এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > কোথাও নেই নর্দমা বা রাস্তা, কোথাও বুথভাগের আর্জি! কর্মীসভায় অনুব্রতর চিন্তা ক্রমশ বাড়ছে!

কোথাও নেই নর্দমা বা রাস্তা, কোথাও বুথভাগের আর্জি! কর্মীসভায় অনুব্রতর চিন্তা ক্রমশ বাড়ছে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী ২০২১ এর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন রাজ্যের শাসক দলের কাছে পূর্ববর্তী ২০১৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের মতো সে সহজ হবার নয়, তা মেনে নিয়েছেন শাসক দলের বেশকিছু কিছু নেতা-কর্মী ইতিমধ্যেই। তাই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করার পরিকল্পনা নিয়েছে শাসক দলের শীর্ষস্থানীয়রা। বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এই জেলার সমস্ত বুথে বুথ কর্মীসভার আয়োজন করছেন। এই কর্মীসভা গুলিতে তিনি তৃণমূল দলের বিভিন্ন স্তরের সদস্যদের কাছ থেকে তাদের বিভিন্ন অভাব-অভিযোগ শুনছেন ও দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন।

গত সোমবার বীরভূম জেলার মহম্মদবাজার ব্লকের কাঁইজুলিতে এমনি এক বিশেষ কর্মীসভার আয়োজন করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এই কর্মীসভায় অনুব্রত মন্ডলের কাছে আঙ্গারগড়িয়া থেকে মালডিহা গণেশপুর গামী রাস্তার বেহাল অবস্থার কথা জানিয়ে, এই রাস্তার দ্রুত মেরামত করার অনুরোধ জানালেন বহু বুথস্তরীয় তৃণমূলদলের কিছু মহিলা কর্মী।

প্রসঙ্গত, আঙ্গারগড়িয়া গ্রামের প্রায় সমস্ত রাস্তায় কংক্রিটের ঢালাই করা হলেও এই রাস্তা গুলোর পাশে কোন নর্দমা তৈরি করা হয়নি। কিন্তু রাস্তার পাশে থাকা সমস্ত বাড়িতেই আছে শৌচাগার। এরফলে বাড়ির শৌচাগার থেকে বেরিয়ে আসা নোংরা জল গিয়ে পড়ছে রাস্তায়। তাই অধিকাংশ সময়ই রাস্তাগুলি নোংরা জলে ভর্তি হয়ে থাকছে। এই নোংরা জলের উপর দিয়েই হেঁটে যেতে বাধ্য হচ্ছেন গ্রামবাসীরা।

আবার, এই গ্রামের অধিকাংশ রাস্তাই পাকা করা হলেও আঙ্গারগড়িয়া থেকে মালডিহা গণেশপুর গামী রাস্তাটি এখনো কাঁচা অবস্থায় রয়ে গেছে। কাঁচা অবস্থায় থাকার কারণে এই রাস্তার মধ্যে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষায় এই গর্ত গুলিতে জলজমে মানুষের দুর্ভোগ প্রচন্ড বেড়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গ্রামের রাস্তার এমন বেহাল অবস্থার কথা জেনে জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এই দুই রাস্তার দ্রুত মেরামতের জন্য আঙ্গারগড়িয়া গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধানকে নির্দেশ দিলেন। এই প্রেক্ষিতে আঙ্গারগড়িয়ার পঞ্চায়েত প্রধান সোনালী বাগদি জানালেন যে, এই গ্রামের রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে বাড়ি থাকবার কারণেই, উপযুক্ত স্থানের অভাবে নর্দমা নির্মাণ করা যায়নি। এবার তিনি এই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হবেন বলে জেলা সভাপতিকে জানালেন। অন্যদিকে আঙ্গারগড়িয়া থেকে মালডিহা গণেশপুর গামী কাঁচা রাস্তাটি পাকা করতে জেলা পরিষদকে তিনি বলবেন বলে জানিয়েছেন।

অন্যদিকে গতকালের এই কর্মীসভায় বেহাল রাস্তার সংস্কারের সঙ্গে সঙ্গে দাবি উঠলো বুথ বিভাজনের। সংশ্লিষ্ট মহম্মদবাজার ব্লকের পুরাতন গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩৬, ৪০, ৪১, ৪২ নম্বর বুথ বিভাজনের আবেদন হলো জেলা সভাপতির কাছে। এ প্রসঙ্গে ৩৬ নম্বর বুথের বুথ সভাপতি মইনুল হক জানালেন, ” এলাকায় ১৩৫৯ জন ভোটার। প্রতিটি নির্বাচনে ৯৬ শতাংশ ভোট পড়ে। পঞ্চায়েত ভোটের সময় এত সংখ্যক ভোটার হওয়ার ভোট শেষ হতে পরের দিন সকাল হয়ে যায়। সমস্যায় পড়তে হয় ভোট কর্মী সহ এলাকার মানুষকে।’’

বুথ সভাপতি কৃত বুথ বিভাজনের দাবি জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়কে পর্যালোচনার নির্দেশ দিলেন। এভাবে, একদিকে রাস্তার দ্রুত সংস্কার, অন্যদিকে বুথ বিভাজনের দাবিতে কপালে চিন্তার ভাজ পড়েছে জেলা সভাপতির।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!