এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > সেটিংয়ের গল্পই নেই, মোদীর মোক্ষম অস্ত্রে দিশেহারা তৃণমূল! প্রমান দিলেন শুভেন্দু!

সেটিংয়ের গল্পই নেই, মোদীর মোক্ষম অস্ত্রে দিশেহারা তৃণমূল! প্রমান দিলেন শুভেন্দু!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এই রাজ্যের বিরোধী দল বাম এবং কংগ্রেসকে মাঝেমধ্যেই বলতে শোনা যায়, বিজেপির সঙ্গে সেটিং রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। কিন্তু তারা কতটা চোখে চোখ রেখে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, সেটা তো বোঝাই যাচ্ছে। বাংলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে দিল্লিতে আবার সেই তৃণমূল নেত্রী এবং তার ভাইপোর সঙ্গে বসে এক টেবিলে আলোচনা করছে বিজেপির বিরুদ্ধে। ফলে তাদের নীতি, মতাদর্শ নিয়ে মানুষের মনে একটা প্রশ্ন দীর্ঘদিন ধরেই তৈরি হয়েছে। কিন্তু যে সেটিংয়ের কথা এতদিন বাম ও কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হত, এবার তার মুখোশ খুলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই দুই দলের ঘোলা জলে মাছ ধরার যে চেষ্টা, তাকে কার্যত মিথ্যে প্রমাণ করে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। স্পষ্ট করলেন যে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে যদি কেউ পদক্ষেপ নিতে পারেন, তাহলে তিনি নরেন্দ্র মোদী। তিনি ছিলেন বলেই আজকে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক নেতা নেত্রী সবংস জেলে রয়েছে। তাই যারা সেটিংয়ের কথা বলছে, তারা রাজনীতি করার জন্যই এই সমস্ত কথা বলে খবরের শিরোনামে আসার চেষ্টা করছে বলেই দাবি একাংশের।

প্রসঙ্গত, এদিন একটি সভায় বক্তব্য রাখেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই তিনি সেটিং নিয়ে জবাব দেন। শুভেন্দুবাবু বলেন, “সিপিএম মাঝেমধ্যেই বলে সেটিং, সেটিং। আরে নরেন্দ্র মোদী ছিলেন বলেই সবংশ পার্থ চ্যাটার্জি জেলের ভেতরে রয়েছে, অনুব্রত মণ্ডল সকন্যা জেলে রয়েছে। নরেন্দ্র মোদী ছিলেন বলেই বাকিবুর, জ্যোতিপ্রিয়রা জেলের মধ্যে রয়েছে। আমরাই পারব। একটু শুধু অপেক্ষা করুন। এরা সবাই ভেতরে যাবে।” অনেকে বলছেন, সত্যিই তো তাই! এটা কেউ কোনোওদিন ভাবতে পেরেছিলেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অনুব্রত মণ্ডলরা জেলের ভেতরে থাকবেন? যারা সেটিং সেটিং করে আওয়াজ তুলছেন, তারা তো এই কাজ করতে পারেননি! তাই মুখে সেটিং বলে ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা অন্তত তারা না করলেই ভালো। এরপর এক নেতা-নেত্রীদের জেল যাত্রা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সাফল্য সম্ভব হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জন্য।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপিও। তাদের দাবি, বাংলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে কথা বলে দিল্লিতে যারা সেই তৃণমূলের সঙ্গে এক টেবিলে বসে বিরিয়ানি খায়, তাদের মুখ থেকে এই সমস্ত সেটিংয়ের কথা মানায় না। আসলে তৃণমূলের সঙ্গে সেটিং রয়েছে বামেদেরই। তাই বিজেপিকে আটকানোর চেষ্টা করছে তারা। কিন্তু বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী লড়াই করছেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে। তাই পশ্চিমবঙ্গের একের পর এক নেতা জেলে যাচ্ছে। আগামী দিনে সেই সংখ্যা আরও বাড়বে। আর যদি বাংলাকে দুর্নীতি মুক্ত করতে হয় এবং সরকারের বদল করতে হয়, তাহলে একমাত্র তা বিজেপিই পারবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, শুধু মুখে অযথা সেটিং সেটিং চিৎকার করে গেলে হয় না। কাজ করে দেখাতে হয়। যে কাজ বিজেপি করে দেখাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী করে দেখাচ্ছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার পাশাপাশি যারা দুর্নীতি করেছে, তাদের জেলে ঢুকিয়েছে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাই সেটিংয়ের কথা যারা বলছেন, তারা যে অমূলক কথা বলছেন এবং ফায়দা তোলার চেষ্টা করছেন, তা বোঝাই যাচ্ছে। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ যারা ডানে বায়ে থাকতেন, তারা জীবনে জেলে যেতে পারেন, এটা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। কিন্তু দুর্নীতি করে এই দেশে বাইরে থাকা যাবে না, সেটা প্রমাণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই বাংলায় একের পর এক নেতা নেত্রী জেলে যাচ্ছেন এবং আগামী দিনেও যারা দুর্নীতি করবেন, তারা প্রত্যেকে জেলে যাবেন। আর এই সবকিছু সম্ভব হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের স্ট্রং অ্যাকশন টিমের জন্য। দেশে শক্তিশালী নেতা রয়েছেন বলেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্ভব হচ্ছে। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!