এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তোলাবাজি সিন্ডিকেটের বিস্ফোরক অভিযোগ হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে, তীব্র অস্বস্তিতে শাসক দল

তোলাবাজি সিন্ডিকেটের বিস্ফোরক অভিযোগ হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে, তীব্র অস্বস্তিতে শাসক দল


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ এলাকায় তৃণমূল নেতা বিশ্বজিৎ সরকারের বিরুদ্ধে তোলাবাজি সিন্ডিকেটের বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে একটি অডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, তৃণমূল নেতা বিশ্বজিৎ সরকার, মদন নামে এক তৃণমূল কর্মীর সঙ্গে ফোনে কথা বলছেন, আবার তৃণমূল নেতা ধনেশ্বর বর্মনকেও ফোনে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে, নিজেদের ভাগের টাকা নিয়েই তাঁদের এই সংলাপ। এই অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে আসার পরেই অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূলের।

সম্প্রতি তুফানগঞ্জের ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত ভানুকুমারী ২ গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চল সভাপতি সুজিত ঘোষের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ করেছিলেন এলাকার বহু মানুষ। ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে স্বারকলিপি জমাও দেওয়া হয়েছিল। অনেকে অভিযোগ করেছিলেন, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী তোলাবাজির সঙ্গে যুক্ত। বারবার তোলা নেবার ফলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। অঞ্চল সভাপতি সুজিত ঘোষের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ ওঠার পর, তাঁকে শোকজ করে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয় তৃণমূল। অস্থায়ীভাবে অঞ্চলের আহ্বায়কের করা হয় বিশ্বজিৎ সরকারকে। তবে, অভিযোগ উঠেছে, তিনি দায়িত্ব নেবার পরও তোলাবাজি বন্ধ হয়নি।

এই পরিস্থিতিতে একটি অডিও টেপ ভাইরাল হয়ে পড়েছে। যদিও এর সত্যতা বিচার করে দেখা প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠেনি। যেখানে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বজিৎ সরকার ব্লক তৃণমূল সভাপতি ধনেশ্বর বর্মন ও মদন নামে এক তৃণমূল কর্মীর কথা চলছে। তোলাবাজির ভাগ নিয়ে চলছে এই কথোপকথন। অনেকে মনে করছেন, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ ও সংঘর্ষের ফলে এই অডিও ক্লিপটি প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। এ প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক রাহুল রায় জানিয়েছেন যে, এ বিষয়টি তাঁরা জানেন না। খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখবেন তাঁরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ প্রসঙ্গে বিশ্বজিৎ সরকারের দাবি, অঞ্চল সভাপতি সুজিত ঘোষ দীর্ঘদিন ধরেই সিন্ডিকেট চালিয়েছেন। এবার তাঁকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেবার পর তিনি তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে শুরু করেছেন। এতদিন তিনি নিশ্চুপ ছিলেন। তাঁকে সরিয়ে দেবার পরই এই ধরনের অভিযোগ করতে শুরু করেছেন তিনি। সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁর এই কীর্তি ফাঁস করে দেবেন তিনি। তিনি দাবি করেছেন, যে অডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে পড়েছে, তার কোনো সত্যতা নেই।

তবে, একাধিক এলাকাবাসীর অভিযোগ, এলাকায় সমস্ত ট্রাক পিছু মাসে ১০ হাজার ৫০০ টাকা করে তোলা আদায় করা হয়। যার ফলে মাঝেমাঝেই এলাকায় অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। এ প্রসঙ্গে এক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন যে, বিশ্বজিৎ সরকার, গোবিন্দ বর্মন, তাপস অধিকারী, রকুলউদ্দিন মিয়াঁ চারজন মিলে সাহা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি সিন্ডিকেট চালু করেছেন। এরা সকলেই ব্লক তৃণমূল সভাপতি ধনেশ্বর বর্মন ঘনিষ্ঠ।

বালাকুঠি এলাকা দিয়ে যাওয়া সমস্ত ওভারলোডেড পাথরের ট্রাক থামিয়ে অবৈধভাবে টাকা নেয়া হয়। সমস্ত ট্রাককে প্রতি মাসে টাকা দিতে হয়। টাকা দেবার পর সাহারা এন্টারপ্রাইজ এর একটি কার্ড দেয়া হয়। যে কার্ড সঙ্গে থাকলে অবৈধ পাথর বোঝাই গাড়িকে ছেড়ে দেয়া হয়। এভাবেই, তৃণমূল শিবিরের বিরুদ্ধে তোলাবাজির বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে, যার ফলে অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূল শিবিরের। এই বিষয় নিয়ে তৃণমূলকে চেপে ধরতে পারে বিরোধী শিবির, তেমন সম্ভাবনা যথেষ্টই রয়েছে বলে, মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!