মমতার শিয়রে বড়সড় বিপদ! মুসলিম ভোট পেতে শাহজাহান খুনের চক্রান্ত! চমকে দিলেন শুভেন্দু! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য January 11, 2024 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর একটা ব্যাড হ্যাবিট রয়েছে। ক্ষমতার স্বাদ পেতে এবং নিজের স্বার্থ রক্ষা করতে তিনি যখন খুশি কাউকে কাছে টানতে পারেন, আবার কাউকে এক মুহূর্তে ছুড়ে ফেলতে পারেন। শেখ শাহজাহানকে কেন্দ্র করে যখন আবর্তিত হচ্ছে বঙ্গ রাজনীতি, ঠিক তখনই তার ক্ষেত্রেও কি এইরকম কোনো চেষ্টা রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন করছে? আর সেটা হচ্ছে কি একদম ওপর তলার নির্দেশে? এখনও পর্যন্ত শেখ শাহজাহান ধরা দেননি। তিনি গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন। তাকে খোঁজার চেষ্টা করছেন সকলে। তবে এসবের মাঝেই এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা যে তথ্য দিলেন, তা একেবারে চমকে দেওয়ার মত। এতদিন মুসলিম ভোট নিয়ে অনেক বেশি দাপাদাপি করত এই রাজ্যের শাসক দল। কিন্তু যত বেশি সময় যাচ্ছে, ততই দেখা যাচ্ছে যে, বিজেপির দিকে চলে যাচ্ছে সেই মুসলিম ভোট। এমনকি শুভেন্দু অধিকারী যে সমস্ত জায়গায় মিছিল করছেন, সেখানেও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজনের উপস্থিতি থাকছে চোখে পড়ার মত। আর এসব দেখেই কি ভয়ে সেই মুসলিম ভোট পাওয়ার জন্য শেখ শাহজাহানকে নিয়েই পদক্ষেপ নিতে পারে এই রাজ্য? শেষ পর্যন্ত কি পুলিশ এই শাহজাহানকে ধরে তাকে খুন করে দিতে পারে? আর তারপরেই কি লাশের রাজনীতি করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকার! রাজ্যের বিরোধী দলনেতা যে কথা বলেছেন, তারপর এই সমস্ত প্রশ্ন ক্রমাগত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে বঙ্গ রাজনীতিতে। প্রসঙ্গত, এদিন এই বিষয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে শুভেন্দুবাবু নিজের আশঙ্কার কথা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, “মমতা ব্যানার্জি এখন মুসলিম লাশ খুঁজছেন। বিজেপির দিক্কে ধীরে ধীরে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের আগ্রহ বাড়ছে। তাই শেখ শাহজাহানকে নিয়ে যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে এই রাজ্যের পুলিশ তাকে ধরে খুন করে দিতে পারে এবং তারপর বলতে পারে যে, ইডি খুন করেছে।” অনেকে বলছেন, শুভেন্দু অধিকারীর এই আশঙ্কা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়ার মত নয়। কারণ যে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানেন শেখ শাহজাহান কোথায় রয়েছে, সেই রাজ্যের পুলিশ জানবে না, এটা হতেই পারে না। পুলিশ সবটা জেনেও তাকে ধরছে না। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সত্যি সত্যিই বুঝতে পেরেছেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তার মুসলিম ভোট হাতছাড়া হতে চলেছে। আর এই মুসলিম ভোট ছাড়া হলে তার কতটা সর্বনাশ হবে, এটা তিনি খুব ভালো মত জানেন। স্বাভাবিকভাবেই সবটা বুঝেই এখন শেখ শাহজাহান যখন হাতের কাছে রয়েছে, তখন একটা বড়সড় কান্ড ঘটিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়কে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী করছেন। বিরোধী দলনেতার আশঙ্কা অনুযায়ী যদি সত্যিই তাই হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে যে, সেই কাজ করেছে এই রাজ্যের প্রশাসন। কারণ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা চায়, সেই শেখ শাহাজাহানকে ধরে আসল তথ্য উদঘাটন করতে। আর পুলিশ একদিকে সমস্ত তথ্য যাতে আসা বন্ধ হয়ে যায়, তার চেষ্টা করবে এবং অন্যদিকে মুসলিম ভোট যাতে তৃণমূলের দখলে আসে, সেই চেষ্টা করতে গিয়ে সেই শাহজাহানকে নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর আশঙ্কা মতই পদক্ষেপ নিতে পারে। আর তখনই বোঝা যাবে যে, এই কাজ কারা করেছেন আর কতটা নির্লজ্জ এই রাজ্যের প্রশাসন বলেই দাবি একাংশের। ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, শেখ শাহজাহান যদি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে আসে, তাহলে তিনি অনেক গোপন তথ্য সামনে আনবেন। ফলে এই শাহজাহান যে লুকিয়ে রয়েছেন, তার পেছনেও রয়েছে এই সরকারের ইন্ধন। নিজেদের তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়ে শেষ পর্যন্ত শাহজাহানকে নিয়ে এরা কি করবে, তা কেউ বলতে পারবে না। তাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। যদি তদন্তকে ঠিক পথে পরিচালিত করতে হয়, তাহলে এই রাজ্য পুলিশের কৌশল থেকে নিরাপদ ভাবে বের করে এনে গ্রেফতার করতে হবে শেখ শাহজাহানকে। তারপর আর কোনো চিন্তা নেই। তখন এই সরকারের মুখোশ খেলা শুধু সময়ের অপেক্ষা বলেই দাবিগেরুয়া শিবিরের। পর্যবেক্ষদের মতে, শুভেন্দু অধিকারী যে তথ্য দিয়েছেন, তা কিন্তু মারাত্মক। যদি সত্যি সত্যিই শেখ শাহজাহানকে মেরে ফেলা হয়, তাহলে বুঝতে হবে, তার কাছে বড় কোনো তথ্য ছিল। তাই একদিকে তথ্য লোপাট করা এবং অন্যদিকে সেই ডেড বডি দেখিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের ভোট দখলে আনার চেষ্টা, এটাই টার্গেট ছিল এই নির্লজ্জ প্রশাসনের। তাই প্রাণ বাঁচাতে এখন শাহজাহানের নিজেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে ধরা দেওয়া উচিত। কারন এই সরকারের মাথায় যারা রয়েছেন, তাদের কাছে ব্যক্তি স্বার্থ ছাড়া আর কিছুই মুখ্য নয়। তাই তারা ক্ষমতার জন্য সবকিছু করতে পারেন। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -