এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ফের সুপ্রিম কোর্টে ভাইপো, লজ্জাও নেই! আচ্ছামত দিলেন শুভেন্দু!

ফের সুপ্রিম কোর্টে ভাইপো, লজ্জাও নেই! আচ্ছামত দিলেন শুভেন্দু!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এই রাজ্যের দুর্নীতির রহস্য ভেদ করতে এবং চোরেদের জেলে ঢোকাতে বিচার ব্যবস্থা যে পথ দেখাচ্ছে, তাকে স্যালুট জানাতেই হয়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বিচারপতি অমৃতা সিনহার একের পর এক নির্দেশ দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা মানুষদের মনে যুগিয়েছে সাহস। কোনো ক্ষমতাকে ভয় না করে তারা যে পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করছেন, তাতে আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন রাষ্ট্রবাদী জনসাধারণ। আর এতেই গা জ্বালা শুরু হয়েছে তৃণমূলের একশ্রেণীর নেতা-নেত্রীদের। কারণ তাদের চুরিটা সামনে চলে আসছে। তারা ধরা পড়ে যাচ্ছেন। তাই আবার এই বিচারপতিদের মন্তব্য নিয়ে গুটিগুটি পায়ে সুপ্রিম কোর্টের পথে পৌঁছে গেলেন বাংলার স্বনামধন্য যুবরাজ। তারা দুর্নীতি করবেন, তারা চুরি করবেন, অথচ সেই চুরিতে বাধা দিতে গেলেই রাগে তারা বারবার সুপ্রিম কোর্টে চলে যাবেন! কিন্তু এর আগেও তো একাধিক বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে থাপ্পড়টা খেয়ে এসেছেন। তার পরেও কেন লজ্জা হয় না ভাইপোর? কেন আবার তিনি এই বিচারপতিদের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে যাচ্ছেন! তাহলে এতদিন কানমোলা খাওয়ার পরেও কি আবার একটা বড় ধাক্কা খাওয়ার ইচ্ছা তার মনে রয়েছে? তবে এবার ভাইপোর এই শীর্ষ আদালতে যাওয়া নিয়ে মোক্ষম কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, এদিন এই ব্যাপারে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি একদম আচ্ছামত জবাব দেন সেই ভাইপোকে। তিনি বলেন, “ওনার অনেক টাকা আছে। উনি যেখানে খুশি যেতে পারেন। এর আগেও তো অনেকবার গিয়েছিলেন আমার বিরুদ্ধে। কিন্তু লাভ তো হয়নি। অনেক বড় বড় উকিল টাকা খরচ করে দাঁড় করাবেন। তবে সুপ্রিম কোর্ট কি পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা জানে না? বাংলায় কি চলছে, সেটা কি সুপ্রিম কোর্ট জানে না? সুতরাং এসব করে কোনো লাভ হবে না।” অনেকে বলছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তো অনেক বড় বড় কথাই এই ভাইপোর গলায় শোনা যায়। তিনি তো বলেন যে, তিনি এক পয়সাও দুর্নীতি করেননি। তাহলে তারপরেও যখন পশ্চিমবাংলায় যা চলছে, যা চোখের সামনে দেখা যাচ্ছে, তা নিয়ে বিচারপতি মন্তব্য করছেন, তখন সেটাতে কেন গা জ্বালা হচ্ছে? তাহলে কি “ঠাকুর ঘরে কে আমি তো কলা খাইনি!” মুখে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে বিচারপতিরা যখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছেন, তখন কেন সুপ্রিম কোর্টে যেতে হচ্ছে ভাইপোকে? তাহলে কি মনের মধ্যে এবার ভয় প্রবেশ করেছে? বুঝতে পেরেছেন যে, ধীরে ধীরে তার কুকীর্তি ধরা পড়ে যাবে! তাই আবার সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে একটা রক্ষাকবচ পাওয়ার চেষ্টা! কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে যে অরাজকতা তৈরি হয়েছে, সেটা সম্পর্কে গোটা দেশের মানুষ অবগত রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে যে কেউ যেতে পারেন। সবার সেখানে যাওয়ার রাস্তা খোলা রয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুর্নীতির বিরুদ্ধেই আদালত নিজের মত পোষণ করবে বলেই আশা করছে বিরোধীরা।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, পিসি ভাইপো মিলে তো বাংলাটাকে শেষ করে দিয়েছেন। যে পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে, তাতে ধীরে ধীরে অনেক নাম সামনে আসবে। বিচারপতিরা বাংলার মানুষকে পথ দেখাচ্ছেন। আর তাতেই চুরি ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে ঠিক থাকতে পারছেন না বাংলার যুবরাজ। তাই এখন আবার তিনি সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে দরবার করতে শুরু করেছেন। কিন্তু এসব করে লাভ হবে না। বিচার ব্যবস্থা তার নিজস্ব গতিতেই চলবে। আর এসব করে কেউ যদি ভাবে চুরি আটকাবে, নিজেদের দুর্নীতিকে ধামাচাপা দেবে, তাহলে তিনি মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষদের মতে, এত পর্যন্ত সময়কালে যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চলেছে আদালতে, তাতে নিজেদের হয়ে কত টাকা খরচ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস, সেই তথ্য তারা সামনে আনতে পারবেন তো? মানুষের টাকা দিয়ে বড় বড় উকিল দাঁড় করিয়ে নিজেদের চুরি ধামাকা দেওয়ার যে চেষ্টা তারা আদালতে করেছে, তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দল। কিন্তু তারপরেও লজ্জা নেই। আদালত থেকে একের পর এক থাপ্পর খাওয়ার পরেও এই সরকার শিক্ষা পাচ্ছে না। বিচারপতিরা যে বিষয়ে মন্তব্য করছেন, তা নিয়ে পাল্টা নিজেদের যুক্তি দিন। তাহলেই তো গোটা বিষয়টি সমাধান হয়ে যায়। কিন্তু তা না করে বিচার ব্যবস্থাকে স্তব্ধ করার জন্য আবার আদালতে গিয়ে একটা সমস্যার সৃষ্টি করতে চাইছেন আঞ্চলিক দলের সর্বভারতীয় ভাইপো। তবে এর আগেও রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে, রাজ্যের বিরোধী দলের বিরুদ্ধে একাধিকবার তারা আদালতে গিয়েছে। কিন্তু সেখান থেকে কার্যতম কাল মুখ করে তাদের ফিরে আসতে হয়েছে। এবারেও সেই রকম কিছু হওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল। কারণ বিচারব্যবস্থার বিরুদ্ধে যারা কথা বলে, যারা বিচারপতিদের বিরুদ্ধে আদালতে যায়, তাদের রুচিবোধ কি, তা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ জানেন। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!