এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > যাঁরই ক্ষমতা বাড়াচ্ছেন মমতা, তিনিই মুকুলের ‘টপ টার্গেট’! এবার কি তাহলে ‘বড় মাছ’? জল্পনা তুঙ্গে

যাঁরই ক্ষমতা বাড়াচ্ছেন মমতা, তিনিই মুকুলের ‘টপ টার্গেট’! এবার কি তাহলে ‘বড় মাছ’? জল্পনা তুঙ্গে

দলে সম্মান না পেয়ে একরাশ অভিমান নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েই মুকুল রায় ঘোষণা করেছিলেন, শাসকদলের সংগঠনটা তিনি নিজের হাতে সাজিয়েছিলেন। সুতরাং, সেই সংগঠনের একেবারে নীচুতলা থেকে শুরু করে, শীর্ষস্তর প্ৰজন সকলের সঙ্গেই তাঁর যোগাযগ আছে। আর এঁরা সকলেই নাকি তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে হাঁফিয়ে উঠেছেন, ফলে একদিন সকলেই তাঁর দেখানো পথে দলত্যাগ করবেন।

তিনি আরও দাবি করেছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেস করার জন্য কেউ অবশিষ্ট থাকবেন না, রাজনীতিতে শুধু সঠিক সময় ও সুযোগের অপেক্ষায় থাকতে হয়। মুকুল রায়ের সেদিনের সেই দাবি, সেদিন হেসেই উড়িয়ে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস! অত্যন্ত কদর্য ভাষায় আক্রমন করে সেদিন শাসকদলের নেতা-কর্মীরা জানিয়েছিলেন, অন্য কোনও নেতা-কর্মীকে বিজেপিতে যোগদান করানো তো দূরের কথা, মুকুলবাবু নাকি একটি কেশও উৎপাটন করতে পারবেন না!

সেই কদর্য আক্রমন গায়ে না মেখে, সেদিন মুকুলবাবু জানিয়েছিলেন, ক্রিজে টিকে থাকলে রান ঠিক আসবেই। আর সেই ঘটনার পর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গেছে, এখন রান তো আসছেই, বিজেপি নেতা রীতিমত ‘স্টেপ আউট’ করে চার-ছয় হাঁকাচ্ছেন। তাঁর হাত ধরে বহু হেভিওয়েট তৃণমূল নেতাই ইতিমধ্যে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন, আগামী দিনে লাইনে আছেন আরও অনেকে বলে দাবি তাঁর ঘনিষ্ঠ অনুগামীদের।

যদিও তৃনামল নেতৃত্ব, সেইসব নেতারা দলত্যাগ করার পর, তাঁদের ‘বহিস্কৃত’ করে ও ‘ডাস্টবিনের আবর্জনা’ বা ‘গদ্দার’ আখ্যা দিয়ে একটা শেষ চেষ্টা চালিয়েছিল, এই দলবদলের প্রভাব আটকাতে। তৃণমূল নেতৃত্বের আরও দাবি ছিল, এইসব নেতাদের মাথা থেকে তৃণমূল নেত্রীর হাত উঠে গেলে, এঁরা নাকি রাজনৈতিকভাবে শেষ হয়ে যাবে! কিন্তু, বাস্তবে দেখা গেছে তা মোটেই ফলপ্রসূ হয় নি, দলত্যাগী এই নেতাদের বেশিরভাগই জিতেছেন এবং তৃণমূল প্রার্থীদের রীতিমত নাস্তানাবুদ করে জিতেছেন!

তবে মুকুল রায়, তৃণমূল নেতাদের বিজেপিতে যোগদান করাচ্ছেন, এটা এখন আর যেন সেভাবে কোনো খবরই নয়! এটাই যেন স্বাভাবিক প্রক্রিয়া! এখন খবর, মুকুলবাবুর হাত ধরে কোন কোন নেতা বিজেপিতে কবে কবে যোগদান করছেন! আর এখানেই গেরুয়া শিবিরের অন্দরে ঘুরছে ভারী মজার এক কথা। মুকুলবাবু দল ছাড়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাঁর যাঁর ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছেন দেখা গেছে তাঁরাই সবার আগে তাঁকে পরিত্যাগ করে মুকুলবাবুর হাত ধরে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

উদাহরণ হিসাবে, মুকুলবাবুর দলত্যাগের ঠিক পরেই অর্জুন সিংয়ের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে তাঁকে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের পাশাপাশি আরও অনেক দায়িত্ব দেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু সেই অর্জুন সিংই এখন বিজেপির টিকিটে জিতে ব্যারাকপুরের সাংসদ। আবার অর্জুন সিং দল ছাড়ার পর, তাঁর আত্মীয় সুনীল সিংকে একাধিক দায়িত্ব দিয়ে দলে গুরুত্ব বাড়ান তৃণমূল নেত্রী। শোনা যাচ্ছে, তিনিও নাকি আজ বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন! ফলে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে – যাঁরই ক্ষমতা বাড়াচ্ছেন মমতা, তিনিই মুকুলের ‘টপ টার্গেট’!

আর এই ‘সূত্রের’ রেশ ধরেই গেরুয়া শিবিরের অন্দরে জল্পনা তীব্রতর হয়েছে এক ‘বড় মাছকে’ নিয়ে। এই নেতার নাম কেউ নিচ্ছেন না, তবে ইঙ্গিতে জানাচ্ছেন, মুকুল রায় দল ছাড়ার পর – রাজ্যজুড়ে শাসকদলের হয়ে দলবদল নাকি সামলান এই নেতাই! মাঝে তৃণমূল নেত্রী নিজের এক আত্মীয়কে রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে এই নেতাকে কিছুটা কোনঠাসা করেছিলেন, যা নাকি তিনি মোটেও ভালোভাবে নেন নি। কিন্তু, লোকসভার ফলাফল সামনে আসতেই দলীয় ও প্রশাসনিক স্তরে এই নেতার গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে অনেকটাই।

গেরুয়া শিবিরের দাবি, শুধু ক্ষমতা বৃদ্ধিই নয়, এই নেতাকে খুশি করে দলে রাখতে, মরিয়া হয়ে তৃণমূল নেত্রী নিজের সেই আত্মীয়ের ডানা ছেঁটে কার্যত তাঁকে ‘গৃহবন্দী’ করে দিয়েছেন। গেরুয়া শিবিরের দাবি, এই নেতার এর আগেই অনেকবার বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা ছড়িয়েছিল আর বর্তমানে তাঁর যা সাংগঠনিক ক্ষমতা, তিনি দলত্যাগ করলে দলের অর্ধেক নেতা-কর্মী তাঁর সঙ্গে সেদিনই নাকি বেরিয়ে আসবেন! আর, তাই এবার এই নেতাকে টার্গেট করেছেন মুকুল রায়। যা নিয়ে আশাবাদী গেরুয়া শিবির, কেননা মুকুল রায় যে ‘বড় মাছদের’ আগে ধরতে বেশি ভালোবাসছেন আজকাল! তবে সে মাছ ধরা দিতে চাইছেন নাকি মুকুলবাবুর অন্ধকারে হাতড়াচ্ছেন তা নিয়ে মুখ খোলেননি কেউই। ফলে কি হবে তা বলবে আগামী দিনই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!