এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > পাগল সেজে জঙ্গী কার্যকলাপ! ধৃত যুবকের আচরনে সন্দেহ গোয়েন্দাদের!

পাগল সেজে জঙ্গী কার্যকলাপ! ধৃত যুবকের আচরনে সন্দেহ গোয়েন্দাদের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি মুর্শিদাবাদ থেকে বেশকিছু আল-কায়দা জঙ্গী গ্রেপ্তার হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম মুর্শিদ হাসান। আর এই মুর্শিদ হাসান সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করতে গিয়ে রীতিমত চোখ কপালে উঠে যাওয়ার জোগাড়। জঙ্গী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কারণে রীতিমত পাগলের মত আচরণ করতো মুর্শিদ হাসান বলে দাবি এলাকাবাসীর। আর গ্রেফতার হওয়ার পর এখন সেই প্রশ্নই তুলতে শুরু করেছেন গোয়েন্দারা।

জানা গেছে, সাদামাটা পোশাক, এলোমেলো চুলে ঘুরে বেড়াত মুর্শিদ হাসান। বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে থাকলেও বাইরের কারও সঙ্গে খুব একটা বেশি কথাবার্তা বলত না সে। নিজের মনেই বিড়বিড় করতে। কখনও কখনও নিজের চুল ধরে টানত। যা দেখে এলাকাবাসীরা তাকে পাগল বলেই সন্দেহ করত। কিন্তু মুর্শিদ হাসানের এই আচরণের পেছনে তার ধরা না পড়ে যাওয়ার জন্য অভিনয় রয়েছে বলে দাবি করছেন গোয়েন্দারা।

কেরল থেকে বাড়িতে ফিরে আসার পর তার এই আচরন বাড়ির লোকের কাছে স্বাভাবিক বলে মনে হলেও, এলাকাবাসীরা সাবধানেই থাকতেন। কিন্তু সেই মুর্শিদ হাসান এবার গ্রেপ্তার হওয়ার পর গোয়েন্দাদের মনে সন্দেহ হয়েছে যে, শুধুমাত্র নিজেকে সন্দেহের তালিকা থেকে বাদ রাখার জন্যই পাগলের মত আচরণ করে সুকৌশলে নিজের জঙ্গিগোষ্ঠীর কাজ করত এই মুর্শিদ হাসান।

গোয়েন্দাদের দাবি, পাগল সেজে তথ্য জোগাড় করাই ছিল তার মূল লক্ষ্য। প্রায় তিন বছর আগে সে পানাগর সেনা ছাউনি ঘুরে এসেছিল। কিন্তু যদি সে স্বাভাবিক মানুষ হবে, তাহলে পাগলের অভিনয় করা সেই মুর্শিদ হাসানের ছদ্দবেশী রূপ কেউ কখনও ধরতে পারল না?  তদন্তকারীরা বলছেন, বেশি পড়াশোনা না করলেও অত্যন্ত বুদ্ধিমান ছিলেন তিনি। তাই তাকে নিয়ে যাতে কেউ বেশি চর্চা করতে না পারে, তার জন্যই তার এই ছদ্দবেশী রূপ ধারণ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, “কেরল যাওয়ার পর ও দু-তিনবার বাড়ি ফিরেছিল। তবে গ্রামে কারও সঙ্গে তেমন কথা বলত না।” কিন্তু তার ছেলে কি সত্যি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন? এই ব্যাপারে কি বলছেন সেই মুর্শিদ হাসানের বাবা? এদিন তিনি বলেন, “ছোট থেকেই ও পাগল। মাঝেমধ্যে এখানে ওখানে চলে যেত। আবার কিছুদিন পর বাড়ি ফিরত। গ্রামের লোকজন বুঝিয়ে ওকে কেরলে কাজে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানেও একই কাণ্ড। তা বলে ছেলে জঙ্গী কিছুতেই হতে পারে না।”

তবে গোয়েন্দারা বলছেন, নিজের ছেলেকে বাঁচানোর জন্য তার বাবা এই ধরনের কথা বললেও বলতে পারেন। কিন্তু জঙ্গী গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কারণেই মুর্শিদ হাসান মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির মত আচরণ করেছেন বলে একপ্রকার নিশ্চিত গোয়েন্দারা। তবে অভিনয় করতে গিয়ে যাতে কোনো সময় ছদ্দবেশী রূপ বেরিয়ে না পড়ে, তার জন্য অত্যন্ত সুচারুভাবে সমস্ত দিক পালন করেছেন মুর্শিদ হাসান। কেননা গ্রেপ্তার হওয়ার আগে পর্যন্ত তার এই মানসিক ভারসাম্যহীনতার ব্যাপারটি কেউ তেমন ভাবে ধরতে পারেননি। তবে এবার গোয়েন্দাদের কাছে এই ব্যাপারটি নিয়ে সবথেকে বেশি পরিমাণে চর্চা হওয়ায় সত্যি সত্যিই তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন, নাকি ধরা পড়ার কারণে পাগল সেজে থাকার অভিনয় করতেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। এখন শেষ পর্যন্ত জেরা পর্বে এই ব্যাপারে গোয়েন্দাদের কাছে কি তথ্য উঠে আসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!