এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শাহজাহান কান্ডে বড় সমস্যায় মমতা? ইডির কাছেই ফাঁস তথ্য! বড় পরামর্শ শুভেন্দুর!

শাহজাহান কান্ডে বড় সমস্যায় মমতা? ইডির কাছেই ফাঁস তথ্য! বড় পরামর্শ শুভেন্দুর!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-বর্তমানে শেখ শাহজাহানকে নিয়েই আবর্তিত বঙ্গ রাজনীতি। তার বাড়িতে তদন্ত করতে গিয়ে যেভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে হামলার মুখে পড়তে হয়েছে এবং তার পর থেকেই যেভাবে গায়েব হয়ে গিয়েছেন সেই শেখ শাহাজাহান, তাতে নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে। কেন তাকে এখনও পর্যন্ত ধরতে পারছে না পুলিশ? সেটা নিয়েও সোচ্চার বিরোধীরা। আর এসবের মাঝেই শুভেন্দু অধিকারী আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, রাজ্য পুলিশ এই শাহজাহানকে খুন করে দিতে পারে। আর তারপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নামে মিথ্যে বদনাম দিতে পারে খুনের। শুধু তাই নয়, শেখ শাহজাহানকে পরামর্শ দিতে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জড়িয়ে এমন এক কথা বললেন শুভেন্দু অধিকারী, তাতে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এই শেখ শাহজাহানের টাকার ভাগ যেত একদম তৃণমূলের ওপরতলা পর্যন্ত? আর বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে সেই শেখ শাহজাহান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে ধরা দেন এবং এই গোপন তথ্য গুলো ফাঁস করে দেন, তাহলে তৃণমূলের অন্দরে ঝাঁকুনি শুধু সময়ের অপেক্ষা বলেই দাবি একাংশের। কিন্তু কি এমন বলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা?

 

 

 

প্রসঙ্গত, এদিন এই বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি শেখ শাহজাহানকে বলছি যে, আপনি আইনের আশ্রয় নিন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে ধরা দিন এবং সেখানে গিয়ে বলুন যে, আপনি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে কত ভাগ দিয়েছেন, নারায়ণ গোস্বামীকে কত ভাগ দিয়েছেন, আর মমতা ব্যানার্জিকে কত ভাগ দিয়েছেন।” একাংশের প্রশ্ন, শুভেন্দু অধিকারী যা যা বলেন, তা তো পরবর্তীতে সত্যি হয়ে যায়। এক্ষেত্রেও কি তাই হবে? যদি তাই হয়, তাহলে তো তৃণমূলের শেষের শুরুর শুরু হয়ে গেল? যে সমস্ত ব্যক্তির নাম বিরোধী দলনেতা নিলেন, তাদের কথাই যদি শেখ শাহজাহান ফাঁস করে দেন, তাহলে তো আর অন্য কোনো তদন্ত করতেই হবে না। এই এক তদন্তেই তৃণমূলের পাপের ঘরা পূর্ণ হয়ে যাবে। কিন্তু সেসব তখনই হবে, যখন শেখ শাহজাহান নিজে থেকে ধরা দেবেন। এখনও পর্যন্ত সেই ব্যাপারে কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে নিজের প্রাণ বাঁচাতে এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে ধরা দিয়ে আইন পালনের পথেই যাওয়া উচিত শেখ শাহজাহানকে বলেই দাবি একাংশের।

 

 

 

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, আইনের আশ্রয় নেওয়া উচিত শেখ শাহজাহানের। কিন্তু এভাবে তার সদবুদ্ধি হবে না। তাকে সব সময় পরামর্শ দিচ্ছে এই সরকারের ওপর তলা। তাই তাদের কথামতোই চলছেন তিনি। কিন্তু আজ না হোক কাল, তাকে গ্রেফতার হতেই হবে। রাজ্য পুলিশ যদি কিছু চালাকি করে তদন্তকে লোপাট করার চেষ্টা করে, তাহলে তারা ভুল করবে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওপর যে হামলা হয়েছে, তাতে কারা কারা এর পেছনে রয়েছে, তার প্রকৃত তথ্য উদঘাটন হতে বাধ্য। দোষীরা কেউ রেহাই পাবে না বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

 

 

 

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূলে যে সমস্ত হিংসা, যে সমস্ত দুর্নীতি, যে সমস্ত চুরির ঘটনা ঘটে, সেই সব কিছুর মূলে রয়েছে একজন। সকলের দাবি একটাই যে, যেখানে সরকার এবং দলে তিনিই শেষ কথা বলেন, সেখানে তার ইন্ধন ছাড়াই সবকিছু হয়ে যাচ্ছে, অথচ তিনি কিছু জানেন না, এটা কি করে সম্ভব? তাই সততার প্রতীকের মুখোশ আর বেশিদিন তিনি ঠিক থাকতে পারবেন না। ধীরে ধীরে তার নাম সামনে আসতে শুরু করেছে। শাহজাহানকে যদি ধরতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, যদি এই ব্যাপারে কোনো চালাকি না করে রাজ্য পুলিশ, তাহলে সততার বাণী দেওয়া ব্যক্তিকে নিয়েও আসতে পারে বড়সড় তথ্য। আর তাতেই ভাঙ্গনের মুখে পড়ে যাবে গোটা শাসক দল। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!