এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > লকডাউনের মাঝেই উন্নয়নের কাজে বিজেপি নেতাদের হেনস্থার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে! শুরু বিতর্ক

লকডাউনের মাঝেই উন্নয়নের কাজে বিজেপি নেতাদের হেনস্থার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে! শুরু বিতর্ক

যখন কোন একটি উন্নয়নমূলক কাজ শুরু হয়, তখন যে কোন জায়গার অধিবাসীরা অত্যন্ত আশায় থাকেন কাজটি সম্পন্ন হওয়ার জন্য। সেরকমই মালদা ইংলিশবাজারের অধিবাসীরাও এতদিন অপেক্ষা করছিলেন রেলের আন্ডারপাস তৈরি হওয়ার জন্য। কাজ শুরু হয়েছিল আগেই, কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন এর জেরে এতদিন কাজ বন্ধ হয়েছিল। নতুন করে লকডাউন এর মধ্যেই আবার রেলের আন্ডারপাস তৈরি হবার কথা হয় এবং কাজও শুরু হয়।

কিন্তু উন্নয়নকে ঘিরে আবারও রাজ্যের শাসক ও বিরোধী দলের মধ্যে চূড়ান্ত হানাহানি ঘটে গেল। সূত্রের খবর, লকডাউনের মধ্যেই মালদার ইংলিশ বাজারে নতুন করে রেলের আন্ডারপাস তৈরির কাজের সূচনা হতেই রীতিমতো সংঘাতে জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির রাজনৈতিক নেতারা। ইংলিশ বাজার মালঞ্চপল্লী এলাকায় সম্প্রতি বিজেপির সংসদ সদস্য খগেন মুর্মু ও ইংলিশবাজার পৌরসভার স্থানীয় কাউন্সিলর পরিতোষ চৌধুরীর মধ্যে তুমুল সংঘাত শুরু হয় এই নিয়ে।

জানা গেছে মালঞ্চপল্লী এলাকায় রেলের আন্ডারপাস তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল 2019 সালে। কিন্তু করোনার কারণে লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় সেই কাজ থমকে যায়। কিন্তু দ্রুত গতিতে কাজ শেষ করার জন্য লকডাউনের মধ্যেই আবার নতুন করে কাজ শুরু হয় এদিন সকালে। সেই সময় এলাকায় পৌঁছান এলাকার পুরসভার চেয়ারম্যান নীহার ঘোষ। তার সঙ্গে স্থানীয় কাউন্সিলর পরিতোষ চৌধুরী এবং তাঁর অনুগামীরা হাজির হন কাজের জায়গায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কাজ শুরু হওয়ার আনন্দে তাঁরা তৃণমূলের কর্মীদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেন এবং রেল কর্মীদেরও মিষ্টিমুখ করান। এলাকা ফাঁকা হয়ে যাওয়ার পর কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার নতুন করে এলাকায় আসেন উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ সদস্য খগেন মুর্মু, বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দ মণ্ডল, দলের ইংলিশবাজার নগর মণ্ডলের সভাপতি তথা পুরসভার কাউন্সিলার রাজীব চম্পটি প্রমুখ। উপস্থিত থাকা তৃণমূলের অনুগামীদের সঙ্গে সেইসময় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা।

বিজেপির অভিযোগ, জেলা সভাপতি গোবিন্দ বাবু এবং কাউন্সিলর রাজীবকে শারীরিক নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছে। কিছু সময় পর এই পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনেন রেল কর্তা ও পুলিশ উভয়েই। এই প্রসঙ্গে বিজেপি সংসদ সদস্য খগেন মুর্মু জানিয়েছেন ‘তৃণমূল উন্নয়নের কাজে সহযোগিতা না করে কৃতিত্ব দাবী করতে আসরে নেমেছে। কাউন্সিলরের অনুগামীরা আমাদের দলের কাউন্সিলরসহ জেলা সভাপতিকে হেনস্থা করেছেন।’ অন্যদিকে তৃণমূল কাউন্সিলর জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের সম্মতিতে এবং সাহায্যার্থে এই আন্ডারপাস তৈরির কাজ নতুন করে শুরু হয়েছে।

তবে পুরসভার চেয়ারম্যান নীহার ঘোষ এই ঘটনা থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ আলাদা করার চেষ্টায় জানিয়েছেন ‘আমি উদ্বোধন করতে যাইনি। বিষয়টি নিয়ে বিজেপি অনর্থক জল ঘোলা করছে।’ তবে এই পুরো ব্যাপারটি নিয়ে রাজনৈতিক অন্দরে শুরু হয়েছে তুমুল আলোড়ন। বিশেষজ্ঞদের মতে, যে কাজ রাজ্যের উন্নয়নের স্বার্থে হচ্ছে, সেখানে দাঁড়িয়ে দলবল নির্বিশেষে প্রত্যেকেরই একমত হওয়া উচিত। সে জায়গায় দুই দল যদি নিজেদের মধ্যে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন, তাহলে তা অত্যন্ত নিন্দাজনক ঘটনা। অন্যদিকে, এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত অবশ্য বিজেপি ও তৃণমূলের ওপর মহলের কেউই কোনো মন্তব্য করেননি। আপাতত এই ঘটনার ফলে পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!