলতি সময়ের সঙ্গে সে প্রশ্ন রহস্য নিয়ে ধামাচাপা পড়ে যায়। সেই প্রশ্নকেই গতকাল খুঁড়ে বের করলেন মুকুল রায় স্বয়ং। সাফ কথায় জানালেন,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে সিবিআইয়ের জেরার সম্মুখীন হতে বারণ করেছিলেন। কিন্তু মুকুল রায় নাকি তখন জানিয়েছিলেন,সিবিআইয়ের ডাকে প্রতিবারই তিনি সাড়া দেবেন। তদন্তের খাতিরে সমস্ত সহযোগিতা করবেন। এর জন্যে যদি তাকে শাস্তি পেতে হয় সেটাও তিনি মাথা পেতে নেবেন বলে জানান তিনি। চিটফান্ড কেলেঙ্কারি মামলার নিষ্পত্তি হয়নি এখনো। ফের এই ইস্যু নিয়ে লোকসভা ভোটের আগে নড়েচড়ে বসেছে বিজেপি সরকার। আগে এই ইস্যুতেই তৃণমূলের বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীর নাম জড়িয়েছিল। ফের যদি একই ইস্যুকে হাতিয়ার করে লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যের শাসকদলের ভাবমূর্তি নষ্ট করা যায় তাহলে বিজেপির পক্ষে লাভজনক হবে বলেই মনে করে চিটফান্ড কান্ড নিয়ে ফের সক্রিয় হয়েছে কেন্দ্র। আর সেই প্রেক্ষিতেই এই ইস্যুর বিতর্ককে ফের উস্কে দিলেন রাজ্যবিজেপির হেভিওয়েট নেতা মুকুল রায়। প্রকাশ্যেই জানালেন,রাজ্য সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা অনেক মন্ত্রী রাতে সঠিকভাবে ঘুমাতে পারে না। কারণ সিবিআই কখন তাঁদের দরজায় কড়া নাড়বে এই আতঙ্কেই সবসময় জবুথবু হয়ে থাকেন তাঁরা। সমাবেশে মুকুল রায় আরো বলেন, নীরব মোদী,বিজয় মালিয়ারা সরকারের টাকা লুঠ করেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে কেন্দ্র। দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিজেপি সরকার যে সবসময়ই সক্রিয় এটাই বোঝাতে চাইলেন তিনি। এর পাশাপাশি তিনি তৃণমূল সরকারকে তোপ দেগে বললেন,এই রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষকের টাকা নয়ছয় করেছে সারদা-রোজভ্যালি। এর নেপথ্যে মদত দিয়েছে রাজনৈতিক নেতারা। যাঁরা টাকা নিয়েছেন তাঁরা কোথায় গেলেন? প্রশ্ন তোলেন মুকুল রায়। আপনার মতামত জানান -