এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > লোকসভায় না হলেও আগামী বিধানসভাতে তৃণমূলের ১০০% জয়ের জিগির তুলে দিলেন হেভিওয়েট নেতা

লোকসভায় না হলেও আগামী বিধানসভাতে তৃণমূলের ১০০% জয়ের জিগির তুলে দিলেন হেভিওয়েট নেতা

2019 এর লোকসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস সেই অর্থে ভালো ফল করতে পারেনি। তীব্র গেরুয়া-ঝড়ের সামনে পরে রীতিমত নাকানি-চোবানি খেতে হয় ঘাসফুল শিবিরকে। লোকসভা পরবর্তীতে সামনে 2021 এর বিধানসভা ভোটের লক্ষ্যে তৃণমূল কংগ্রেস জনসংযোগের পাশাপাশি, সাংগঠনিক পুনর্বিন্যাসের দিকেও নজর দিয়েছে। এবার পিছিয়ে পড়া জেলাগুলির দায়িত্ব একেক জন নেতাকে দেওয়া হয়েছে।

যার মধ্যে অন্যতম রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী – তাঁকে মুর্শিদাবাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। 2019 এর লোকসভা ভোটে অধীর চৌধুরী বহরমপুর থেকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। অধীর গড়ে তৃণমূল কংগ্রেস কোনরকম ভাঙন ধরাতে পারেনি। ফলে, এবার জয়ের লক্ষ্যে শুভেন্দু অধিকারী মুর্শিদাবাদের মাটিতে দাঁড়িয়ে তাঁর পরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা স্থির করলেন। তিনি জানিয়ে দিলেন, মুর্শিদাবাদ জেলায় 22 টি বিধানসভার মধ্যে 16 টিতে তৃণমূল এগিয়ে লোকসভা ভোটে।

এবার বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের লক্ষ্য 22 শে 22 – অর্থাৎ, অন্তত মুর্শিদাবাদ জেলার ক্ষেত্রে ১০০% জয়ের লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়বে রাজ্যের শাসকদল। আর এর সাথে তিনি দায়িত্ব সহকারে জানিয়ে দিলেন, 21 টি বিধানসভা কেন্দ্রের দায়িত্ব তিনি নিজের কাঁধে তুলে নিলেন। কিন্তু বহরমপুর কেন্দ্রের দায়িত্ব তিনি নেবেন না। তিনি মন্তব্য করেন এ বিষয়ে, বহরমপুরে সব কালিদাসের বাস তাই সেখানকার দায়িত্ব তিনি গ্রহণ করতে পারবেন না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। প্রত্যেকেই বলতে শুরু করেছে এই ধরনের মন্তব্যের কারণ কি? তবে মনে করা হচ্ছে, বহরমপুরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মূলত এই কথার কারণ। লোকসভা ভোটের আগে বহরমপুর এর কংগ্রেস থেকে বহু নেতা তৃণমূলে যোগদান করেন। কিন্তু মনে করা হচ্ছে তৃণমূলে যোগ দিলেও তারা মন থেকে কংগ্রেসকে সরাতে পারেননি। তাই বহরমপুরে খুব সহজেই কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী জিতে যান।

অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন বহরমপুর নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর এই ধরনের মন্তব্যের কারণ, দলীয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। দলীয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলেই বহরমপুর কেন্দ্রে লোকসভা ভোটে তৃণমূল দল পিছিয়ে পড়ে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, কংগ্রেস শিবিরের একাংশের ধারণা, অধীর চৌধুরীর সাথে ভোটযুদ্ধে পেরে উঠবেন না বলেই শুভেন্দু অধিকারী এধরনের মন্তব্য করে বরমপুরকে এড়িয়ে গেলেন। প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনেও মুর্শিদাবাদের দায়িত্বে ছিলেন শুভেন্দুবাবু – কিন্তু, অধীর-গড়ে ফাটল ধরাতে কার্যত তিনি ব্যর্থ।

যদিও শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এখনো পর্যন্ত তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বিধানসভা ভোটের লক্ষ্যে বহরমপুর নিয়ে তৃণমূল নেত্রী কি সিদ্ধান্ত নেন, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। তবে, মুর্শিদাবাদের পোড়খাওয়া ভোট বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন – মুখে যতই শুভেন্দুবাবু ১০০% জয়ের দাবি করুন, অধীর চৌধুরী এখনও মুর্শিদাবাদের রাজনীতিতে একটা বড় ফ্যাক্টর – তা তিনি লোকসভা নির্বাচনেই প্রমান করে দিয়েছেন। অনেক চেষ্টা করেও তাঁকে আটকানো যায় নি – তাই কি এখন থেকেই ‘কালিদাস’ তত্ত্ব সামনে আনার চেষ্টা চলছে?

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!