এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > বৈচিত্রের মধ্যেই ঐক্য! বাংলার হেভিওয়েট সংখ্যালঘু বিধায়ক নিজের হাতে তৈরী করছেন দুর্গামূর্তি

বৈচিত্রের মধ্যেই ঐক্য! বাংলার হেভিওয়েট সংখ্যালঘু বিধায়ক নিজের হাতে তৈরী করছেন দুর্গামূর্তি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – চারিপাশে যখন ধর্ম নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে অহরহ, যখন ধর্মের নামে চলছে হানাহানি- ঠিক তখনই বৈচিত্রের মধ্যে মৈত্রীর ছবি দেখা গেল কান্দিতে। দেশের সর্বত্র যেখানে হিন্দু-মুসলিম বিভেদের ছবি ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে, ঠিক সেসময় বাংলার মাটিতে সম্পূর্ণ অন্য ছবি। কান্দির কংগ্রেস বিধায়ক হলেন সফিউল আলম খান। ওরফে বনু খাঁন নামেই তিনি পরিচিত এলাকায়। এই বোনু খাঁন সর্বগুণের অধিকারী বলে মনে করেন গ্রামবাসীরা। আর সে কারণে গ্রামবাসীরা এই বনু খাঁনকে জনপ্রিয়তার শীর্ষাসনে বসিয়ে রেখেছেন বলে জানা যায়।

কখনো বনু খাঁনকে দেখা যায় খেলার মাঠে রমরমিয়ে পারফর্ম করছেন, কখনো তাঁকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে, আবার কখনো তাঁকে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অভিজ্ঞ ভঙ্গিতে সবকিছু সামলাতে দেখা যায়। এবারের পুজোয় কান্দির এই মুসলিম বিধায়কের হাতেই মা দুর্গা চিন্ময়ী থেকে মৃন্ময়ী রূপে আবির্ভূত হচ্ছেন বলে জানা যাচ্ছে। 2019 এর কান্দি বিধানসভা উপ নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে জয়ী হন সফিউল আলম খান। মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও দূর্গা মূর্তির প্রতিমা তৈরিতে তাঁর কার্যকারিতা প্রতিপদে প্রকাশ পাচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বাঁশের কাঠামোতে মাটির প্রলেপ দান হয় তাঁরই হাতে। এরপর চক্ষুদান, প্রাণপ্রতিষ্ঠা, মায়ের মৃন্ময়ী হয়ে ওঠার সমস্ত পর্বের পুরোটাই প্রায় নিজের হাতে দেখাশুনা করেন সফিউল। এই প্রসঙ্গে প্রতিমাশিল্পী গোপীনাথ দাস জানিয়েছেন, সফিউল আলম খান অর্থাৎ বনু খাঁনের বাবা প্রায় চল্লিশ বছর আগে নিজেই প্রতিমা তৈরি করতেন। কিন্তু বাবা মারা যাওয়ার পর বনু খাঁন বহুদিন নিজেই প্রতিমা বানিয়েছেন। এমনকি প্রতিমা শিল্পীদের মূর্তি বানানোর জন্য জায়গাও বিনামূল্যে দিয়েছেন তিনি।

প্রতিমাশিল্পী গোপীনাথ দাস আরও জানান, সময়ের অভাবে এখন বিধায়ক প্রতিমা গড়ার কাজে সেভাবে হাত দিতে পারেন না, কিন্তু যখনই সময়-সুযোগ পান তখনি ছুটে আসেন প্রতিমা গড়ার জায়গায়। অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দারাও গর্বিত তাঁদের বিধায়কের এই কাজে। হিন্দু মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের মানুষরাই বনু খাঁনের এই কৃতিত্বে গর্বিত।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ধর্মের নামে অশান্তি ছড়ায় যারা, তাঁরা স্বার্থান্বেষী। মানুষ ও মানবিকতা যখন আক্রান্ত হচ্ছে ধর্মের নামে, ঠিক সেসময় বনু খাঁনের দুর্গা মূর্তি তৈরি অন্য ধারার জন্ম দিচ্ছে বাংলার বুকে। কবির ভাষায়, ‘মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই নহে কিছু মহীয়ান’- এই লাইনটি পরতে পরতে সত্য হয়েছে কান্দির কংগ্রেস বিধায়ক সফিউল আলম খানের ক্ষেত্রে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!